আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

মামলার নিস্পত্তি ত্রিশ ভাগ বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ২০২২ সালে মামলার নিস্পত্তি ৩০ ভাগ বেড়েছে। এটা যদি এভাবে চলে, যদি ফাইলিং ঠিকমত করা যায় তাহলে ৫-৭ বছরে মামলার জট একটা সহনশীল পর্যায়ে আসবে।

আজ বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা একটা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। এখন এই ১৭ কোটি মানুষের দায়িত্ব এই রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি বলবো, আসুন আমরা কঠোর পরিশ্রম করি। পরিশ্রমের মাধ্যমে এই শতাব্দিতে জাতিকে সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করি। এজন্য আমাদের যেটা দরকার সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যান্য সংগঠন বা অর্গানগুলো আছে তার সাথে তাল মিলিয়ে বিচারবিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তবে, কারও একার পক্ষে এটা সম্ভব না। বিচারকদের পাশাপাশি এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব। তারপরে দায়িত্ব নাগরিকদের।

প্রধান বিচারপতি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বিচারবিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেই প্রচেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে। আমি সকলকে বলবো, আপনারা একে অপরকে সহযোগিতা করবেন যাতে করে বিচারপ্রার্থীকে আদালতের সীমানায় এসে হয়রানির স্বীকার হতে না হয়। যদি কোনো মামলা বছরের পর বছর চলতেই থাকে তাহলে বিচারপ্রার্থীরা ভাববে এই দেশে বিচার-আচার নেই। আমার মনে হয় এটা বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এটা আমরা হতে দিতে পারিনা। সেজন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেনো মামলা নিস্পত্তির হার বাড়ে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাস রাব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোঃ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মোঃ আরিফুর ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র ও জেলা দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান।

নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারকের ফায়জুন্নেছা, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন। পরে বিকেল ৪ টার দিকে কেক কেটে জেলা আইনজীবী সমিতির ১৭৮ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর



তীব্র তাপদাহে তিন শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) পাঠদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া তিন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরিতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী (৫৫) মারা যান। তিনি জেলার বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন।

এদিন সকালে মাদ্রাসা খোলা থাকায় তিনি নগরের চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। মোস্তাক আহমেদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশীখালীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

এদিন সকালে যশোরে স্কুলে আসার পর আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহসান হাবীব যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামের ইউছুপ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, শিক্ষক আহসান হাবীব আজ সকালে মাঠে কৃষি কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের ধারণা ওই শিক্ষক গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এছাড়া মানিকগঞ্জে শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিক্ষিকা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষক হাছিনা ঢাকার পপুলার হাসপাতালে শনিবার দুপুরে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। পারভীন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে চলমান তাপপ্রবাহ আরো তিনদিন অব্যাহত ও তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে সারাদেশে ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র তাপদাহের মধ্যেই এদিন সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



অস্থির আলুর বাজার, কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। কেজিতে ১২-১৫ টাকা বেড়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করেছেন দোকানদার ও ক্রেতারা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই সময় সাধারণত আলু ২০ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। 

কচুক্ষেত্র বাজারের আলু বিক্রেতা আমিনুল বলেন, রমজানের আগে থেকে বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছি। এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি করছি ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি করছে। তিনি বলেন, শুধু ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ তার।

আলু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।

জয়নাল নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, ঈদের আগে ৩৮ টাকার আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে। হঠাৎ করে আলুর দাম ১২ টাকা কেজিতে বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

আলুর দরে অস্থির হলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। বরং ঈদের পর কিছু সবজির দাম কমেছে। বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, চিচিংগা ৫০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া ৩২ টাকা কেজি, সব ধরনের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আগে দরে ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। লেবু ৪০-৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে স্বস্তি টমোটতে। শেষ সিজনে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। গাজর ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বান্ডিল, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

ঈদের পর মাছের দাম একটু চড়া। ঈদের ছুটি ও সরবরাহ কম থাকার সব ধরনের মাছের দাম কেজি ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। দেশি রুই ঈদের পর ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ (মিডিয়াম) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুই কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। একইভাবে কাতলা মিডিয়াম ৩৮০-৩৯০, পাংগাস ২২০ টাকা, সরপুঁটি ২৪০, তেলাপিয়া ২৪০, টেংরা দেশি ৫৫০-৫৭০ টাকা, দেশি মিক্স মাছ ৩৮০-৩৯০ টাকা, কই মাছ ৩৯০, পাবদা ৪৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর মলা মাছ ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



বজ্রপাতে তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে দুই, রাঙামাটিতে তিন এবং খাগড়াছড়িতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

রাঙামাটি: রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, অনেক দিন পর আজ সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে রূপাকারী ইউনিয়নে বাহারজান নামে একজন এবং সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামের আরেক নারী নিহত হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

তিনি বলেন, এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়ার সময় বজ্রপাতে সাতজন আহত হয়েছেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, সকালে শহরের সিলেটি পাড়া থেকে নজিরকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

এ ঘটনার পর ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠান দুইটিতে তাদের মশলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে এ দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রফতানি করা হয়।

এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা ও এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলা, মোট এই চারটি প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘ সময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।


আরও খবর



ঈদ শেষে ১৭ এপ্রিল ফেরার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদে ঘরমুখো মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরতে ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৭ এপ্রিল যারা ঢাকা ফিরতে চান তাদের আজই টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের অনলাইনে এই টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে।

এবার টিকিট ক্রয় সহজলভ্য করার জন্য রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলত সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা হতে শুরু হয় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা হতে ইস্যু করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীসাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

যাত্রীরা ঈদ অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট কিনতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।

এছাড়া রেলে যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ করতে অগ্নিনিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ মার্চ ঈদযাত্রার প্রথম অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৩০ মার্চ পর্যন্ত এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলে। আর গত ৩ এপ্রিল শুরু হয় ঈদের ফেরত যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি।


আরও খবর