ময়মনসিংহের তারাকান্দার কাশিগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন।
তাঁরা হলেন- নেত্রকোনা সদরের লাকি আক্তার (৩০), তার ফুফাতো বোন সাকি আক্তার (২২) ও সিএনজিচালক মোস্তাকিম আহমেদ (৩৫)। সিএনজিচালক সম্পর্কে লাকির মামাতো ভাই।
লাকি আক্তার ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে নিজের মেয়ে, ভাই, ভাগ্নি ছিল। দুর্ঘটনায় লাকি মারা গেলেও তার তিন বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তার বেঁচে আছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
দুর্ঘটনায় আহত শাহীন খান বলেন, ‘বোনের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাদের সামনে ও পেছনে দুটি ট্রাক ছিল। হঠাৎ সমানে থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে আমাদের সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে আমার বোন, ফুফাতো বোন ও মামাতো ভাই সিএনজি চালক মারা গেছেন। আমার বোনের মেয়ের অবস্থাও ভালো নয়।’
দুর্ঘটনায় তিন বছরের হুমায়রা বেঁচে গেলও তার অবস্থা সংকটাপন্ন। হুমায়রা নেত্রকোনা সদরের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বজনরা হুমায়রাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে না রাখায় ফের ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি সিএনজি নেত্রকোনার দিকে যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাশিগঞ্জ বাজার এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।’