বড় বড় কোম্পানি ছুটছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত প্রযুক্তি নিয়ে। আর এ-বিষয়ক প্রযুক্তি প্রাথমিক অবস্থায় থাকায় কোম্পানিগুলো পড়ছে বিড়ম্বনায়।
মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট মাঝেমধ্যেই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে, সুস্পষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকার করে এবং ব্যবহারকারীদের ধোঁকাও দেয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিং পর্যবেক্ষণকারীর পর্যবেক্ষণে এমনটাই ধরা পড়েছে।
বিং সার্চ ইঞ্জিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বর্ধিত সংস্করণে নিবেদিত রেডডিটের একটি ফোরাম জানিয়েছে, কথোপকথনের সময় এটি ব্যবহারকারীকে তিরস্কারও করে, মিথ্যা বলে এবং স্পষ্টভাবে প্রশ্নকর্তাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। মাইক্রোসফট কর্মীরা তার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে এবং তাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিও চ্যাটবটটিকে জিজ্ঞাসা করেছিল। এটি পুরো ঘটনাই অস্বীকার করে এবং বলে যে, এটি আমার ও মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে প্রচারণা।
আরও বেশ কয়েকজন অভিযোগ দিয়েছে, চ্যাটবটটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া এটি প্রবন্ধও চুরি করেছে। বর্ণবাদী ঠাট্টা মশকরার অভিযোগও রয়েছে এর বিং চ্যাটবটের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, নতুন বিং উত্তরগুলোকে মজাদার ও বাস্তবসম্মত রাখার চেষ্টা করে। তবে এটি কখনও কখনও বিভিন্ন কারণে অপ্রত্যাশিত বা ভুল উত্তর দিতে পারে। বিশেষ করে যখন কথোপকথন দীর্ঘ হয়। তাই কথোপকথন এক সেশনে ৫টি প্রশ্ন ও এক দিনে ৫০টি প্রশ্নে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোসফট।
এর আগে গুগলের চ্যাটবট বার্ড-ও বিজ্ঞাপনের মধ্যে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বিষয়ে ভুল উত্তর দেয়। এর প্রভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ১০০ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছিল। বিং চ্যাটবটটি ডিজাইন করেছে মাইক্রোসফট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।
গত বছর নভেম্বরে ওপেনএআই চালু হওয়ার পরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রযুক্তি জগতে। পরে প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোসফট থেকে ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ পায়। এরপর থেকেই দুই কোম্পানি একসঙ্গে কাজ করছে।
চ্যাটজিপিটি যে ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, সেটিকে বলা হচ্ছে জেনারেটিভএআই। এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রযুক্তি একই সঙ্গে মুগ্ধতা ও শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।