ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ৫ দিন করে মোট ১০
দিন লঞ্চে মোটরসাইকেলসহ মালামাল বহন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই
ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান পরিচালনা করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব
করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার
সিদ্ধান্তগুলো জানায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাতে স্পিডবোট
চলাচল বন্ধে ও লঞ্চে বা ফেরিতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে এবং যাত্রীদের
কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া যেন কোনোভাবেই আদায় না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিচালনা করবে। ১৯ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী
ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।
আরও
পড়ুন: ঈদের আগে তিন দিন নির্মাণ সামগ্রীবাহীট্রাক চলাচল বন্ধ
রাতে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ এবং
আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সবসময় সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া ঢাকা সদরঘাটে সব যাত্রীবাহী নৌযানে (লঞ্চ) ঈদের আগে ৫ দিন মালামাল ও মোটরসাইকেল
পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ দিন অন্যান্য নদী বন্দর থেকে ঢাকা সদরঘাটে
আসা নৌযানে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে
লঞ্চযাত্রীদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ
করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।