মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত স্বামী মো. ফেরদৌস
পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। উপজেলার গোপালপুর দক্ষিন পাড়া
আ. জব্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক কলহের
জের ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে স্ত্রী মালেকা বেগমকে (৩৫) গলা টিপে হত্যা করা হয় বলে স্বজনরা
জানান। নিহতের স্বজনরা জানায়, গোপালপুরের আ. জব্বারের কন্যা মালেকা বেগমকে সাত বছর
আগে বিয়ে করে ঘড়জামাই থাকে রংপুর জেলা থেকে আসা মো. শহীদের ছেলে মো.ফেরদৌস।
এরই মধ্যে ফেরদৌস পিংকি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। এতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে এলোপাথারি আঘাত করে ফেরদৌস। এক পর্যায়ে তার গলা টিপে ধরলে দেহ নিথর হয়ে পড়ে যায় মালেকা। এ সময় চিকিৎসার জন্যে স্থানীয় চিকিৎসক আক্কাছ আলীকে ডাকা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়। এ সুযোগে স্বামী ফেরদৌস পালিয়ে যায়।
নিহতের বাবার অভিযোগ, জামাই ফেরদৌস ২য় স্ত্রী পিংকিকে তালাক দেয়ার শর্তে কয়েক দফায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরেও তাকে তালাক না দিয়ে তালবাহানা করে। পিংকির পরামর্শে আমার মেয়েকে হত্যা করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন,
নিহতের মা জয়গুণ নেছা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।