মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে যেয়ে নারীসহ দুই রোহিঙ্গা নাগরিক আটক হয়েছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হুমায়রা বেগম (১৬) ও কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি ক্যাম্পের রোহিঙ্গা আবু তাহের।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার সিংগাইর চান্দহর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দহর এলাকার মো. খলিলুর রহমান ও রাশিদা খাতুনের মেয়ে তাসমিন বেগম পরিচয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন রোহিঙ্গা নারী হুমায়রা বেগম। রোববার সকালে মানিকগঞ্জ পাসপোর্টের আবেদন করতে আসেন হুমায়রা বেগম ও তার ভাতিজা আবু তাহের এসময় ভুয়া পরিচয়ে তাদের শনাক্ত করা হয়।
ভাতিজা আবু তাহের জানান, ২০০৮ সালে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন তারা এবং টেকনাফের উখিয়ায় বসবাস শুরু করে। টেকনাফের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়ার পর হুমায়রার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয় তোফাইল হোসেনের তিনি বর্তমানে সৌদি প্রবাসী এবং দুই বছর আগে তোফাইল হোসেনের সঙ্গে ফোনে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হুমায়রার।
তিনি জানান, কয়েক মাস আগে হুমায়রাকে তার স্বামী প্রবাসে যেতে বলে পাসপোর্ট করতে বলে। এরপর তাকে মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ সাদ নামে একজনের ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে। এরপর পাসপোর্টের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করে সাদ। পরে তাকে ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফিঙ্গার দেয়ার সময় রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত করেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। তখন পুলিশের কাছে তাদের দুজনকে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, ইউনিয়নের যে পরিচয়পত্র ও আমার স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে সেটি আসল না, ভুয়া কাগজপত্র। বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।