আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

লোডশেডিং স্বাভাবিক হতে লাগবে আরও এক মাস: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও অন্তত ১ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

ভোলায় সদ্যপ্রাপ্ত ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসে সোমবার একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের ২৯তম এ গ্যাসক্ষেত্রের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন: ২৫ মে গাজীপুরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম খননের কাজ করে।

গত ১৪ এপ্রিল কূপের ৩ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরতায় খনন কাজ শেষে পৃথক নতুন একটি গ্যাসের স্তর আবিষ্কার হয়। পরে সার্বিক ভূতাত্ত্বিক ও ভূপদার্থিক কারিগরি বিশ্লেষণ ও ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) সম্পন্ন করে ইলিশা কূপকে গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা প্রদানের বিষয়ে বাপেক্স মতামত দেয়।

নসরুল হামিদ বলেন, এটি আনন্দের সংবাদ এবং সৌভাগ্যের। ইলিশা কূপ থেকে ২৬-৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। এই কূপসহ ভোলাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ টিসিএফ গ্যাস মজুদের আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

ভোলার অন্য দুটি গ্যাসক্ষেত্র হলো বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র, ৬ কূপ ও সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ, ২ কূপ। সর্বশেষ ইলিশা-১ কূপ।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলেন, দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে একটি পাইপলাইন খুলনা যাবে। এই লাইনের প্রি-ফিজিবিলিটি শেষ হয়েছে। এখন ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে।


আরও খবর



মায়ের নামে ফাউন্ডেশন খুলেও দুর্নীতি করেছেন কবির বিন আনোয়ার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা দাবি করতেন কবির বিন আনোয়ার। অথচ প্রাচ্যের এই অক্সফোর্ডখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি লেখাপড়াই করেননি। হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ও ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। দীর্ঘ চাকরি জীবনে ছিলেন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একচ্ছত্র অধিপতি হিসাবে পরিচিতি পেলেও দাপট ছিল সব মন্ত্রণালয়েই। যা বলতেন তাই আদায় করে নিতেন।

মায়ের নামে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন খুলে নীরব চাঁদাবাজি আর ঘুস বাণিজ্যের হাট বসিয়েছিলেন। বিদেশি সাহায্যের নামে শত শত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এই ফাউন্ডেশনের নামে। দীর্ঘদিন পর দুর্নীতি দমন কমিশন তার ও পরিবারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পদ-পদবি না থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্য একটি দপ্তরে কর্মরত এক নারীকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে পোস্টিং দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। ওই নারী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সময়ে একজন ক্যাডার কর্মকর্তার স্ত্রী ছিলেন। লায়লা সানজিদা নামের ওই নারীকে অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার পদ দিয়ে বছরের পর বছর নিজের দপ্তরে সংযুক্ত রাখেন, যা ছিল নজিরবিহীন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তূর্য নামে একটি প্রমোদতরি নির্মাণ করেন কবির বিন আনোয়ার। সময় পেলেই সব আয়োজন নিয়ে রাজা-বাদশাহর মতো এই প্রমোদতরিতে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন অবলীয়ায়। আর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী থাকলেও কাউকেই তিনি পাত্তা দিতেন না। তার পিতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সভাপতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। পিতার পরিচয়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ছিলেন কবির বিন আনোয়ার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত যুগ্মসচিব হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক থাকাবস্থায় তার ক্ষমতা প্রকট হতে থাকে। ওই বছরের ৭ এপ্রিল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি নিয়ে ওইদিনই তাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক করে পদায়ন করা হয়। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ৬ বছরেরও বেশি সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

ওই বছরের ২২ মার্চ অতিরিক্ত সচিব থাকাবস্থায়ই কবির বিন আনোয়ারকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) করা হয়। এটা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এই দাপটেই তিনি ড্যামকেয়ার অবস্থায় ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রীকেও তিনি তোয়াক্কা করতেন না। একা যা সিদ্ধান্ত নিতেন তাই বাস্তবায়ন হতো এখানে।

কবির বিন আনোয়ারের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী চাকরি হারানোর ভয়ে কথা বলতে পারতেন না। এভাবে নিজের ইচ্ছামতো প্রকল্প ভাগিয়েছেন সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে। আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে যে কজন আমলা থেকে শত শত কোটি টাকা ভাগিয়ে নিয়েছেন তার মধ্যে কবির বিন আনোয়ার অন্যতম।

কামারখন্দ গ্রামের বাসিন্দাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, ক্ষমতার দাপটে গ্রামের বাড়ির মানুষের যে ক্ষতি করেছেন তিনি তা কোনো শত্রুও করবে না। কী ক্ষতি করেছে জানতে চাইলে ইমাম হোসেন নামে একজন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ড্রেজিংয়ের নামে শত শত বিঘা জমিতে নদীর পানি মিশ্রিত বালি ফেলে শেষ করে দিয়েছেন। তার দাপটেই ঠিকাদাররা এই কাজ করেছে। এলাকাবাসী বাধা দিলে পুলিশ ডেকে শত শত মানুষকে এলাকাছাড়া করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। তার এই কাণ্ডে কয়েকশ বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে গেছে।

সরকারি কর্মকর্তা হলেও তিনি সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতেন। তার সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে চলাচল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন নেতাকর্মীকে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাছে টানতেন। তাদের মাধ্যমে নানারকম অপরাজনীতি সংঘটিত করতেন। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় সংঘর্ষ ও হানাহানির মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন এই আমলা।

তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে প্রধান অতিথি করতে বাধ্য করতেন। বিগত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কামারখন্দ উপজেলায় তার অনুগত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রেজাকে বিজয়ী করার জন্য অবৈধভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন তাকে মৌখিকভাবে সতর্কও করেছিল। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারকে চাপ প্রয়োগ দিয়ে তার প্রার্থীকে যে কোনো মূল্যে বিজয়ী করতে প্রভাবিত করেন। তিনি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও প্রভাবিত করেন। এভাবে তিনি তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করেন।

এমনকি বিজয়ীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বঘোষিতভাবে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সচিব কবির বিন আনোয়ার অতর্কিত উপস্থিত হয়ে শপথ কার্যক্রম পরিচালনার ইচ্ছা পোষণ করেন। এতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সবাই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যান।

বিগত বন্যাকালীন উপজেলায় বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণসামগ্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাপ প্রয়োগ করে নিজের প্রতিষ্ঠান ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের নামে বিতরণ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং প্রকল্প উদ্বোধন করতেন।

লুটপাটের চিত্র : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন তার আত্মীয়স্বজনদের ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন কবির বিন আনোয়ার। তাদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ২০১২ সাল থেকে সিনিয়র সচিব হিসাবে চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার আগ পর্যন্ত সব প্রকল্প তদন্ত করলে শত শত কোটি টাকা লোপাটের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা মানিক চৌধুরী। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

সেই অভিযোগটি আমলে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগে তিনি সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিগত কয়েক বছরের বরাদ্দ তদন্তের আওতায় নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বরাদ্দের মধ্যে অন্তত আড়াইশ কোটি টাকার কাজ অবৈধভাবে তার আত্মীয়স্বজন ও অনুসারীদের দিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ পাড়ার সুলতান মাহমুদকে ৭০ কোটি টাকা, হোসেনপুরপাড়ার জাকির হোসেনকে ৬০ কোটি টাকা, দিয়ারধানগড়ার নাছিমুর রহমানকে ৪০ কোটি টাকা, হোসেনপুরপাড়ার জাকির হোসেনকে ২৫ কোটি টাকা, স্টেডিয়াম রোডের রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ১০ কোটি টাকা, রেলওয়ে কলোনি (চামড়াপট্টি) আব্দুল্লাহ বিন আহমেদকে ২০ কোটি টাকার কাজ, দত্তবাড়িপাড়ার হোসেনকে ২০ কোটি টাকার কাজ, সমাধানগড়াপাড়ার শামসুজ্জামান আলোকে ২৫ কোটি টাকার কাজ, জানপুরের বদরুল আলমকে ১২ কোটি টাকা, কামারখন্দ উপজেলার পেছরপাড়া গ্রামের সেলিম রেজাকে ৮০ কোটি টাকার কাজ, ঝাঐলগ্রামের হীরাকে ৩০ কোটি টাকার কাজ, নান্দিনা মধু গ্রামের সানোয়ারকে ১৫ কোটি টাকার কাজ সাবকন্ট্রাক্টে ভাগ করে দিয়ে লুটপাটে ভাগ বসিয়েছেন।

আবার এদের প্রধান করেই মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে গ্রুপ করে দিয়েছেন। অথচ এরাই এলাকায় বিতর্কিত। তারা নিন্মমানের কাজ করে এবং কিছু কিছু কাজ একেবারেই না করেও প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন। কবির বিন আনোয়ারের বোনজামাই হিলটনের ভাই শামিমুর রহমান শামিমের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়ার দুর্নীতিসহ সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করে কবির বিন আনোয়ারের মাদক পার্টনার হিরন, চাচাতো ভাই তরুন ও আরিফ। তার আত্মীয়স্বজনের সিন্ডিকেট ঠিকাদারিসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ব্যাপারেও ব্যাপক দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ করেন।

তিনি চাপ প্রয়োগ করে অবৈধভাবে প্রকল্প তৈরির সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের দিয়ে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে দেন। নিয়মবহির্ভূতভাবে বিশেষ জরুরি আখ্যা দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া না করে সরাসরি বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাজ দেন। তাছাড়া প্রকল্প চলাকালেও দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ মাত্রাতিরক্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদান করেন। তার আমলে এভাবে শুধু অতিরিক্ত বরাদ্দের মাধ্যমেই ত্রিশ হাজার কোটি টাকা লুট করার অভিযোগ করা হয়েছে।

শুধু সিরাজগঞ্জেই প্রতিটি প্রকল্পের ব্যয় পাঁচ-ছয়গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকার নদীর তীর সংরক্ষণে প্রকল্পের প্রতি কিলোমিটারে ১২ কোটি থেকে ১৭ কোটি স্বাভাবিক ব্যয় আকস্মিকভাবে ৭৩ কোটি টাকা করা হয়। তার আশীর্বাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের পুকুর খননে প্রশিক্ষণ নিতেও বিদেশ পাঠানোর নজির রয়েছে। নদী খননের জন্য ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ১২৯২ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাবেক সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। পানিসম্পদ সচিব পদে যোগদানের পর বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলেও অভিযোগ আছে।