মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চাঞ্চল্যকর শহিদ হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় এই আদেশ দেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়, তাদের এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিন আলম (২৭)
ঢাকার ধামরাই উপজেলার গোয়ারিপাড়া এলাকার মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত
আসামিরা হলেন, সাহেদ, রাজা মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস এবং বিষ্ণু সুইপার। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল
সদর ও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এই মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা
হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাসপাড়া এলাকার মৃত ফকিরচানের ছেলে রহম আলী ড্রাইভার এবং
থানাপাড়া এলাকার সেলিম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, টাঙ্গাইলের
ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার খোদাবক্স আকন্দের ছেলে শহিদ এবং আসামি শাহীন আলম
মিলে প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। ওই এনজি’র চেয়ারম্যান
ছিলেন শহিদ। কিছুদন পরে ওই এনজিওতে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান আসে। এই টাকাকে কেন্দ্র করে
২০০৬ সালের ২০ মে রাতে সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেতুলিয়া এলাকার কালসাই
নদীর পাশে নিয়ে প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যার
পর গঁলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে সেখান থেকে দুই কিলোমিটার দুরে একটি সেতুর ঢালে ফেলে
দেয় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারকৃত
আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলায় মোট
২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই
রায় দেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট
অরবিন্দ পোদ্দার এবং দেওয়ান মো. মিজানুর রহমান আর প্রসিকিউশন পক্ষে মামলা পরিচালনা
করেন অতিরিক্ত পি.পি অ্যাডভোকেট মথুর নাথ সরকার।
রায় প্রদানের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
শাহিন আলম ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরও দুই আসামি ও খালাস হওয়া এক ব্যক্তি পলাতক ছিলেন।