আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মাদ্রাসার ঘর ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে সভাপতির ছেলের বাড়ির গেট নির্মাণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে বেতকা মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবতেদায়ী শাখার ভবনের অংশ ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে বাড়ির গেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমি স্থানীয় কাজী পরিবার দান করেন।

পরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে তিন কক্ষ বিশিষ্ট এক তলা ভবন তৈরি করা হয়। এই ভবনের উত্তর দক্ষিণপাশেই রয়েছে মাদ্রাসাটির এবতেদায়ী শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের তিন কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা (ফ্লোর পাকা) একটি ঘর। ওই ঘরটির পাশেই রয়েছে কাজী বাড়ির পারিবারিক রাস্তা। কাজী বাড়ির ওই রাস্তাটির প্রবেশ মুখে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল সত্তার কাজীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন কাজী একটি গেট নির্মাণ করছেন। সেই গেটের একটি পিলার এবতেদায়ী মাদ্রাসার ঘরের চালের অংশ ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে সেই জায়গায় তৈরি করছেন তিনি। এবিষয়ে মাদ্রাসাটির ঘর ও সীমানা ওয়াল রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় ফজলে হোসেন রাব্বি নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক, জেলা মাধামিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

বেতকা মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ খান বলেন, মাদ্রাসার এবতেদায়ী শ্রেণির ঘর ও জায়গা আমরা ব্যবহার করলেও তা আমাদের নামে রেকর্ড না। জায়গাটি কাজীদের নামে রেকর্ড। আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের বাড়ির যে গেট তৈরী করছেন,ওই গেটের কাজের জন্য মাদ্রাসার সীমানা ওয়াল ও ঘরের চালের টিনের অংশ ভেঙ্গে তার কাজ করছেন। তবে কাজ শেষ হলে তা আবার ঠিক করে দিবেন বলে আমাকে বলেছেন।

মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল সত্তার কাজী বলেন, এবতেদায়ী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য তৈরি করা ঘরটির জায়গা রেকর্ড পত্র অনুযায়ী এখনও আমাদের। ওই এবতেদায়ী ঘরটি আমরাই তৈরি করে দিয়েছি। তার পারেও মাদ্রাসার সার্থে ওই জায়গা দখলে নেয়ার আমাদের পরিবারের কোন ইচ্ছা নেই। ওই মাদ্রাসার সাথেই আমাদের বাড়ির রাস্তা। সেই রাস্তায় আমার ছেলে পারিবারিক গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিলে মাদ্রাসার পাশের অংশের গেটের পিলারটি তৈরির জন্য মাদ্রাসার সীমানা ওয়ালের কয়েকটি ইট ও ঘরের চালের টিনের একটু খোলা হয়েছে। গেটের কাজ শেষ হলে তা আবার আমরা ঠিক করে দিব।

অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন  জানান, মাদ্রাসার সম্পত্তি আমাদের পুর্ব পুরুষেরা দান করেছেন। আর এবতেদায়ী শ্রেণি ঘরটির জায়গা আমাদের নামে রেকর্ড। তার পরেও ওই জায়গা আমরা মাদ্রাসার সার্থে দখলে নেইনি। মাদ্রাসার ওই ঘরটির সাথেই আমাদের কাজী বাড়ির পারিবারিক রাস্তা। সেই রাস্তার সম্মুখে বাড়ির গেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি আমি। আর ওই গেটটি তৈরির সময় মাদ্রাসার পাশের পিলারটির কাজ করার সময় মাদ্রাসার সীমানা ওয়ালের ও চালের টিনের একটু অংশ খোলা হয়েছে। কাজ শেষ তা আবার আমি ঠিক করে দিব।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, মাদ্রাসার ভবন ও সীমানা ওয়াল ভেঙ্গে পারিবারিক গেট তৈরির বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



ধর্ষণ-কাণ্ডে বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

একটি মামলা চলমান থাকার মধ্যেই সম্প্রতি ভূঞাপুরের লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বড় মনিরকে। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সোমবার (০১ এপ্রিল) বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার জায়গায় ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কলেজ সভাপতি হিসেবে নিয়োগের দুই সপ্তাহ পর গত ২৯ মার্চ তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী।

ওইদিন রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কলের সূত্র ধরে বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বড় মনির। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

বড় মনির টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। তার অনুরোধে ভূঞাপুরের লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে বড় মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।


আরও খবর



ইন্দুরকানীতে যুবলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ইন্দুরকানীতে বাপ্পী মোল্লা (৩০) নামে এক যুবলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলায় আহত ইমরান হোসেন বাপ্পী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সোমবার (২৫ মার্চ) উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুত্বর আহত যুবলীগ নেতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের আগমন উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে ফেরার পথে আল মাদানী মসজিদের সামনে ৪/৫ জন যুবক অতর্কিত বাপ্পীর উপর লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিও ভাংচুর করা হয়। হামলায় আহত বাপ্পীকে উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইন্দুরকানী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাতুব্বর জানান, দলীয় আলোচনা শেষে বাপ্পী মোল্লা বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত কতিপয় যুবক তার উপর হামলা করে। হামলায় তার দুই পা ও হাতে মারাত্বক ইনজুরি হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলা হয়েছে তবে নিজেরা নিজেরা। এটা তাদের অভ্যন্তরীন।


আরও খবর



এবার কুকি-চিনের সহযোগী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) লাল লিয়ান সিয়াম বম নামে এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রুমার বেথেল পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। লাল লিয়ান জেলার সদর ইউনিয়নে ০৪ নং ওয়ার্ডের বেথেল পাড়ার মৃত থন আলহ বমের ছেলে।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায়হান কাজেনী বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রত্যেকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং এরপর দিন থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



কক্সবাজারে নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় রিনা আক্তার (৪০) নামে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানি বলেন, তিনি তারাবি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। এসময় বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও বাড়ির কেয়ারটেকার এবং দোতলার আরেকটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকা এক রোহিঙ্গা নারীকেও হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, যে দা দিয়ে জবাই করা হয়েছে, সেটি জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪