কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে বেতকা মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবতেদায়ী শাখার ভবনের অংশ ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে বাড়ির গেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমি স্থানীয় কাজী পরিবার দান করেন।
পরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে তিন কক্ষ বিশিষ্ট এক তলা ভবন তৈরি করা হয়। এই ভবনের উত্তর দক্ষিণপাশেই রয়েছে মাদ্রাসাটির এবতেদায়ী শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের তিন কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা (ফ্লোর পাকা) একটি ঘর। ওই ঘরটির পাশেই রয়েছে কাজী বাড়ির পারিবারিক রাস্তা। কাজী বাড়ির ওই রাস্তাটির প্রবেশ মুখে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল সত্তার কাজীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন কাজী একটি গেট নির্মাণ করছেন। সেই গেটের একটি পিলার এবতেদায়ী মাদ্রাসার ঘরের চালের অংশ ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে সেই জায়গায় তৈরি করছেন তিনি। এবিষয়ে মাদ্রাসাটির ঘর ও সীমানা ওয়াল রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় ফজলে হোসেন রাব্বি নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক, জেলা মাধামিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
বেতকা মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ খান বলেন, মাদ্রাসার এবতেদায়ী শ্রেণির ঘর ও জায়গা আমরা ব্যবহার করলেও তা আমাদের নামে রেকর্ড না। জায়গাটি কাজীদের নামে রেকর্ড। আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের বাড়ির যে গেট তৈরী করছেন,ওই গেটের কাজের জন্য মাদ্রাসার সীমানা ওয়াল ও ঘরের চালের টিনের অংশ ভেঙ্গে তার কাজ করছেন। তবে কাজ শেষ হলে তা আবার ঠিক করে দিবেন বলে আমাকে বলেছেন।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল সত্তার কাজী বলেন, এবতেদায়ী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য তৈরি করা ঘরটির জায়গা রেকর্ড পত্র অনুযায়ী এখনও আমাদের। ওই এবতেদায়ী ঘরটি আমরাই তৈরি করে দিয়েছি। তার পারেও মাদ্রাসার সার্থে ওই জায়গা দখলে নেয়ার আমাদের পরিবারের কোন ইচ্ছা নেই। ওই মাদ্রাসার সাথেই আমাদের বাড়ির রাস্তা। সেই রাস্তায় আমার ছেলে পারিবারিক গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিলে মাদ্রাসার পাশের অংশের গেটের পিলারটি তৈরির জন্য মাদ্রাসার সীমানা ওয়ালের কয়েকটি ইট ও ঘরের চালের টিনের একটু খোলা হয়েছে। গেটের কাজ শেষ হলে তা আবার আমরা ঠিক করে দিব।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মাদ্রাসার সম্পত্তি আমাদের পুর্ব পুরুষেরা দান করেছেন। আর এবতেদায়ী শ্রেণি ঘরটির জায়গা আমাদের নামে রেকর্ড। তার পরেও ওই জায়গা আমরা মাদ্রাসার সার্থে দখলে নেইনি। মাদ্রাসার ওই ঘরটির সাথেই আমাদের কাজী বাড়ির পারিবারিক রাস্তা। সেই রাস্তার সম্মুখে বাড়ির গেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি আমি। আর ওই গেটটি তৈরির সময় মাদ্রাসার পাশের পিলারটির কাজ করার সময় মাদ্রাসার সীমানা ওয়ালের ও চালের টিনের একটু অংশ খোলা হয়েছে। কাজ শেষ তা আবার আমি ঠিক করে দিব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, মাদ্রাসার ভবন ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে পারিবারিক গেট তৈরির বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।