আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মামার কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে ভাগ্নের পা বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে বাবু মিয়া (৪০) নামের এক ব‍্যক্তির ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে  এবং বাম পা ঝলসে গেছে । মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মেসার্স সাহা ফিলিং ষ্টেশন এর পিছনে তার নিজ বাড়িতে  বিষ্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব‍্যক্তি গুরুতর আহত হলে প্রথমে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন‍্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত বাবু মিয়া ওই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। সে পেশায় গাড়ির লেদ মিস্ত্রি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। 

স্থানীয়রা জানায়, মাটি কাটার কাজ করতো বাবুর মামা আব্দুল গফুর। একই গ্রামের আজিজ কমান্ডার এর বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় একটি ভারি লোহার বস্তু পায় আব্দুল গফুর। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন তিনি।  মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাবু তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকার এর লাইন থেকে বিদ‍্যুৎ সংযোগ নিয়ে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টারশেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিকট শব্দের বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্না ঘরের টিনের বেড়া ছিড়ে লোহার গেট ফুটো করে পার্শ্ববর্তী ফিলিং ষ্টেশন এর বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে আচঁড়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন  তাঁকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মর্টারশেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের।

ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম জানান, 'খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত‍্যক্ত মর্টারশেল ছিলো বলে ধারনা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।'


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর



বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি তাকে বলবো, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী কারা? আমির খসরু, মির্জা ফখরুল একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। তাহলে নিগৃহীত কে হচ্ছে? তাদের তালিকা প্রকাশ্যে দিতে হবে।

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নিগৃহীত হয়েছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করলে তার প্রতিউত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের নেগেটিভ রাজনীতি এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। কেউই গ্রহণ করবে না। বিএনপি নামে একটি দল সংকুচিত হয়ে যাবে।

বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর নির্দেশ ইফতার পার্টি নিজেরা না করে গরিব সাধারণ মানুষের মাঝে, যারা এ সংকটের মুহূর্তে কষ্টে আছে তাদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করাএটাই আমাদের সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কাজ।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এখন তারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। বিএনপির চেতনায় পাকিস্তান।

আওয়ামী লীগ কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব করে না মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ। আমাদের চেতনায় বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি। আজ বিএনপির চারদিকে অন্ধকার। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, মানবতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধ করে রেখে দিয়েছে। এখান থেকে বের হতে পারছে না। আজ তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে একটা স্বাধীন দেশ সে কথাও তারা ভুলে গেছে। নির্বাচনের আগে কীভাবে বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করেছে। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল। নির্বাচন যখন হয়ে গেছে, সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব দেশ সংকট উত্তরণ করে ভালোর দিকে যাচ্ছে, সুসময় আসতে সময় লাগে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে সংকট, তার প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। তুলনামূলক অনেক দেশের মানুষের যে কষ্ট সে তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ভালো আমরা আছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।


আরও খবর



ব্লগার নাজিম হত্যা মামলা : আট বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ। আজ থেকে আট বছর আগে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ক্লাস শেষে মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা হত্যা করেন তাকে। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ৮ বছরেও শুরু হয়নি।

চার বছর তদন্ত শেষে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পরবর্তী সময়ে আরো সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়নি।

এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় এ মামলার বিচার শুরু করতে পারেননি বলছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আশা করছেন, অতি শিগগিরই মামলার বিচার শুরু হবে এবং এ মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

নাজিমুদ্দিনকে হত্যার পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন নিরাপত্তা জনিত কারণে কারাগারে আটক থাকা আসামিদের আদালতে না পাঠিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠান। পরে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করেন।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আসামিদের আদালতে হাজির করতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় কয়েক দফায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য মামলায় অভিযোগ গঠনে শুনানি হচ্ছে না। আশা করছি, আগামী তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হবে। পরে দ্রুত সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। বিচার দ্রুত শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ব্লগে লেখালেখি করার কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা নাজিম উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা ও সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার পরিকল্পনায় নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনের নেতৃত্বে একটি টিম নাজিম উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার অবস্থান রেকি করে। মো. শেখ আব্দুল্লাহ এ হত্যার ভিডিও ধারনের জন্য এবং হত্যাকারীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটেনর পর পালাতে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর জিয়াকে জানানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় না। যেকারণে এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি আটকে রয়েছে। আদালতের উচিত মামলাটি ত্বরান্বিত করা। অনেক দিন তো হয়ে গেছে। আসামিরাও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বাদীপক্ষও বিচার দেখার অপেক্ষায় আছে।


আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪




নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, দাড়িগোঁফ রাখতে পারবেন ব্রিটিশ সেনারাও

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ফলে ব্রিটিশ সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের এখন থেকে দাড়ি রাখতে আর বাধা নেই। তবে তাদের দাড়ি ও গোঁফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারিও করা হবে। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই অনুমতির পরও, কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করারও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে তাদের শেভ করার নির্দেশ দেয়া হবে। নীতিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রিটিশ সেনা নেতৃত্ব আশা করছে, এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। টানা কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে নীতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র।

এর আগে ডেনমার্ক, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মতো কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। নতুন নীতি ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী শিখ, মুসলিম এবং রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল। যদি তাদের কার্যকারিতা, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না- এমন শর্তে দাড়ি রাখার অনুমতি ছিল।


আরও খবর
তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




জিম্মি নাবিকদের জন্য ছাগল ও দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আঠারো দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‌এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের জন্য তীর থেকে ছাগল ও দুম্বা আনছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ফলে তারা খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়ায়, সেটি নিয়ে তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

নাবিকদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপ ও সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলদস্যুরা কোনো জাহাজ জিম্মি করলে সাধারণত তারাই খাবার সরবরাহ করে থাকে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

জিম্মি জাহাজের নাবিকদের থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে ছাগল ও দুম্বা আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কারণ জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা।

জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আশা করি খাবার নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করার। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।


আরও খবর