মাদারীপুরে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি শওকত তস্তারকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শওকত সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) তার বাবা ও দাদির সঙ্গে উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করে। গত শুক্রবার দুপুরে বাজার থেকে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। এ সময় তার পথ রোধ করেন শওকত তস্তার। পরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে হাত-পা বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন শওকত। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে শওকত তাকে ফেলে পালিয়ে যান। পরে স্বজনেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার এক দিন পরই ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শওকত তস্তারকে আসামি করে সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামি শওকত তস্তার গা ঢাকা দেন। তাঁকে ধরতে একাধিক অভিযান চালায় পুলিশ।
বিষয়টি র্যাবের নজরে এলে মাদারীপুর র্যাব-৮ ও র্যাব-১১ তদন্ত শুরু করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, আসামি শওকত তস্তার নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন। এরপর র্যাবের একটি দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় অভিযান চালিয়ে শওকতকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মুহতাসিম রসুল বলেন, মামলা হওয়ার আগে থেকেই অভিযুক্ত আসামি শওকত পলাতক ছিলেন। বিষয়টি নজরে এলে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন তাঁরা। একপর্যায় অবস্থান শনাক্ত করে আসামি শওকতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।