আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

লকডাউন দিতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মে ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ৩১ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের কোনো এলাকায় করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি খারাপ হলে স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

লকডাউনের বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও জনপ্রতিনিধিরা মিলে পুরো জেলা বা আংশিক এলাকায় লকডাউন দিতে পারবেন।

এর আগে করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

গত শনিবার এক বৈঠকে বিশেষজ্ঞ কমিটি নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করে। এসব জেলায় সংক্রমণ বেশি। এ ছাড়া নোয়াখালী ও কক্সবাজারের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানায় কমিটি।

এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (২৪ মে) থেকে ৭ দিন সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে: বুয়েট উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আদালতের রায় মানতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, আদালত যা বলবেন, তা আমাদের মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। না হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।

২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তি’র বৈধতা নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম আজ রিট আবেদনটি করেন। ইমতিয়াজ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ সোমবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা রয়েছে ও দাপ্তরিক কাজগুলো চলছে।

এদিন একেবারেই ফাঁকা ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা প্রহরী জানান, আজ সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী যাননি। ক্যাম্পাস একেবারেই ফাঁকা। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা।

গত ২৮ মার্চ রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের প্রবেশকে ঘিরে পরদিন ২৯ মার্চ দুপুর থেকে ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গত শনিবার থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



মেঘনায় ভ্রমণতরি ডুবে নারীর মৃত্যু, পুলিশসহ নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও আট যাত্রী। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল দে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারে না। এজন্য উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। এতে একাধিক নৌ পুলিশটিম ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন বিন্যাস প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা (জিএসটি) ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে আসনবিন্যাস দেখতে পারবে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এবার ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল এ-ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর আগামী ৩ মে বি-ইউনিট মানবিক বিভাগ এবং আগামী ১০ মে সি-ইউনিট বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, এবছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আবেদনকারীদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, বি ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, সি ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে।

এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় , জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।


আরও খবর



এক নজরে দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে এদিন প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। রোববার (২৪ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির বিস্তারিত জানিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা : এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন : সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক-দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী : এদিন সরকারি ছুটি থাকবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অনুষ্ঠান : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

অন্যান্য আয়োজন : মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।  ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্র কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজসমূহ ওই দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর