আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে বাস উল্টে ডোবায় পড়ে নিহত ১, আহত ৬

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লক্ষ্মীপুরে হিমাচল পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ডোবায় পড়ে উলটে গিয়ে মো. বাদশা (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি বাসের সুপারভাইজার। এ ঘটনায় ৬ যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মটবী এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদশা রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার এলাকার সুজনগ্রামের মো. মতলবের ছেলে। আহতরা হলেন বাসস্টাফ মফিজুল ইসলাম, যাত্রী রাজন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, দেলোয়ার হোসেন, আদিব রহমান ও শাহাদাত হোসেন।

পুলিশ ও আহতরা জানায়, রামগতি থেকে যাত্রী নিয়ে হিমাচল পরিবহণের বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘটনাস্থল পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা বেপোরোয়া গতিতে বাসের সামনে চলে আসে। এতে সিএনজিটির রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে ডোবায় পড়ে যায়।

বাসস্টাফ মফিজুল ইসলাম বলেন, সিএনজিতে যাত্রী ছিল। যদি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হতো, তাহলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। সিএনজিকে রক্ষা করতে গিয়েই আমরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। এতে আমার সহকর্মী মারা যান।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃদুল কান্তি কুরি বলেন, দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার মারা গেছেন। মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাস উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারতের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। গত ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা।

তবে তার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ন দ্বিপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।


আরও খবর



ওমরাহকারীদের যেসব জিনিস বহনে নিষেধাজ্ঞা দিলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওমরাহ করতে আসা মুসল্লিদের নির্দিষ্ট কিছু জিনিস বহন না করার জন্য সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) নতুন করে নির্দেশনায় বলেছে, ওমরাহ করতে আসা কেউ সৌদিতে লেজার, আতশবাজি, নকল মুদ্রা এবং অনিবন্ধিত ওষুধ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে হজ ও ওমরাজ মন্ত্রণালয় বলেছে, আল্লাহর মেহমানরা, সৌদিতে প্রবেশের আগে নিশ্চিত করুন আপনি এসব নিষিদ্ধ জিনিস বহন করছেন না।’

মক্কার পবিত্র কাবা শরীফে ওমরাহ করা হয়। হজ বছরে মাত্র একবার করা গেলেও; ওমরাহ করা যায় বছরের যে কোনো সময়। তবে পবিত্র রমজান মাস আসলে ওমরাহকারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে রমজানে হাজার হাজার মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে যান।

ওমরাহ করার দুটি প্রধান শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো পবিত্র কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ করা ও সাফাহ এবং মারওয়াহ পাহাড়ে সাতবার আসা-যাওয়া করা। এই পাহাড়গুলো কাবা শরীফের পূর্ব দিকে অবস্থিত। রমজানে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ায় এবার রমজানে একজনকে শুধুমাত্র একবারই ওমরাহ করার অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব। মূলত সব মুসল্লিকে ওমরাহ পালনের সুযোগ দিতে এবং ভিড় এড়াতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে রমজান মাস শুরু হয়। এরপর রমজানের প্রথম ১০দিনে এক কোটিরও বেশি মুসল্লি কাবা মসজিদে নামাজ আদায় করেন।


আরও খবর



যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ ও মাকরুহ হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

সারা বিশ্বজুড়ে রমজানের আমেজ বিরাজ করছে, একযোগে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা হচ্ছে তৃতীয় স্তম্ভ। মুসলিমদের জন্য রোজা একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত যা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। রোজা ভঙ্গকারী নিকৃষ্ট পাপী।

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী রোজার শুদ্ধাতা অর্জন ও যথাযথভাবে পালনের জন্য কিছু বিধিমালা আছে যার ব্যতিক্রম হলে রোজা ভঙ্গ কিংবা মাকরুহ হয়ে যায়। রোজার নিয়তে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর যদি অসর্তকতাবশত কোনো ব্যক্তির রোজা ভঙ্গ বা মাকরুহ হয়ে যায়; তাহলে তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কে আছে?

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর নারীর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকালেই রোজা আদায় হয়ে যায় না; বরং রোজা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মকানুনও। আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে তিনটি বিষয় থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ১. স্ত্রী-সহবাস, ২. খাবার গ্রহণ, ৩. পানীয় গ্রহণ। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

সুতরাং কেউ স্ত্রী-সহবাস ও পানাহারে লিপ্ত হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এছাড়া নারীদের ঋতুস্রাবের কারণেও রোজা ভেঙে যায়। এসব কারণ ছাড়াও আরও বেশকিছু কারণ আছে, যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

১. মুখ ভরে বমি করা। ২. ইচ্ছা করে বমি করা। ৩. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা। ৪. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসব। ৫. ইসলাম ত্যাগ করা। ৬. রোজাদারকে জোর করে কিছু খাওয়ানো। ৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করানো।

৮. গ্লুকোজ, শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন নেওয়া। ৯. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে আরও কিছু খাওয়া। ১০. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা।

১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেলা। ১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করানো। ১৩. দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খাওয়া। ১৪. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলেগেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।

১৫. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করা। ১৬. হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত করা ১৮. শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের হলে।

এই কারণগুলো ছাড়াও এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোজা ভঙ্গ হবে না; তবে রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না, বরং রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। রোজার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে অন্যান্য আমল ঠিক রাখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজ, পাপাচার, সুদ-ঘুষ, হারাম পানাহার, অন্যের হক নষ্ট করা, ওজনে কম দেওয়া সহ সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ

১. কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবানো। ২. সারাদিন রোজা সঠিকভাবে পালন করার পরেও ইফতারির সময় এমন কোনো খাবার গ্রহণ করা যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। ৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেওয়া। ৪. কোনো কিছু শুধু মুখে পুরে রাখা, সেক্ষেত্রে না খেলেও রোজা মাকরুহ হবে।

৫. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুথু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে। ৬. রমজানে সারা দিন অপবিত্র শরীরে থাকা। ৮. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা।

৯. রোজা রেখে কারো গিবত বা পরনিন্দা করা। ১০. মুখে গুল ব্যবহার করা এবং থুথুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে যাওয়া। ১১. মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। রোজা রেখে মিথ্যা বলা মাকরুহ।

১২. ঝগড়া-বিবাদ করা ১৪. রান্নার সময় কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়াযেমন, লবণ চেখে দেখা, ঝাল পরখ করা, তবে বিশেষ প্রয়োজনের কারণে তা বৈধ। ১৫. নাচ, গান, সিনেমা দেখা। ১৬. যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা। ১৭. উচ্চস্বরে চিৎকার কিংবা গালিগালাজ করা।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস আরবিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা, তার স্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে সমর্থন দেয়ায় তার ভূমিকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোরালেস আরবিনা বিরোধী কণ্ঠকে নীরব করে দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। নির্বাসনে থাকা জেলপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায়ও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কমপক্ষে আড়াইশ গ্রুপসহ কমপক্ষে ৩৫০০ নাগরিক সমাজের সংগঠনকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য দায়ী আরবিনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর ভিত্তিহীন অভিযোগে আক্রমণের অংশ মোরালেস আরবিনা। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ান সরকার এবং তার সহযোগীদের জঘন্য আচরণের জন্য জবাবদিহিতা উন্নীত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।


আরও খবর



ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৪ মার্চ চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। কিন্তু হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই তিন মামলার বাদীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ও তৌফিক মাহমুদ।

মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়, বিজ্ঞাপন দেখে তারা মোটরসাইকেল কেনা বাবদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে ইভ্যালি তাদেরকে পণ্যের সমমূল্যের চেক প্রদান করে। এরপর চেকগুলো নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না দেওয়ায় এবং কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও রাসেলের বিরুদ্ধে বাদীরা প্রতারণার মামলা করেন।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১৭ জানুয়ারি তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।

প্রসঙ্গত, এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নেওয়া হয়েছিল রিমান্ডেও।

ইভ্যালির পুনর্গঠন হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে তার স্ত্রী শামীমাকে এক বছরের মাথায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছিল আদালত। আর রাসেল মুক্তি পান গত ১৯ ডিসেম্বর।


আরও খবর