আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

লকডাউনেও যানজট!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারাদেশে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) লকডাউনের এই দ্বিতীয় দিন। এদিন সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেখা গেছে। বেশিরভাগ সড়কে তিন রাস্তা ও চৌরাস্তায় জ্যাম দেখা গেছে। পাশাপাশি ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতেও জ্যাম দেখা গেছে।

সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, বিজয় সরণী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মহাখালী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- সড়কে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচল করছে। রাজধানীতে যথারীতি যে ট্রাফিক জ্যাম থাকে তা আজ না থাকলেও বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ গাড়ির চাপ রয়েছে। এই স্পটগুলোর বেশিরভাগ পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়িগুলোর দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

এছাড়া বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী, নাবিস্কো, সাতরাস্তা, মগবাজার, বেইলি রোড, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড় ও পল্টন মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- বেশিরভাগ পয়েন্টে গাড়ির চাপ রয়েছে। তিন রাস্তা এবং চৌরাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে দীর্ঘ গাড়ির লাইন। বেশ জ্যামও পরিলক্ষিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।


আরও খবর



দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ, ১৪৩১ এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

সরকারপ্রধান বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

পরিশেষে কবি সুফিয়া কামালের কবিতার পঙতি উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন, তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন। শুভ নববর্ষ।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।

বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।

সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।

ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।


আরও খবর



‘কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে সি ব্লকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ভয়েস বা স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশেই রয়েছে। কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয়েস, কণ্ঠ হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে হলেও কথা বলার প্রয়োজন হয়। তাই কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করলে, আবার জন্মগত ত্রুটির কারণেও কণ্ঠের ভয়েস বা স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভয়েসের সুরক্ষায় আমাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা, ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান এবং অতিরিক্ত ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে আহার সম্পন্ন করা উচিত। শিক্ষকদের ক্লাসে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে চলাফেরার সময় সবারই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোলজি ডিভিশন প্রধান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর