ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের
সঙ্গে নিউ মার্কেটের দোকানকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত কুরিয়ারকর্মী নাহিদের বাবা বাদী হয়ে
একটি মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে নিউ মার্কেট থানায় মামলাটি করা
হয়। মামলায় আসামিদের নাম পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে নিউ মার্কেট
জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মুহাম্মদ তারিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন নাহিদ। বেধড়ক
মারধরে জ্ঞান হারিয়ে দীর্ঘ সময় রাস্তায় পড়েছিলেন। পরে শুভ নামের এক ব্যক্তি আহত অবস্থায়
নাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
শারীরিক অবস্থার
অবনতি হলে ওইদিন বিকেলে নাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে। পরে ঢামেকের
জরুরি বিভাগে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিসের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা
৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
মাত্র ছয় মাস
আগে বিয়ে করেন নাহিদ। তিনি এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকার একটি কুরিয়ার সার্ভিসে
চাকরি করতেন। কামরাঙ্গীরচরের রনি মার্কেটের পাশে দেওয়ানবাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
নাহিদের বাবার
নাম নাদিম হাসান। তিনি ম্যাটাডোর ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে
নাহিদ সবার বড়।
সোমবার (১৯ এপ্রিল)
রাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। রাত
১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনে।