প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ২০২২ সালে মামলার নিস্পত্তি ৩০ ভাগ বেড়েছে। এটা যদি এভাবে চলে, যদি ফাইলিং ঠিকমত করা যায় তাহলে ৫-৭ বছরে মামলার জট একটা সহনশীল পর্যায়ে আসবে।
আজ বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা একটা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। এখন এই ১৭ কোটি মানুষের দায়িত্ব এই রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি বলবো, আসুন আমরা কঠোর পরিশ্রম করি। পরিশ্রমের মাধ্যমে এই শতাব্দিতে জাতিকে সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করি। এজন্য আমাদের যেটা দরকার সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যান্য সংগঠন বা অর্গানগুলো আছে তার সাথে তাল মিলিয়ে বিচারবিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তবে, কারও একার পক্ষে এটা সম্ভব না। বিচারকদের পাশাপাশি এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব। তারপরে দায়িত্ব নাগরিকদের।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বিচারবিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেই প্রচেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে। আমি সকলকে বলবো, আপনারা একে অপরকে সহযোগিতা করবেন যাতে করে বিচারপ্রার্থীকে আদালতের সীমানায় এসে হয়রানির স্বীকার হতে না হয়। যদি কোনো মামলা বছরের পর বছর চলতেই থাকে তাহলে বিচারপ্রার্থীরা ভাববে এই দেশে বিচার-আচার নেই। আমার মনে হয় এটা বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এটা আমরা হতে দিতে পারিনা। সেজন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেনো মামলা নিস্পত্তির হার বাড়ে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাস রাব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোঃ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মোঃ আরিফুর ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র ও জেলা দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান।
নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারকের ফায়জুন্নেছা, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। পরে বিকেল ৪ টার দিকে কেক কেটে জেলা আইনজীবী সমিতির ১৭৮ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।