আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

লিঙ্গভেদ নিপাত যাক, বার্তা দিতে ধুতি-পাঞ্জাবিতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পর্দায় তিনি আপাদমস্তক সনাতনী নারী, শ্রীমতী। বাস্তবে তাঁরই 'পুরুষালি' বেশবাস! স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। যিনি হারতে শেখেননি! তাঁর অভিযোগ, বিনোদন দুনিয়ার রাজনীতিতে তিনি নাকি কোণঠাসা। সেই অভিনেত্রীরই নয়া রূপ দেখে চমকে গিয়েছে রবিবাসরীয় সন্ধ্যা! বিবি স্বস্তিকা এ দিন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়ের সৌজন্যে বাবু! কী ভাবে? কালো বেনিয়ান পাঞ্জাবি আর দুধসাদা চুনোট ধুতিতে। পায়ে কোলাপুরি চটি। নাক, গলা, আঙুলে ঝলমলে পাথরের মিনাকারি গয়না। স্বস্তিকা অনন্যা।

অভিষেক জানিয়েছেন, লিঙ্গভেদ মোছার বার্তা দিতে চেয়েছেন এ দিন। ইদানীং, পুরুষ অনায়াসে নারীর জন্য তৈরি বারোহাতি শাড়িতে নিজেকে জড়াচ্ছেন! দাড়ি-গোঁফ শোভিত চেহারাতেই ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা। তাঁরা পারলে নারী নয় কেন? আর এমন বৈপ্লবিক বার্তা তো স্বস্তিকাই দিতে পারেন! তাই তাঁকেই মনের মতো করে সাজিয়েছেন 'পুরুষালি' পোশাকে। যদিও এর আগে লিঙ্গসাম্যের কথা একাধিক বার বলেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। নুসরত জাহানও গৌরবের মাস (প্রাইড মান্থ)-এ তাঁর ব্যক্তিগত দুই রূপসজ্জা শিল্পীর (পড়ুন তৃতীয় লিঙ্গের) সমর্থনে বার্তা দিয়েছিলেন। তবে মিমি বা নুসরত পর্দার শ্রীমতীর মতো পুরুষবেশ ধারণ করেননি।

অভিষেক নিজে সর্বদা কালো পাঞ্জাবি পরেন। কালো ওঁর প্রিয় রং। তাই কি একই রং স্বস্তিকার পরনেও? শিল্পীর কথায়, বার্তা দেওয়ার একাধিক রঙের মধ্যে কালোও ছিল। সাদা-কালো জুটিও আজীবনের। তাই কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে মানানসই চুনোট ধুতির পাড়ে সূক্ষ্ম কালো সুতোর কাজ। তথাকথিত ধাক্কাপাড় নয় কিন্তু।এই সাজে স্বস্তিকা নিন্দিত না নন্দিত? অভিষেকের দাবি, প্রথমে সবাই থমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বস্তিকা তো স্বস্তিকাই। তাই নিজের জোরে সবার হাততালি আদায় করে নিয়েছেন। নায়িকা নিজে কী বলছেন? স্বস্তিকার মতে, নারী প্রতি দিনই দেবী। অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশ্বাস করুন, আমরা শক্তিশালী। এর জন্য যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



এখনো ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। কিন্তু এখনো ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর। শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে।

বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি আশা করছে, আজকের মধ্যেই বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলেও দুই-একদিনের মধ্যে তা করার সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর



ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় বাসের ধাক্কায় সিএনজির দুজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের রঘুরামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. পলাশ এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেরপুরগামী একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এই ঘটনায় আহত হওয়া আরও ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে। তাৎক্ষণিক নিহতের নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর



পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েকজন গরু পারাপারকারী রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান। এ সময় বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুরুতর আহত হলে সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহতের মা মমতা বেগম বলেন, কালাম এখনও বিয়া করে নাই। এবার বিয়া করার কথা ছিল। কিন্তু কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল? আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করা হবে।’


আরও খবর



মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওকলার তথ্যানুযায়ী মার্চ মাসে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এ সময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলি সেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এ মাসে অবস্থান ঠেকেছে ১১২-তে। এর আগে গত বছরের অর্থাৎ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১১১তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এর পরের মাসেই অবস্থান উন্নতি হয়। ৬ ধাপ এগিয়ে নভেম্বর ১০৫তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।

ডিসেম্বরে আরও ৪ ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে উঠে এলেও চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ, জানুয়ারিতে ফের ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ১০৬তম অবস্থানে উঠে আবারও মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ।

একই সময়ে ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিল ৪৩ দশমিক ৬১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে যেমন উত্থান-পতন হয়েছে, সেই তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র‌্যাংকিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বর ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।

আশপাশের দেশগুলোর অবস্থান কেমন?

ওকলার ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ১৬তম। ডাউনলোড স্পিড ১০৫ দশমিক ৮৫। আর আপলোড স্পিড ৯ দশমিক শূন্য ৮।

পাকিস্তান অবশ্য মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দেশটির অবস্থান ১২৭তম। আর গড় ডাউনলোড স্পিড ১৮ দশমিক ১৮ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ৮ দশমিক ৭২ এমবিপিএস।

ইনডেক্সে ভালো অবস্থানে রয়েছে সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বীপ। মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ৩২তম। মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৮৫ দশমিক ৯৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২০ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচকে অবনতি নিয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তারা হুট করেই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়িয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, গতি বাড়ানো বলেন আর র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেন, এটা এগিয়ে নিতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে কিন্তু আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জায়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেওয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেওয়া সম্ভব হয়। এটা ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের দিতে গেলে খরচটা বেড়ে যায়। সেটা নিয়ে এখন কাজ করা উচিত।

ঢাকাকেন্দ্রিক ক্যাশ সার্ভিস সেন্টার থাকাটাও গতি বাড়ানোর পথে বাধা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকাকেন্দ্রিক। বিটিআরসির নিরাপত্তা পলিসির কারণে এটা বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়নি। ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকার বাইরেও বড় শহরগুলোতে বসানো গেলে এবং সব আইএসপির কাছে এটা রাখা গেলে গতি আরও বাড়ানো যেতো। তারপরও আমরা সাধ্যের মধ্যে গ্রাহককে ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনায় কাজ করছি। ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। সম্প্রতি ইনডেক্স খেয়াল করা হয়নি। সেটা দেখার আগে আমরা কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।


আরও খবর