পবিত্র রমজানের তৃতীয় দিন আজ। সেইসঙ্গে এ রমজানের প্রথম শুক্রবার। ফলে করোনার এ সঙ্কটের মধ্যেও জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। মসজিদের নামাজ পড়তে যাওয়া বেশিরভাগ মুসল্লির মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অনেকেই উপক্ষা করেছেন স্বাস্থ্যবিধি। মসজিদ ছাপিয়ে মুসল্লিদের ভিড় ছিলো সড়কেও।
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ পড়া যাবে। তবে তারাবি ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকা যাবে না।
এদিকে জুমার নামাজে সামাজিক দুরত্ব না থাকলেও বেশিরভাগ মুসল্লিদের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। এছাড়া জুমার নামাজের আলোচনায় করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক ও সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলার ব্যাপারে ইমামগণ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তবে নামাজ শেষে ইমামের সেই আহবান বেমালুম ভুলে গেলেন মুসল্লিরা। জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিটি মসিজিদের সামনে ভ্যান গাড়ি কিংবা ঝুড়িতে সবজি, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। করোনার এই কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও একই চিত্র দেখা গেছে। নামাজ শেষ হতেই অনেক মুসল্লি ভিড় করেন মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেইসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে। কেউ সবজি কিনছেন তো কেউ কিনছেন শাক। আবার কেউ ফল কিনছেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি উপক্ষা করে নামাজ শেষে এমন কেনাকাটায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণে।
অনেক জায়গায় মসজিদের সামনের রাস্তায় দোকানিদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে বেশিরভাগ মসজিদের সামনে ছিলো দোকানিদের দীর্ঘ সারি।