আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মামুনুলের চুক্তিভিত্তিক বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই ইসলামে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মানবিক বিয়ের গল্প বানালেও পরের দুই নারীকে বিয়েই করেননি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। শুধু স্ত্রীর মতো আচরণ করার জন্য চুক্তি করেছিলেন তিনি। এরজন্য দেওয়া হত ভরণপোষণ। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাবাদে এমন কথা বলেছেন মামুনুল হক। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, এ ধরনের বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই ইসলামে।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ ধরা পড়েন মামুনুল হক। তখন তিনি দাবি করেন, ওই নারী তার বিবাহিতা দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হয় মামুনুল হকের। যেখানে বলা হয়, ওই নারী হাফেজ শহীদুলের বউ। জনরোষ থেকে বাঁচতেই দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে সেদিন পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।

মামুনুল হকের এমন মানবিক বিয়ে নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন দৃশ্যপটে হাজির আরেক নারীর ভাই। তার দাবি, তিনি তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এজন্য মামুনুলের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডিও করেছেন। যার তদন্ত করছে পুলিশ।

নাশকতার মামলায় মামুনুল এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন-পরের দুই নারীকে বিয়ে না করার কথা। মামুনুল হক গোয়েন্দাদের আরও জানান, স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও ভরণপোষণ দেয়া হত তাদের। এর বিনিময়ে চুক্তি ছিল তাদের সঙ্গে স্ত্রীর মতো আচরণ করবেন তিনি। লিখিত এমন চুক্তির কপি গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে খবর বেরিয়েছে জাতীয় দৈনিকেও।

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, ইসলামী শরিয়ত এবং দেশীয় আইনেও এমন চুক্তি অবৈধ।

ইসলামী চিন্তাবিদ ড. আহমদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটা ইসলামের দৃষ্টিতে সাধারণ কোনো বিয়েও না বা নিকাহ মুতা যেটি আহলে সুন্নাতের জামাতের মধ্যে হারাম, শীরাহসহ কিছু সংখ্যক মুসলিমদের মতে, নিকাহ মুতা বৈধ, এই যে তথ্য আমরা পেয়েছি তা কিন্তু নিকাহের মধ্যেও পড়ে না।    

ইসলামী চিন্তাবিদরা আরও বলছেন, ইসলামী শরিয়তেও মুতা বিয়ে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কারো কারো মতে নির্দিষ্ট সময় এবং দেনমোহর পরিশোধ করে মুতা বিয়ে করা যায়। কিন্তু মামুনুলের এমন চুক্তি এ বিয়ের শর্তপূরণ করে না।


আরও খবর



রমজান সামনে রেখে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে বরিশালে আরেক দফায় বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংসের দামও আকাশচুম্বী। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি দরের মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৭৮ টাকার খেসারি ডাল ১১০ টাকা, ৭৫ টাকার ছোলা বুট ১০০ টাকা, ১৯০ টাকার রসুন ২০০ টাকা, ১৬০ টাকার আদা ২২০ টাকা, ১৩৫ টাকার এলসি চিনি ১৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, চিড়া ৭০ টাকা, আখের গুড় প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়।

নগরীর আলেকান্দার মুদি দোকানি জহুর কাজী বলেন, রমজান উপলক্ষে সব মালের দাম বাড়তি। পাইকরি বাজার থেকে তারা যে দামে পণ্য কেনেন তার চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

নগরীর সাগরদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসলাম ব্রাদার্সের মো. সাদী জানান, রমজানকে সামনে রেখে ডালজাতীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ভারতীয় পিঁয়াজ না আসায় দেশীয় পিঁয়াজের বাজারও চড়া। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে বড় আমদানিকারকরা নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যে পণ্য মজুদ আছে তার চেয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেশি। এ কারণে বাজার দর বাড়তি। রমজানের আগে কোনো পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করছেন তারা।

নিত্যপণ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি আড়াই শ টাকা এবং গরুর মাংস সাড়ে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০, বেলে মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, দেশীয় রুই-কাতলা ৪০০, নদীর পাঙ্গাস ৮০০ থেকে ৮৫০, কোরাল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ১ কেজি সাইজের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকায়। রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে। রমজানে মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন নগরীর পোর্ট রোড বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম।

রমজান মাস শুরু না হতেই বগুড়ায় খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রমজান শুরু হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে আমদানিকারক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে খেজুরের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ায় খেজুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে তিউনেশিয়ার খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। মাশরুপ খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। গত বছর দাবাস খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ টাকা কেজি। কিন্তু এ বছর দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও ফরিদা খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, রেজিস ৩৫০ টাকা, জাহেদি ২৪০ টাকা, খালাস ৩৬০ টাকা, ব্লাকবড়ি ৬৫০ টাকা ও ইরাকি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ইরাকি খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০ টাকা। দুবাইয়ের ইরাকি জাহেদি জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। দাবাস ও লুলু জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।


আরও খবর



বিয়ের ২২ দিন পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামী সজীবের। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সজীব তার স্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে ঘটনা খুলে বলেন স্ত্রী। জানান, দীর্ঘদিন ধরে সৎ বাবার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করলে ধর্ষক বাবাকে জেলহাজতে পাঠায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

পুলিশের কাছে নববধূ জানিয়েছেন, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সৎ বাবাও বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত ওই ধর্ষক বাবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। তিনি ১৭ বছর ধরে আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের দুই কন্যাসন্তানের মাকে বিয়ের পর থেকে ঘরজামাই হিসেবে আছেন।

জানা যায়, ২২ দিন আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের সজীবের সঙ্গে একই ইউনিয়নের এক কিশোরীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেন স্বামী সজীব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন, স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কাজী তালাক কার্যক্রম করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. একরামুল হোসাইন বলেন, বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় ওই নববধূর বমি বমি ভাবসহ অন্তঃসত্ত্বার সম্ভবনা লক্ষ করা যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষার পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। ওই কিশোরী বাবা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ওই কিশোরীর বক্তব্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, কিশোরী মেয়ে ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমাদের কাছে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



বগুড়ায় প্রায় ৬০ মেট্রিক টন মধু আহরণের লক্ষ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় তিন কোটি টাকার ৬২ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন হয়েছে। তবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা মূলের ৬০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বগুড়া বেসরকারিভাবে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি রবি মৌসুমে সরিষা থেকে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে মধু উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও কয়েক বছর তা বন্ধ আছে। এরপরেও বিসিক বগুড়া নানাভাবে মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোক্তদের সহযোগিতা করে আসছে।

এরমধ্যে অন্যতম হলো সরিষা থেকে সংগৃহীত মধু। এছাড়া লিচু ও কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করবেন মৌমাছি প্রতিপালনকারী উদ্যোক্তরা।

বিসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, সরিষা ফুলে উৎপাদিত মধুর কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লিচুর মধু ৫০০ এবং কালোজিরা থেকে উৎপাদিত মধু বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি মধুর গড় দাম ৪শ টাকা ধরলে বগুড়ায় এ মৌসুমে উৎপাদিত মধুর মূল্য দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্র বলছে, গত বছর রবি শস্য চাষ মৌসুমে সরিষার ফুল থেকে সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। আর চলতি মৌসুমে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

মোট ১৪২ জন উদ্যোক্ততা বগুড়ার মাঠে থাকা সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহে তাদের প্রতিপালিত মৌমাছি নিয়ে কাজ করছেন।

মধু উৎপাদনকারী উদ্যোক্তরা বলছেন, সরিষা চাষ মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল থাকতে হয়। আগাম ও নাবী সরিষা চাষের ফলে প্রায় তিন মাস শুধু সরিষার ফুল থেকে সর্বাধিক পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয়। সরিষার পর বরই, আম, লিচুর ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ হয়।

শীতকালে কালোজিরা, জ্যৈষ্ঠ মাসে তিল ও বাদাম ফুল থেকে শেষ মধু সংগ্রহ করা হয়। ৫০টি মৌবাক্স থেকে প্রায় ১১০ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। মধু সংগ্রহ করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। বছরের প্রায় ছমাস মধু সংগ্রহ করা গেলেও আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ এই ছমাস মৌমাছিকে বিকল্প খাবার দিতে হয়।

দুই ভাগ চিনি ও এক ভাগ পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করে মৌমাছির বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। ফাউল ব্রুড রোগ মৌমাছির একটি মারাত্মক ব্যাধি। এছাড়াও আরও কিছু সংক্রামক রোগ ও উপদ্রবের কারণে মৌচাক নষ্ট হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদুর রহমান বলেন, সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহ করতে জেলায় ১৪২ জন উদ্যোক্তা কাজ করছেন। গত বছর সাড়ে ১৭ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হলেও এবার ৩০ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের ফলে ফলনও বাড়ে।

বিসিক জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিসিক বগুড়া জেলা কার্যালয় নানাভাবে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে বাজারজাতকরণে বিসিকর খাঁটি মানের নিশ্চিয়তা ও বিভিন্ন মেলাতে স্টল বরাদ্দে ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও মধু চাষে মৌমাছি প্রতিপালন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মধু উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ আছে। তবে খুব দ্রুতই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে আবারও সরকারিভাবে মধু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



বিসিবিতে যুক্ত হচ্ছেন দুই নারী আম্পায়ার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। গত দুই বছরে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে তারা। সেই ধারায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই নারীকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।

সেই দুই আম্পায়ারের একজন সাথিরা জাকির জেসি অন্যজন মিশু চৌধুরী। বিসিবির চুক্তিতে এতদিন পুরুষ আম্পায়ার থাকলেও ছিল না কোনো নারী আম্পায়ার।

শনিবার বোর্ড সভায় দুই জন নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

তিনি বলেন, 'গতকাল বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হয়েছে দুই জনের নিয়োগের বিষয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের নিয়োগের সবকিছু কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারা এখন ট্রেনি হিসেবেই চুক্তিতেই ঢুকবে। যে কারণে টাকার অঙ্কটা একটু কম থাকবে। আসন্ন ডিপিএল দিয়েই তারা আম্পায়ারিং করবে। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। আমাদের সবমিলিয়ে ২৬ জন আম্পায়ার চুক্তিতে রয়েছেন।'

২০১১ সালে আম্পায়ারিং পরীক্ষায় পাস করেন মিশু, তখন তিনি মূলত ক্রিকেটার। পরের বছর স্কুল ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক। বাংলাদেশে নারী আম্পায়ারদের খুব একটা কদর ছিল না। তাই এই ক্যারিয়ারে দীর্ঘ বিরতিতে যেতে হয় তাকে। যদিও বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ঠিকই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেলেন তিনি।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে আম্পায়ারিং কোর্স করেন জেসি। ২০২২ সালে এসে তিনি মাঠে নামেন আম্পায়ার হিসেবে। গতবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তির দিনে সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে নাইস ফেব্রিক্স লিমিটেড নামে ওই পোশাক কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কারখানার একটি মেশিনে আগুন লাগে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

নোমান গ্রুপের নাইস ডেনিম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে নোমান গ্রুপের নাইস ফেব্রিক্স লিমিটেডের সেন্টার মেশিনের চিমনিতে আগুন দেখা যায়। আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাৎক্ষণিকভাবে কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক দল কাজ শুরু করে। এর কিছু সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।

কারখানার লাইন ইনচার্জ হিরো জানান, কারখানার আগুন টিনশেডের ওপরে ময়লার মধ্যে লেগে যায়। কারখানার নিজস্ব ফায়ার ফাইটার টিম মুহূতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন শেডের ওপরের ময়লায় লাগায় দূর থেকে অনেক বড় ঘটনা মনে হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর