আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাচুপিচু: পেরুর বিস্ময়কর ইনকা নগরী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার  কারণে আপাতত পর্যটক প্রবেশ বারণ ইনকাদের শহরটিতে। তবে মাচুপিচু নিয়ে লেখাপড়ায় নিশ্চই বাধা নেই।

অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার: ১৯১১ সালের ২৪ জুলাই, সকাল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম পেরুর প্রাচীন ইনকা ধ্বংসাবশেষের কিংবদন্তি সত্যি কি না, তা অনুসন্ধানে বের হয়েছেন। তাঁর সঙ্গী দুজন গাইড। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ করে এগোতে হচ্ছে তাঁকে। হামাগুড়ি দিয়ে গাছের গুঁড়ির একটি প্রাকৃতিক সেতু পেরোলেন। তারপর বিষধর পিট ভাইপার সাপেদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এমন একটি ঝোপঝাড়ময় এলাকা অতিক্রম করলেন খুব সাবধানে।  দুই ঘণ্টা হাঁটার পর বিংহ্যাম ও তাঁর সঙ্গীরা এক কুঁড়ের সামনে চলে এলেন। সেখান থেকে স্থানীয় দুজন কৃষক তাঁদের কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক ছেলের দায়িত্বে ছেড়ে দিলেন। আর ওই ছেলের পেছনে পেছনে চলতে চলতে বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে এমন একটি কিছুর খোঁজ পেয়ে গেলেন, যাকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে। ২০০৭ সালে এই আবিষ্কার মানে মাচুপিচুর নাম ওঠে নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।

বিংহ্যাম যার খোঁজ পেলেন, সেটি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল এক পাথরের নগরী। শহরের দালান-কোঠাগুলোতে চুন-সুরকির মিশ্রণ ছাড়া একটার পর একটা পাথর গায়ে গায়ে এভাবে লেগে আছে যে একটি ছুরির ফলা ভেতরে ঢুকবে না। অবাক বিংহ্যাম ভাবলেন, কিন্তু কেন? কারাই বা এটা করল? পেরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কালচারের একসময়কার পরিচালক ও পেরুভিয়ান বিশেষজ্ঞ লুই লামবরারারস পরে মাচুপিচুকে পরিচয় করিয়ে দেন, প্রাসাদ, মন্দির, বসতঘর, গুদামের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক নগরী হিসেবে; যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় রীতি উদযাপন করা হতো। মাচুপিচুতে দালান, চত্বর আর চাতালগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সরু লেন বা পথের মাধ্যমে। শহরটির বিভিন্ন অংশ ঘিরে রাখা বেষ্টনী, পরিখা সবকিছু মিলিয়ে একে সামরিক ঘাঁটি মনে হলেও লামবরারারসের ধারণা ছিল এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপনীয় ধর্মীয় আচার পালনের জন্যই।

সেই হারানো শহর নয়: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯১৩ সালের এপ্রিল সংখ্যায় বিংহ্যামের আবিষ্কারের কাহিনি ছাপা হয়। সেই সঙ্গে পেরুর পাহাড়রাজ্যের এই আশ্চর্য নগরী পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।  বিংহ্যামের বিশ্বাস ছিল, তিনি ইনকাদের সেই হারানো শহর ভিলকাবামবার খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে শেষ স্বাধীন ইনকা শাসক স্পেনীয় আক্রমণকারীদের সঙ্গে এক বছর মরণপণ লড়াই করেছিলেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী বিংহ্যামের ওই ধারণাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সত্যি হলো, বিংহ্যাম যে নগরী আবিষ্কার করেছেন, সেটি সেই হারানো শহর নয়, বরং নতুন এক হারানো শহর।  ১৯৬৪ সালে অভিযাত্রী গেনে সেভয় ওই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তিনি প্রমাণ করেন, মাচুপিচুর পশ্চিমে এসপিরিতো পাম্পা হলো বিংহ্যামের খোঁজ করা সেই হারানো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও ১৯১১ সালের সেই অভিযানের সময় বিংহ্যাম এসপিরিতো পাম্পার সেই ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিলেন। ইনকাদের কিছু পাথরের দেয়াল আর সেতু খুঁজে বেরও করেছিলেন। তবে এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যান মাচুপিচুর দিকে। সেভয় বাকি বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান।

মাচুপিচু তাহলে কী: সেভয়ের এই আবিষ্কারে একটা নতুন প্রশ্ন চলে এলো সামনে, তাহলে বিংহ্যামের সন্ধান পাওয়া শহরটির পরিচয় কী? স্প্যানিশদের কোনো নথিতে সেভাবে আসেনি মাচুপিচুর কথা। তার মানে, ইনকাদের রাজধানী কাস্কো থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হলেও ইউরোপীয় আক্রমণকারীরা এই নগরের খোঁজই পাননি আদতে। এমনকি এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও নেই কোনো তথ্য।  বিংহ্যাম ধারণা করেন, এখানে ইনকা সাম্রাজ্যের নির্বাচিত নারীদের রাখা হতো, যারা ইনকা রাজা ও তাঁর সভাসদদের সেবা করতেন। তিনি শতাধিক কঙ্কাল পান এলাকাটিতে। তাঁর মতে, এগুলোর ৭৫ শতাংশ নারীর। তবে পরবর্তী গবেষণায় এখানে বাস করা নারী-পুরুষের সংখ্যা মোটামুটি সমান ছিল বলেই প্রমাণ মেলে।

আধুনিক ধারণা: মাচুপিচু নিয়ে জন রো, রিচার্ড বারগার, লুসি সালাজারদের গবেষণায় অনুমান করা হয় ইনকা শাসক পাচাচুটি শহরটি স্থাপন করেন বিশ্রাম নেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে। বারগার যেমন মনে করেন অভিজাতরা যেন শহরে কোলাহল, কর্মব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বানানো হয় শহরটি।  আরেক গবেষক ব্রায়ান বউয়ারের ধারণা, ১৪৫০ সালের দিকে স্থাপন করা হয় শহরটি। এটির আয়তন ইনকা শহর বিবেচনায় বেশ ছোট। আর এখানে সাধারণত ৫০০-৭৫০ জন মানুষ থাকত।  কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, নির্মাণের ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সম্ভবত স্পেনীয়রা এ এলাকায় আগমনের আগেই শহরটির অধিকাংশ অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

মাচুপিচুতে কী দেখবেন: মাচুপিচু শব্দের অর্থ পুরোনো পর্বত। শহরটির অবস্থান পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার (৭ হাজার ৮৭৫ ফুট) উচ্চতায়। মাচুপিচুতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। প্রতিটি স্থাপনা, জায়গা বা জিনিসের নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ আছে। তবে সবই পুরাতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়। এই নগরীর মধ্যে ১৯৬টির মতো পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আছে মন্দির, ঝরনা, বসতঘরসহ আরও কত কী! মাচুপিচু ভ্রমণের সময় প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এক দেয়াল দিয়ে আলাদা দুটি অংশ পাবেন। একটি অংশ মূলত কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত এলাকা, অপর অংশকে মূল শহর বলতে পারেন। কৃষি এলাকাটায় বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য ধাপে ধাপে কাটা জমি আর চাতাল চোখে পড়ে। সেখানেই ছোট ছোট কিছু বাড়ি আছে, ধারণা করা হয়, এগুলো কৃষকদের থাকার জায়গা।  অন্য অংশে পাবেন রাজাসহ অভিজাতদের বাড়ি। আছে শহরের বিভিন্ন আচার পালনের মূল কেন্দ্র প্লাজা সাগরাদা। এখানেই পাবেন ইনতিহুয়ানতানা পাথর, একে সূর্যপাথর নামেও চেনে। গ্রুপো দেল কনডর নামে পরিচিত ধর্মীয় আচার পালনের মন্দির এলাকার অবস্থানও এখানে।

আপাতত বন্ধ মাচুপিচুর দুয়ার: মাচুপিচুতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাস্কো শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপবেন কিংবা শুরু করবেন হাঁটা। ট্রেনে চাপলে পৌঁছাবেন এগুয়েস কেলুয়েন্তেস স্টেশনে। এখান বাসের ছোট্ট একটি ভ্রমণই আপনাকে পৌঁছে দেবে ইনকাদের রহস্যময় নগরী মাচুপিচুর কাছে। তবে আপাতত চাইলে আশ্চর্য সুন্দর জায়গাটিতে যেতে পারবেন না। পেরুর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাচুপিচু ও ইনকা ট্রেইল আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ। কাজেই পরিকল্পনা করতে থাকুন, আপনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে এবং যোগাড়যন্ত্র শেষ করতে করতে আশা করা যায় ইনকা নগরীর দুয়ার খুলে যাবে আবার!

নিউজ ট্যাগ: মাচুপিচু

আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেবানন থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দেশটি প্রায় ১০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে লেবানন থেকে ব্যাপক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চল ও অধিকৃত গোলানকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে এসব রকেট ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলো খোলা জায়গায় পতিত হয়েছে।

ইসরায়েলি আর্মি রেডিওসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলানকে নিশানা করে ৩০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ আলজাজিরা জানায়, লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। দেশটির সেনাদের এ হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ৯ জন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।


আরও খবর



এসএসসিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে গড় পাসে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। আজ প্রকাশিত ফলে দেখা যায় ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এসময় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেন। শিক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি, ফলেও মেয়েরা এগিয়ে, এটি যেমন সুখবর। একইভাবে কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের তিনি বলেন, যার যার বোর্ডে আপনারা খবর নেন, কী কারণে ছেলেরা পিছিয়ে। ইদানীং কিশোর গ্যাং দেখছি। এগুলো তো আমরা দেখতে চাই না। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, একটা সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বিবিএসকেও বলবো দেখতে।’

আজ প্রকাশিত এ ফলাফলের মধ্যে রয়েছে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন’র (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।

জানা গেছে, অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়ালে বন্ধু ও ওয়াইএসআরসিপি বিধায়ক রবিচন্দ্র কিশোর রেড্ডির বাড়িতে গিয়েছিলেন আল্লু। আর সেখানে প্রিয় অভিনেতাকে একনজর দেখতে ভক্তদের ভিড় জমে যায়।

পরে ব্যালকনি থেকে হাত নেড়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আল্লু অর্জুন। এ সময়ে তারা জোরে জোরে পুষ্পা, পুষ্পা স্লোগান দিচ্ছিলেন।

অভিনেতা এবং ওয়াইএসআরসিপি বিধায়ক রবিচন্দ্র কিশোর রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, শনিবার সমাবেশের জন্য পূর্বানুমতি ছাড়াই আল্লু অর্জুনকে আমন্ত্রণ জানান বিধায়ক রেড্ডি। ফলে নির্বাচনী বিধি অমান্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করা হয়।

মামলাটি নথিভুক্ত করেন ডেপুটি তহসিলদার পি রামচন্দ্র রাও। তিনি অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়াল নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত।

বিষয়টি নিয়ে আল্লু অর্জুন বলেন, আমার বন্ধুদের মধ্যে তারা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন, আমার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি এগিয়ে যাব এবং তাদের সাহায্য করব। এর মানে এই নয় যে, আমি কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করছি।


আরও খবর



টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। যদিও সাগরিকার আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আছে বাতাসও। ক্রিকইনফোর আবহাওয়া আপডেট বলছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে বৃষ্টি হতে পারে।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। ওয়ানডেতে এর আগে ১৫টি ম্যাচ খেললেও বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হচ্ছে তার। টসের আগে তার মাথায় টি-টোয়েন্টি অভিষেকের ক্যাপ পরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

দুই দলের একাদশ

বাংলাদেশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ক্রিকেটের এই মেগা টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ।


আরও খবর