আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সড়কে মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত চারজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের খগাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে।

তাঁরা হলেন মো. ইদ্রিস আলী (৪০), কাজী মাওলানা আমির উদ্দিন (৫০), মো. কালন মিয়া (৩০) ও তাহের। নিহত তাহের মাইক্রোবাসের চালক। তাঁর বাড়ি ঢাকার রায়ের বাজারে। নিহত বাকি তিনজনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।

আরও পড়ুন<< মানবতাবিরোধী অপরাধ: পিরোজপুরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

এর মধ্যে মো. কালন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে এবং কাজী মাওলানা আমির উদ্দিন একই ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জের পারোয়া-আনোয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জন অটোরিকশার যাত্রী। নিহত অপরজন মাইক্রোবাসের চালক।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, এ দুর্ঘটনায় সব মিলে সাতজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন<< ফরিদপুরে বাসচাপায় দুই মোটরাইকেল আরোহী নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৮টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের খগাইল এলাকায় হিন্দ্রগাঁও পিয়াইনগুল কলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছাকাছি এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিলেট অভিমুখী সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পৌঁছা মাত্র ভোলাগঞ্জমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মাইক্রোবাসের সামনের ডান পাশের চাকা ফেটে গেলে অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি যানবাহনই রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর



৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুরু হয়েছে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়, যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গত ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

বিভাগীয় শহর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে তিন হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে সহকারী সার্জন নেওয়া হবে এক হাজার ৬৮২ জন, আর সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে ১৬ জন।

শিক্ষা ক্যাডারে ৫২০, প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোয় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।


আরও খবর



আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে সড়ক বিভাজনে উঠে মেট্রোরেলের পিলারে সজোরে ধাক্কা মেরেছে নিউমার্কেট-আজিমপুরগামী সেফটি এন্টারপ্রাইজের একটি সিটি বাস। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়ক বিভাজনের ওপর উঠে যায়।

কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বাসটির চালক এবং হেলপার পলাতক। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরে গাড়ির কাগজপত্রসহ চালক এবং হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



অরুণাচলের ৩০ স্থানের নাম পাল্টাল চীন, ক্ষুব্ধ ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নতুন নামকরণ করেছে বেইজিং। এমনকি, ১ মে থেকে এই নতুন নামগুলো কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে চীন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

সোমবার (০১ এপ্রিল) অরুণাচলের ৩০টি অঞ্চলের নাম নিজেদের মতো করে প্রকাশ করে চীন। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকার চীনা নাম প্রকাশ করলো দেশটি।

এবার ১১টি আবাসিক এলাকা, ১২টি পার্বত্য এলাকা, ৪টি নদী, ১টি হ্রদ, ১টি গিরিপথ ও ১টি ফাঁকা ভূমির নাম রেখেছে চীন। চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে সামনের মাসের প্রথম দিন থেকেই এসব নাম কার্যকর হতে যাচ্ছে।

এর আগে ২০১৭, ২০২১ ও ২০২৩ সালে চীন তিন দফায় অরুণাচলের বিভিন্ন এলাকার নাম নিজেদের মতো করে রেখেছিল। ২০১৭ সালে প্রথমবার অরুণাচলের ছয়টি স্থানের চীনা নাম প্রকাশ করা হয়। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ১৫টি আর ২০২৩ সালে তৃতীয় দফায় আরও ১১টি স্থানের নামের তালিকা প্রকাশ করে চীন।

এদিকে, বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই চরম ক্ষুব্ধ করেছে ভারতকে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাফ কথা, আপনার বাড়ির নতুন নাম দিলে, বাড়িটা কি আমার হয়ে যাবে? এসব নামকরণ করে কোনো লাভ নেই। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বোধের মতো কাজ করেছে চীন। নতুন নামকরণ করলেও বাস্তবতা বদলে যাবে না। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে আর থাকবে। বেইজিংয়ের নতুন এই নামকরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

অরুণাচলকে চীন নিজেদের রাজ্য জ্যাংনান’ হিসেবে দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিবাদ চলে আসছে। একদিকে ভারতের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, অন্যদিকে চীনও প্রদেশটিকে নিজেদের দাবি করে আসছে।

সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রাজ্যে দু’টি দীর্ঘ টানেল উদ্বোধন করেন। টানেল দুটি সেনাবাহিনীর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, টানেল উদ্বোধনের পর থেকেই বেইজিং অরুণাচল নিয়ে নতুন করে বিবাদ শুরু করে। এরপর থেকেই মূলত জ্যাংনান অর্থাৎ অরুণাচল নিজেদের অংশ বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রচার শুরু করে চীন।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওকাতারের আমির শেখ তামিম। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা ও আমির শেখ তামিম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা।

সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা।

দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর