রাজধানীর পল্টনের একটি পত্রিকা অফিসে চাকরি করেন অমিতাভ হালদার। ভাড়া থাকেন বাড্ডা। লকডাউনের মধ্যে অফিস খোলা থাকায় নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে তাকে।
অফিস থেকে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় নিজের খরচেই অফিসে যেতে হচ্ছে। শুধু অমিতাভ একা নন, এমন অনেক স্বল্প আয়ের মানুষকে প্রতিদিন বাড়তি ভাড়া দিয়ে অফিসে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে অফিস খোলা রাখলে কৃর্তপক্ষকে কর্মীদের আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) মগবাজার থেকে এস এম মনির নামে একজন বলেন, ‘জরুরি সেবার কারণে লকডাউনের মধ্যে আমাদের অফিস খোলা রাখা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় কর্মীদের আনা-নেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। তাই নিজ খরচে অফিস করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাস। এ মাসের এমনিতেই খরচ বেশি। মাসে যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর। অল্প বেতনের চাকরি করে রিকশায় অফিস যাওয়া সম্ভব না। তাই চাকরি বাঁচাতে কিছু পথ হেঁটে কিছু পথ রিকশাতে করে আসা-যাওয়া করি। মগবাজার থেকে পল্টনে রিকশা ভাড়া ২০০ টাকা আর সিএনজি অটোরিকশাতে গেলে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। বেতনের বেশির ভাগ টাকা রাস্তাতেই খরচ হয়ে যাচ্ছে।’
পল্টনে তোপখানা রোড থেকে একটি দৈনিক পত্রিকার অফিস সহকারী শেখ রাসেল বলেন, ‘লকডাউনের শুরু থেকেই আমাদের অফিস খোলা রয়েছে। চাকরি বাঁচাতে অফিস করতে হচ্ছে। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কখনও রিকশায়, অটোরিকশায় আবার হেঁটে অফিস করছি। কিছু তো করার নাই। অফিস থেকে কোনো পরিবহন খরচ দেয় না।’