আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ, আতঙ্কে গ্রামবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামে আবারো বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে। রোববার বিকাল ও সোমবার সকালে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামবাসী। এতে গ্রামের মানুষের মধ্যে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াইল্ড টিম, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা গ্রাম পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন। বাঘটি শনিবার রাতে গ্রামে ঢুকে আবার বনে ফিরে গেছে বলে ধারণা করছেন বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। এর আগেও চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রাতে একই গ্রামে বাঘ এসেছিল।

সোনাতলা মডেল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ও ভিটিআরটি সদস্য মো. মাহাবুব হাসান জানান, রোববার বিকালে তিনি প্রথমে ভোলা নদী তীরের বাসিন্দা মজিবর হাওলাদারের বসতঘরের পেছনে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। এসময় তিনি মাটি খুঁড়ে বাঘের পায়ের একটি ছাপ সংগ্রহ করেন। রাতে মসজিদের মাইকে বিষয়টি প্রচার করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।

বেড়িবাঁধের বাইরে বনসংলগ্ন ভোলা নদীর চরে বসবাসকারী ওহিদুল মোল্লা, ইউনুচ মোল্লা, শেফালী বেগম, ময়না বেগমসহ অনেকেই জানান, তাদের ঘরের আশপাশেই বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। তারা সবাই আতঙ্কে আছেন।

পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, সোনতলা গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখার পর ভোলা ফরেস্ট ক্যাম্পের বনরক্ষীদের খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন সুরক্ষায় নিয়োজিতসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের গ্রামে পাহারায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। এবার সপ্তাহ জুড়ে অনলাইনে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছেন তারাই আজ যাত্রা করছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ গত ২৪ মার্চ যেসব যাত্রী বুধবারের (৩ এপ্রিল) অগ্রিম টিকিট কেটেছেন কেবলমাত্র তারাই আজ কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করছেন।

এদিন সকাল থেকেই শুরু হওয়া বিশেষ ট্রেন যাত্রায় ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। তবে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে শুরুতেই। নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি কোনো ট্রেন।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। টিকেট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না।

যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তার পাশেই বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব- ৩ এর এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। আর প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে হলেও আবার দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরের দিকে তারা প্রবেশ করতে পারছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে সিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

উম্মে সালমা নামে এক যাত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তেমন ভিড় কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কোনো ট্রেনে খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি যাত্রীদের জন্য একটি সুন্দর ঈদযাত্রা আমরা উপহার দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রার ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়।

এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর