আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মানবিক কাজের জন্য সম্মাননা পেলেন আনসার সদস্য সরোয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আনসার সদস্য সরোয়ার উদ্দিন নিজ উদ্যোগে জনহিতকর বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার ব্যতিক্রমধর্মী পরোপকারী কার্যক্রম সাধারন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রতিনিয়ত নিজেকে সঁপে দিয়েছে পথ শিশুদের শিক্ষার জন্য, কখনো অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরনে, আবার কখনো মুমূর্ষু রোগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহে এবং যুবসমাজকে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে।

একজন সাধারণ আনসার হয়ে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি নিজেকে এমন সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রাখায়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্মানিত শ্রদ্ধেয় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি স্যার মহোদয় এর সাথে বুধবার (২৯ মার্চ) ১২ ঘটিকায় এক সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ পান।

মহা-পরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা মানবিক আনসারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বর্ণনা শোনেন, একইসাথে তার এই মহান জনহিতকর কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাকে সম্মাননা প্রদান করেন।

আনসার সদস্য সরোয়ার উদ্দিন বলেন, উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। আর সেই উপহার যদি হয় প্রিয় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্মানিত শ্রদ্ধেয় মহাপরিচালক স্যার এর দিয়া তাহলে তো আর কোন কথা নেই। এক টাকার হোক বা এক লক্ষ্য টাকার সেই জিনিস এর প্রতি থাকে আলাদা একটি যত্ন, এটি আমি বিফল হতে দিব না, এই টাকা দিয়ে অসহায় এতিম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবার আয়োজন করবো ইনশাআল্লাহ।

সত্যি নিজেকে ধন্য মনে করছি এমন একজন মানুষ এর ভালোবাসার ছায়াতলে আশ্রয় পেয়ে। মহান আল্লাহ পাক যেন এই ভালোবাসা সব সময় সর্বদা অটুট রাখে।


আরও খবর



টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহৃত হন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

অপহরণ হওয়া শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। প্রশাসনের কাছে ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাই। 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, তিনি মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না।

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

জানা যায়, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।

নিউজ ট্যাগ: টেকনাফ

আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ট্রেনে ঈদ ফিরতি যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের পর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সাত দিনব্যাপী ট্রেনে ফিরতি যাত্রা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর জন্য আরও ১০ দিন আগে এই যাত্রার আসন বিক্রিও করেছিল রেলওয়ে। সেই যাত্রা শুরু প্রথম দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল)।

এদিন সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো স্টেশনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আসছে। তবে ট্রেনগুলো থেকে যথেষ্ট যাত্রী নামতে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন, আজ ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা ছিলো। আগামীকালও ছুটি, হয়তো পরশুদিন থেকে ট্রেনে চাপ বাড়বে।

ভোর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ওই ট্রেনের যাত্রী হামিদুর রহমান বলেন, আমি ঈদের তিন দিন আগেই বাড়ি গিয়েছিলাম। যদিও কালকে বন্ধের দিন, কিন্তু কাজ থাকায় আজই ঢাকায় ফিরেছি। পরিবারে অন্য সদস্যরা আরো কয়েকদিন পরে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফিরতে ট্রেনে তেমন কোনো চাপ ছিল না। ট্রেন অনেকটা ফাঁকাই লেগেছে। হয়তো কালকের পর থেকে চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৩ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয় ৩ এপ্রিল; ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৯ এপ্রিল। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট, ম্যানেজার অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরপর সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১০টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যায়।

রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না।

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা লুট, অস্ত্র ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।


আরও খবর



ঈদের ছুটি বাড়াতে সম্মত হয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের আগে ৯ এপ্রিল ছুটি অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের আগে ৯ এপ্রিল ছুটির সুপারিশ করলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বলেছে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ‌্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো চাইলে ছুটি নিতে পারেন। তাদের সে অধিকার আছে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪