আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়ে মুগ্ধ ইউরোপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাটির তৈরি বিশেষ চুলায় খেজুরের রস জ্বালানো হচ্ছে। ইনসেটে হাজারী গুড়।মাটির তৈরি বিশেষ চুলায় খেজুরের রস জ্বালানো হচ্ছে। ইনসেটে হাজারী গুড়। লোকজ গান আর হাজারী গুড়, মানিকগঞ্জের প্রাণের সুর। জেলার ঐতিহ্য বহন করায় এভাবেই হাজারী গুড়ের নামে মানিকগঞ্জ জেলাকে ব্রান্ডিং করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে এ গুড়ের নাম। অতুলনীয় স্বাদ আর মনমাতানো সুগন্ধের কারণে শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রয়েছে এ গুড়ের চাহিদা। সুদূর ইউরোপেও ছড়িয়েছে হাজারি গুড়ের ঘ্রাণ ও স্বাদ।

হাজারী গুড়ের উৎপত্তি জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিট্কা অঞ্চলে। এ অঞ্চলের কিছু পরিবার এখানো হাজারী গুড় তৈরি করছে। একসময় ব্যাপকভাবে হাজারী গুড়ের উৎপাদন হলেও খেজুর গাছের স্বল্পতা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা কমে এসেছে।

জনশ্রুতি আছে, ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথকেও এই গুড় উপহার দেওয়া হয়েছিল। রানি এলিজাবেথ গুড় খেয়ে অভিভূত হয়েছিলেন। গুণমুগ্ধতা প্রকাশ করতে আগ্রহী হয়ে হাজারী নামে একটি সিলমোহরও তৈরি করে দিয়েছিলেন রানি। তিনি নিজেই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এ গুড়ের নাম।


হাজারী গুড়ের ইতিহাস: হাজারী গুড় নিয়ে এলাকায় প্রচলিত গল্প থেকে জানা যায়, প্রায় দেড়শ বছর আগে হরিরামপুর উপজেলার ঝিট্কা অঞ্চলে মো. হাজারী প্রামানিক নামে একজন গাছি ছিলেন। যিনি খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করতেন। একদিন বিকেলে খেজুর গাছে হাঁড়ি বসিয়ে গাছ থেকে নামামাত্রই একজন দরবেশ তার কাছে রস খেতে চান। তখন হাজারী প্রামানিক ওই দরবেশকে বলেছিলেন, সবেমাত্র গাছে হাঁড়ি বসানো হয়েছে। এতো অল্প সময়ে বড় জোর ১০-১৫ ফোঁটা রস হাঁড়িতে পড়েছে। তবুও দরবেশ তাকে গাছে উঠে হাঁড়ি নামিয়ে রস খাওয়ানোর অনুরোধ জানান। দরবেশের অনুরোধে আবারো খেজুর গাছে ওঠেন হাজারী প্রামানিক। তিনি দেখতে পান, রসে হাঁড়ি ভরে গেছে। রসভর্তি হাঁড়ি নিয়ে তিনি গাছ থেকে নেমে দরবেশকে রস খাওয়ান এবং দরবেশের পা জড়িয়ে ধরেন। তখন দরবেশ তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, তুমি যতো গুড় তৈরি করবে, তার সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। এরপর থেকেই গাছি হাজারী প্রামানিকের নামেই এই গুড়ের নাম হাজারী গুড় নামে প্রচলিত হয়।


যেভাবে তৈরি হয় হাজারী গুড়: কয়েকজন গাছি জানান, আগের দিন বিকেলে গাছ কেটে হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। পরদিন ভোরে গাছ থেকে রস নামিয়ে ছেঁকে ময়লা পরিষ্কার করে মাটির তৈরি পাত্রে (জালা) অথবা টিনের তৈরি পাত্রে (তাপাল) চুলায় জ্বাল দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে গুড় তৈরি করতে হয়। মিষ্টি ও টলটলে রস ছাড়া এ গুড় হয় না। এক কেজি হাজারী গুড় তৈরিতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ কেজি রস প্রয়োজন। প্রচুর চাহিদা থাকায় গুড় নেওয়ার জন্য আগে থেকেই গাছিদের বলে রাখতে হয়। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হয় ১৪০০-১৬০০ টাকায়।

ঝিট্কা গাছিপাড়া এলাকার আব্দুস সালাম গাছি বলেন, দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। নানা কারণে কমে যাচ্ছে রসের পরিমাণও। যে কারণে চাহিদা মোতাবেক গুড় তৈরি করা যাচ্ছে না। এছাড়া বছরের অল্প কিছু সময় খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করা যায়। বাকি সময় গাছিদের প্রায় বেকারই থাকতে হয়। তাই অনেকে পেশাও বদল করেছে। এখন ঝিটকা এলাকায় ১০-১২টি পরিবার এই গুড়ের ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রতিনিয়ত গাছ ও গাছির সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে অদূর ভবিষ্যতে হাজারী গুড় অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বলেও জানান তিনি।


সিদ্দিক প্রামানিক নামের এক গাছি বলেন, চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নকল সীল ও অল্প দামে ভেজাল গুড় তৈরি করে হাজারী গুড় বলে বিক্রি করে আসছে। এতে নষ্ট হচ্ছে হাজারী গুড়ের সুনাম।

হাজারী প্রোডাক্টস, মানিকগঞ্জ-এর স্বত্ত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম হাজারী শামীম বলেন, ঝিট্কা এলাকার ১০ থেকে ১২টি পরিবার প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কেজি গুড় তৈরি করেন। খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় গুড়ের উৎপাদনও কমছে। ভেজাল প্রতিরোধ করতে গতবছর থেকে রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্কযুক্ত প্যাকেটের মাধ্যমে গুড় বাজারজাত করা হচ্ছে। হাজারী গুড় টিকিয়ে রাখতে হলে রাস্তাঘাট ও পতিত জমি এবং ভিটে-বাড়ির আঙিনায় বেশি বেশি করে খেজুরগাছ রোপণ করতে এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঐতিহ্যবাহী হাজারী গুড়কে টিকিয়ে রাখতে হলে খেজুর গাছের পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এছাড়া, গুড়ের মান বজায় রাখতে প্রবীণ কারিগরদের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শীত আগমনের শুরুতেই খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত  সময় পার করছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার গাছিরা।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র আফরিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন। জগ প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৯৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৬১০ ভোট।

শনিবার (৯ মার্চ) বিকালে জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়। এ কারণে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের বাসাইলে কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। এতে দুই ঘণ্টা ধরে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মহেড়া রেল স্টেশন অফিসার সোহেল মিয়া বলেন, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঘটনাস্থলে এলে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়।

টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটির পরিচালক মুহাম্মদ ওমর আলী বলেন, সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি বিকল হয়েছে। ফলে সব ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এলে এরপর ট্রেনটি সরানো হলে চলাচল স্বাভাবিক হবে।


আরও খবর



দাম নির্ধারণ করলেও বাস্তবায়নের পূর্ণ ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে থাকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সে  ক্ষমতাবলে সম্প্রতি মাছ-মাংস, খেজুর, বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের এ সংস্থা। যদিও কেউ তা না মানলে কোনো ধরনের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, তদারকির মাধ্যমে তারা কেবল অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তখন দ্বারস্থ হতে হয় প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের। সংস্থাটি থেকে তাই বিভিন্ন সময় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হতে দেখা যায় না।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বাজার তদারকির ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান সমন্বয় নেই। যদিও মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করার কথা ছিল। কিন্তু তা আমরা দেখছি না। সমন্বয় না থাকলে কোনো কাজেই ফল আসে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এতে কাউকে জরিমানা করলে তার ফলোআপ কেউ করছে না। আইনের প্রয়োগও যথাযথ হচ্ছে না। কারণ আইনে বলা হয়েছে, একই ব্যক্তি একাধিকবার অপরাধ করলে তার শাস্তিও বেশি হবে। সমন্বয়হীনতা এখন বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত শুক্রবার ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ, উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা দাম কত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। যদিও নির্ধারিত এ দামে বাজারে পণ্য পাচ্ছেন না ক্রেতারা। অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই বড় ধরনের অসামঞ্জস্য। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১৪৬ টাকা। সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দাম বেঁধে দেয়া হয়। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা, ছাগল বা খাসি ১০০০-১১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১০ টাকা ধরা হলেও বিক্রেতারা রাখছেন সাড়ে ১১ টাকা করে।

পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা যে আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি বাজারে তার ব্যত্যয় ঘটলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। কেননা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর শাস্তি দিতে পারে না। আমরা শুধু অভিযোগ দিতে পারি। তার প্রমাণাদির ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট শাস্তি দেন। মোবাইল কোর্টে মামলা করার যে পদ্ধতি তার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে অভিযোগ দেয়া হয় এবং তারপর দুই পক্ষের কথা শুনে বিচার করা হয়।

কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪ (ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, সংস্থাটি কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ আইন বাস্তবায়নে বাধা দূর করতে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও আইন অনুযায়ী কাউকে শাস্তি দিতে হলে প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাই থাকুক, কোনো প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করতে পারবেন।

নিজেদের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা জনবল সংকট। সারা দেশে সব মিলিয়ে ৫০০-এর মতো জনবল রয়েছে। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারেন প্রতি জেলায় এমন আছেন কেবল দুই-তিনজন করে। আইনি সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। তাই আমাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা নেই। আমরা এর আগে এ বিষয়ে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু জনবল কাঠামো অনুসারে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন হাতে গোনা কয়েকজন।

দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মীরা নির্ধারিত ফর্মুলা অনুযায়ী এ তথ্য সংগ্রহ করেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি সংস্থারও সহায়তা নেয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আগে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে মোটিভেশনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সদ্যই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কারণ মাত্রই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়েও ওই দাম কার্যকর করতে পারেনি। রোজার আগে ভোজ্যতেল, চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজার, পরিশোধন কিংবা মোড়কজাতকারী মিলগুলোয় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকারসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি কিংবা মজুদ বেশি রাখায় জরিমানাও করা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এলে বাজারে এর প্রভাব কমে আসে। রোজা শুরুর পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার সঙ্গে জোগানের অসামঞ্জস্য, উৎসমুখ থেকে বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তাদের দাবি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিসহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। মোকাম থেকে বাড়তি মূল্যে কেনার কারণে চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পণ্যের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি, উৎপাদন খরচ কিংবা চাহিদা অনুপাতে জোগানের ওপর দাম নির্ভর করে। সবকিছু বাড়তি মূল্যের এ সময়ে সরকারিভাবে যে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে সেখানে অপ্রকাশিত খরচগুলো যুক্ত করা হয় না। ফলে বিভিন্ন সময়ে দাম নির্ধারণ সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। 

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলে। এটা ঠিক, কিছু কিছু ব্যবসায়ী খুচরা পর্যায়ে বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। কিন্তু একটা দেশে সার্বিকভাবে যদি পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে বুঝতে হবে উৎপাদন, আমদানি কিংবা সরবরাহ চ্যানেলে কোনো সংকট রয়েছে। প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও অনেকগুলো পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি, ডলার ও এলসি সংকটে আমদানি প্রক্রিয়ায় সংকটের কারণে বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতাকে নিম্নমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বাজারে নির্ধারিত দামে পণ্য পাওয়া যায় না বলে মনে করেন সাবেক খাদ্য সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করে দেয়া অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এসব বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। ফলে এসব উদ্যোগ ভালো হলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায় না। আগে তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে বড় বড় উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হবে না।

সরকারের ১১টি সংস্থা মূলত পণ্যের বাজার মনিটরিং করে। সেগুলো হলো ভোক্তা অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), সিটি করপোরেশন, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে কিংবা রোজার সময় সংস্থাগুলো যে যার মতো উদ্যোগ নেয়। তবে বিচ্ছিন্ন এ কাজে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, তার বাস্তবায়নও কিন্তু তাদের ওপরই বর্তায়। এখন এ মূল্য বাস্তবায়নে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা চাইছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

বাজার তদারকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুবই নগণ্য একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাজের অনেক ব্যাপকতা রয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচুর কার্যক্রম রয়েছে। এর বাইরে ভোক্তার বহু অভিযোগ থাকে, তার বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালনা করি। এছাড়া বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল পণ্য এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। সঙ্গে নিয়মিত বাজার তদারকিও চলছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




শ্রীলংকাকে ২৫৫ রানে অলআউট করল টাইগাররা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জানিত লিয়ানাগে (৬৭) ও কুশাল মেন্ডিসের (৫৯) জোড়া ফিফটিতে ২৫৫ রানে অলআউট শ্রীলংকা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেতে হলে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলকে ২৫৬ রান করতে হবে।

বুধবার চট্টচগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করছে শ্রীলংকা।

ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে শ্রীলংকা। উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৫ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৭১ রান জমা করেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আবিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর তরুণ পেসার তানজিদ হাসান সাকিবের গতির মুখে পড়ে মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ৩৩ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন আবিস্কা ফার্নান্দো।

২৮ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৩৬ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ৫ বলে মাত্র ৩ রান করে তানজিদ হাসান সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিনত হন সাদিরাসামারাবিক্রমা।

দলীয় ৮৪ রানে ৩ উইকেট পতনের পর হাল ধরেন কুশাল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে তারা ৭৩ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৮ রানে আসালাঙ্কাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। তার আগে ৩৭ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৮ রান করেন তিনি।

চার উইকেটে ১৯৭ রান করে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল শ্রীলংকা। দলকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। খেলার এমন অবস্থায় শ্রীলংকাকে কোণঠাসা করে দেন তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে তুলে নেন শ্রীলংকার ৩ উইকেট।

জানিত লিয়ানাগে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন কুশাল মেন্ডিস, ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা ও মাতিশা তিকসানা।

এই তিন ব্যাটসম্যানকে একের পর এক সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের প্রথম শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৭৫ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৫৯ রান করেন শ্রীলংকার অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। হাসারাঙ্গা ১৩ রান করলেও তিকসানাকে মাত্র ১ রানে ফেরান তাসকিন।

৫০ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম ম্যাচে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন জানিত লিয়ানাগে। ফিফটির পর যোগ্য সঙ্গীর অভাবে নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। উইকেটের অন্য প্রানে ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেওয়ায় জানিতের রান তোলার গতি স্লোথ হয়ে যায়।

দলীয় ২৪৪ রানে শরিফুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৬৭ রান করেন লিয়ানাগে।

স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে যাওয়ায় ইনিংসের শেষ দিকে দলকে আর সেভাবে এগিয়ে নিতে পারেননি প্রমোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা ও দিলশান মাদুশঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন তানজিদ হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ভারতের শীর্ষ ৩০ ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় শাহরুখ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের প্রথম সারির গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে তারকাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছেন কিং খান’খ্যাত শাহরুখ খান। তিনি জায়গা করে নিয়েছেন টপ থার্টি’-তে।

চলতি বছরে ভারতের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকায় ২৭ তম স্থানে রয়েছেন শাহরুখ খান। ভারতীয় অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে শাহরুখ ছাড়া শীর্ষ ত্রিশের তালিকায় আর কেউ জায়গা পাননি। আইই ১০০ দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল ইন্ডিয়ান অব ২০২৪’-এর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এবার ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, অভিতাভ বচ্চন যথাক্রমে ৩৮ এবং ৫৮তম স্থানে রয়েছেন। গত বছর এ তালিকায় আলিয়া ভাটের অবস্থান ছিল শততম। এবার কয়েক ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান ৭৯তম।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৪ বছর পর গেল ২০২৩ সালে রাজকীয়ভাবে বড় পর্দায় ফিরেন শাহরুখ খান। এ বছর তিনটি ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা উপহার দেন তিনি। এগুলো হলো— পাঠান’, জওয়ান’ ও ডাঙ্কি’।


আরও খবর