আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বকশিশ বাণিজ্য !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারসহ নানা বিভাগের নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়, কর্মচারীদের বকশিশ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারণ রোগীরা। এবিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।

রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ট্রলি, স্ট্রেচার ও হুইলচেয়ার ব্যবহার করলে টাকা দিতে হয় আয়া-ওয়ার্ডবয় ও নার্সদের। আর টাকা না দিলে সেগুলো ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।

টাকা দিলেই ব্যবহার করতে দেওয়া হয় এসব মেডিক্যাল সামগ্রী। এসব দেখেও দিনের পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় এভাবেই চলছে জোরপূর্বক বকশিশ আদায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুলাই ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি গ্রামের রিপন মিয়া তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসেন। ওটিতে নিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয় তার সঙ্গে নানা টালবাহানা। প্রথমে এক পরিচ্ছন্ন কর্মী এসে তাকে বলেন, আপনার স্ত্রীর সিজার করাতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। পরদিন ২৮ জুলাই রিপনের স্ত্রীকে ডাক্তার ওটিতে পাঠানোর পর থেকে শুরু হয় টাকা খরচের পালা।

বর্তমান ওটি ইনচার্জ শামীমা সুলতানা ও ফাতেমা আক্তার সিজারের জন্য ৩ হাজার ১০০ টাকার ওষুধের একটি তালিকা তৈরি করে রিপন মিয়াকে আনতে বলেন। কোনো উপায় না পেয়ে দিনমজুর রিপন তাদের লিখিত ওষুধগুলো এনে দেন। সিজার শেষ হলে শুরু হয় বকশিশ বাণিজ্য। ওটির আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে শুরু করে নাম না জানা আরও অনেককেই বকশিস দিতে হয় প্রায় ৩৯০০ টাকা।

রিপনের শাশুড়ি নবজাতক নাতিকে কোলে নিতে গেলে এক ওয়ার্ডবয়কে দিতে হয় ৪৫০ টাকা। এভাবেই প্রতিদিন অপারেশন থিয়েটারে জোরপূর্বক বকশিশ আদায় করছে নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয় ও কর্মচারীরা।

এবিষয়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বরত ইনচার্জ শামীমা সুলতানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সবাইকে সেবা দিচ্ছি। এর বিনিময়ে কোনো টাকা-পয়সা নেই না। ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়। তবে যেসব ওষুধ হাসপাতালে সাপ্লাই নেই, সেগুলো বাইরে থেকে আনতে হয়। আমরা কোনো বকশিশ নেই না।

ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, স্ট্রেচার, হুইলচেয়ার ও ট্রলি সেবা দিয়ে জোরপূবর্ক অর্থ আদায়ের মতো হয়রানি ও অনিয়ম হাসপাতালে নিত্য দিনের ঘটনা। এমনকি বাড়তি উপাজর্ন করতে অনেক নার্স, আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্মী হুইলচেয়ার নিজের জিম্মায় রাখছে।

রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এদিকে মৃত ব্যক্তির মরদেহ বহনের ক্ষেত্রেও ছাড় দেন না কর্মরত কর্মচারীরা। হাসপাতালের কমর্চারী নেতাদের একটি সিন্ডিকেট এ ইনকামের সুযোগ করে দিচ্ছেন।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে ব্যাথার রোগী, শ্বাসকষ্টের রোগীসহ বিভিন্ন ধরনের রোগীর ৮ তলা ভবনে বিভিন্ন ইউনিটে যেতে হুইলচেয়ারের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আয়া ও ওয়ার্ডবয়দের সহায়তা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবার ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এই টাকা না দিলে রোগীকে ছুঁয়েও দেখে না তারা।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. রিপন মিয়া বলেন, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার করার জন্য ৩ হাজার ১০০ টাকার ওষুধ কিনে আনতে হয়েছে। আর সিজারের পর অপারেশন থিয়েটারের কর্মরত ওয়ার্ডবয় স্বপন বকশিশের নামে জোরপূর্বক নিয়েছে ৪৫০ টাকা, ওটিবয় তানজিম ২০০ টাকা ও ট্রলিম্যান নিয়েছে ১০০ টাকা।

রিপন বলেন, এছাড়া নাম না জানা আরও কয়েকজন মিলে ৩ হাজার ১৫০ টাকা বকশিশ আদায় করেছে। সরকারি হাসপাতালে একটি সিজার করতে যদি ৭ হাজার টাকা খরচ হয়, তবে সরকারি হাসপাতালে আসার দরকার কী? এই টাকা দিয়ে তো প্রাইভেট হাসপাতালেই সিজার করানো যায়। আমি এ বিষয়ে ৩১ জুলাই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এবিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. একেএম রাসেল বলেন, হাসপাতালে বকশিশের নামে কোনো টাকা আদায়ের বিধান নেই। এবিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



ফখরুলের কাছে ৬০ লাখ কারাবন্দির তালিকা চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাবন্দি থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। একটা সময় তারা বলেছে ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কীভাবে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জেলে থাকা ৬০ লাখ লোকের তালিকা দিতে হবে। এই তালিকা আমরা দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম। বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। দেশের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা নেই। ৭১-এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন এসবের কোনো দাম নেই?


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

দুই ঘণ্টার ব্যবধানে কুষ্টিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা ও দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ও হরিনারায়নপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় খেলাধুলা করতে গিয়ে খোকসা উপজেলার কোমরভোগ গ্রামের শয়ন হোসেনের আড়াই বছর বয়সি মেয়ে জান্নাতী খাতুন, রতন হোসেনের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মুসলিমা খাতুন পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়। তাদের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়িতে শোকার্ত স্বজনদের আহাজারি-কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

এদিকে, খেলার সাথীদের সঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে রিয়াসাদ (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রিয়াসাদ হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ইন্তাজ শেখের ছোট ছেলে। সে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে খোকসা ও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হবে।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট, ম্যানেজার অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক পিএলসির শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্টের (কেএনএফ) একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরপর সশস্ত্র  সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ১০টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যায়।

রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে পারছি না।

বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা লুট, অস্ত্র ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।


আরও খবর



বিয়ের আগে সম্পর্ক ভাঙল সমকামী যুগল সুফি ও অঞ্জলির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিয়ে ভাঙল সমকামী যুগল অঞ্জলি চক্র ও সুফি মালিকের। অঞ্জলি ভারতের বাসিন্দা। আর সুফি পাকিস্তানের নাগরিক। দুজনই থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

অনেক দিন ধরে তাদের প্রেম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত। পাঁচ বছর আগে অঞ্জলি ও সুফির প্রেম পর্বের সূত্রপাত। সমকামী এ যুগল ২০১৯ সালে নিজেদের প্রেমের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশের মন জয় করেছিলেন। অনেকের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাদের।

সেই সময় দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বৃষ্টির মধ্যে নাচের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে অনেকের প্রশংসা কুড়ান অঞ্জলি ও সুফি। এরপর টানা পাঁচ বছরের প্রেম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করার কথাও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগে ইনস্টাগ্রামে পৃথক পোস্টে নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন তারা।

কেন বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে সম্পর্কে ইতি টানলেন অঞ্জলি ও সুফি? অঞ্জলি জানিয়েছেন, সুফির বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা নিজেই জানিয়েছেন সুফি। তিনি জানান, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি অঞ্জলিকে ঠকিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে সুফি লিখেছেন, আমাদের বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে আমি অঞ্জলির সঙ্গে প্রতারণা করেছি। বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। ওকে ভীষণভাবে আঘাত করেছি। আমি ভুল স্বীকার করছি। আমি জানি কী ভুল করেছি। আমি শুধু অঞ্জলি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যাদের ভালোবাসি, তাদেরই আঘাত করে ফেলি। তার মধ্যে আমার পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুরা রয়েছে। যারা এত দিন ধরে আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের ধন্যবাদ।

অন্যদিকে অঞ্জলি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, সুফি ও আমি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছি। আমাদের ভালোবাসা আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা ভাগ্যবান। কিন্তু এখন আমাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সুফির বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা আমাদের বিয়ে বাতিল করেছি এবং সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর জন্য সুফির প্রতি মানুষ যেন কোনো নেতিবাচক ব্যবহার না করেন, সেই অনুরোধও ওই পোস্টে করেন অঞ্জলি।

সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া যুগলের অনুরাগীদের একাংশের দাবি ছিল, তাদের বিয়ে ভাঙার ঘোষণা নিছকই মজা। তবে অঞ্জলি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সত্যিই বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনলাইনে যে আবেদন তিনি করেছিলেন, তাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্জলি।

অঞ্জলি ও সুফি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে ছিলেন। বছরখানেক আগে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

এক বছর আগে নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে অঞ্জলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুফি। এরপর নিজেদের বাগদানের কথা ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তারা।

অঞ্জলি নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে বিবাহের অনুষ্ঠান পরিকল্পনা সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে সুফি নিউইয়র্কে জীবনধারা ও ভ্রমণ বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর

ইনস্টাগ্রামে অঞ্জলি ও সুফি দুজনেরই ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ করে।

ইউটিউবে যৌথভাবে একটি চ্যানেলও চালান সুফি ও অঞ্জলি। সেই ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার রয়েছে। তবে তাদের বিচ্ছেদের পর সেই চ্যানেলের কী হবে, তা এখনো জানা যায়নি।


আরও খবর