আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মাধ্যমিক শিক্ষায় ফিরছে বিভাগ বিভাজন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনায় আবারও চালু হচ্ছে বিভাগ বিভাজন (মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান)। আগামী বছর (২০২৫ সালে) যারা নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ রেখে পাঠ্যসূচি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রমের ২০১২ সালের প্রচলিত রীতি ফিরে আসছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্রে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা) নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রাখা হবে। অন্যদের আগের ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক (অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা-বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠাপুস্তকগুলো একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, যে সব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) দেওয়া হবে। এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে।

পাঠ্যপুস্তক ও মূল্যায়ন পদ্ধতি

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ ও নতুন পুস্তক মুদ্রণ এবং চলমান মূল্যায়ন পদ্ধতি সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা বিষয়ক এ পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানাবিধ বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান। এই পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে।

ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সালব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, শ্রেণি কার্যক্রমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোয় পাঠনো হবে।

শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত হবে ২০২৫ সালে

শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে ১৩ শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং নিহত শিশুদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খোন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টারের গুলিতে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবার ১ কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়।


আরও খবর



দেশে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ফেনীতে।

এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব জেলাগুলোতে বন্যায় এখন পর্যন্ত (শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

এতে জানানো হয়, বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মী পুর ও কক্সবাজার)। উপজেলা  ৭৭ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৫৮৯টি।

১১ জেলায় মোট ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৯ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৯ জন, মারা গেছেন ১৫ জন‌। পুরুষ ১৩ জন, নারী ২ জন। মারা যাওয়ার মধ্যে কুমিল্লায় ৪, ফেনীতে ১, চট্টগ্রামে ৪, নোয়াখালীতে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ এবং কক্সবাজারে ৩ জন রয়েছেন।

তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, পানিবন্দি/ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩,১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ জন লোক এবং ১৮ হাজার ৯৬টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬৩৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসককে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বিজিবি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এবং সচিব বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বন্যা উপদ্রুত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। উপদেষ্টা এখনও উপদ্রুত এলাকায় অবস্থান করছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বর্তমানে উপদ্রুত এলাকায় অবস্থান করছেন।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সচিবদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করছেন সচিবরা। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।

জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না।

জানা গেছে, সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অস্ট্রেলিয়ায় সেমিফাইনালের পথে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অস্ট্রেলিয়ায় ৯ দলের টপ এন্ড সিরিজে তৃতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল (এইচপি)। অস্ট্রেলিয়ার দল পার্থ স্করচার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে আকবর আলির দল। এই জয়ের সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবে টিক থাকলো বাংলাদেশ। 

শনিবার (১৭ আগস্ট) প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে পার্থ স্করচার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন টিয়াগু উইলি। বাংলাদেশের পক্ষে রিপন মন্ডল ও রকিবুল হাসান নেন ২টি করে উইকেট।

১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আউট হন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপরও বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হারতে বসা ম্যাচে হাল ধরেন আরেক ওপেনার জিশান আলম। ২৬ রান করেন এই ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক আকবর আলি করেন ৩৩ বলে ৩৫ রান।

শেষ দিকে মাহফুজ রাব্বির ১৩ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

নিউজ ট্যাগ: অস্ট্রেলিয়া

আরও খবর



১০ বছরেও সুপেয় পানির সংকট কাটেনি জয়পুরহাট পৌরসভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাট পৌরসভার বাসিন্দাদের সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ওভারহেড ট্যাংক। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাননি বাসিন্দারা। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণের কথা থাকলেও সেটা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ ধরে পড়ে রয়েছে ওভারহেড ট্যাংকটি। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট না থাকায় ১০ বছর ধরে সুপেয় পানি সংকটে রয়েছে পৌরসভার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি, অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ওই প্লান্টটি এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমানে ট্যাংকটি পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১০ বছর ধরে তারা সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। দ্রুত ওই ট্যাংক চালু করে সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি তাদের।

জয়পুরহাট পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ জুন ওভারহেড ট্যাংক ও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মাঝারি শহরে পানি সরবাহ ও স্যানিটেশন (জিওবি-এডিবি) যৌথ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার খঞ্জনপুরে প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়। তবে প্রকল্প প্যাকেজের আওতায় তখন শুধু ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ করা হলেও পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি সেখানে। প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল কাজটি শেষ হয়। প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বিল উত্তোলন করে নিলেও ১০ বছরে সুপেয় পানি সরবরাহ করা যায় নি।

এব্যাপারে জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, আমি বিষয়টি পৌরসভার বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা করেছি। কিন্তু কেউ তখন সেটাকে গুরুত্ব দেননি। এজন্য সমাধানও হয়নি।

কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ শুরু হয়নি বলে মনে করেন পৌরসভার বাসিন্দারা। পরিত্যক্ত থাকায় ট্যাংকসহ ও অন্যান্য সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়েছে।

এপ্রসঙ্গে প্যানেল মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঝর্ণা বলেন, এখানে অবশ্যই দুর্নীতি করা হয়েছে, না হলে এতদিনেও এটি চালু হলো না কেন? জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। এজন্য আমি চাই এটা দ্রুত চালু করা হোক, এতে জনগণের উপকার হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও পৌরসভার প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব। শিগগিরই ট্যাংকটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ট্যাংকটি বন্ধ থাকায় পূর্ব এলাকার ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। দ্রুত পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট নির্মাণ করে বন্ধ ট্যাংকটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।

খঞ্জনপুরের খালেক উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক আব্দুর রহমান ও ফিরোজসহ কয়েকজন নাগরিক বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি। এখনো অনেকেই জানেন না, ট্যাংকটি চালু নেই। পানির ট্যাংকটি ১০-১২ বছর আগে নির্মাণের পর থেকে এখনো চালুই হয়নি, অকেজো পড়ে রয়েছে। ট্যাংকটি কোনোদিন চালু না হওয়ায় এখান থেকে সুপেয় পানির সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ট্যাংক নির্মাণ করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি নির্মাণ না হওয়ায় যেসব পাম্প বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছিল, সেগুলো এখন হারিয়ে গেছে। ট্যাংক চালু না হওয়ায় শহরের পূর্ব এলাকার সিও কলোনি ও বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরের ট্যাংক থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় পানের অযোগ্য পানি সরবরাহ করা হয়।

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদুল ইসলাম সোহেল  বলেন, সবকিছুই বরাদ্দ ছিল, কিন্তু বিগত সময়ে মেয়রের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে ট্যাংকটি চালু হয়নি। যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) খালেদুল হক জানান, প্রকল্পের আওতায় শুধু ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট করা হয়নি। এজন্য ওই ট্যাংক দিয়ে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। প্লানটি নির্মাণ করা হলে ওই অঞ্চলের অধিকসংখ্যক মানুষ সুপেয় পানি পাবে, পৌরসভার রাজস্ব আহরণও বাড়বে।

এপ্রসঙ্গে পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি সদ্য প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর