আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে: রনি

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টকশো, ইউটিউব কিংবা ফেসবুক সর্বত্র সরব থাকেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও তিনি নিয়মিত জাতিকে আপডেট রাখার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার বেলা ২টা ২৮ মিনিটে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, সারা দেশে কি হচ্ছে। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে নতুন খেলা শুরু হয়েছে।

জনাব সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, পলকের বিরুদ্ধে গণরোষ তুঙ্গে। কিন্তু তাই বলে তাদেরকে যেভাবে অপমান করে গ্রেফতার, আদালতে নেয়া, লোক লেলিয়ে অপমান করা এটা মেনে নেয়া যায় না। এগুলো মন্দ কাজ এবং ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান কোনো দিন ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে ছিলেন না। তাকে বলা হচ্ছে আয়নাঘরের কারিগর। অথচ জেনারেল আকবর, জেনারেল আবেদীন সম্পর্কে টু শব্দটি নেই।


আরও খবর



গাজীপুরে তরুণকে কুপিয়ে ১০ তলা ভবন থেকে ফেলে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক তরুণকে কুপিয়ে ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক নয়টার দিকে উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ইউনিক টাওয়ারের ছাদে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণ সাব্বির হোসেন (২০) কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আহমদ নগর চৌরাস্তা এলাকার মৃত লিটন মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাব্বিরের বড় ভাই আবির হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে সাব্বিবের দুই বন্ধুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুই আসামি মো. রাকিব (২১) ও মো. সাকিব (২১) যমজ ভাই। তারা উপজেলার সফিপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওই দুজন পলাতক। তাদের ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্র ও এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে রাকিব, সাকিব ও সাব্বির একসঙ্গে একটি জিমে যান। সেখান থেকে তারা রাকিব ও সাকিবের বাসা ইউনিক টাওয়ারের ছাদে যায়। সঙ্গে ছিল করণ ও সোহান নামের দুই কিশোর। পরে দুই কিশোরকে মুড়ি কিনতে দোকানে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর ওই দুই কিশোর ফিরে আসে এবং ভবনের নিচে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা নখ ও রক্তমাখা অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে। কিন্তু রাকিব ও সাকিব সেখানে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং বাটি উদ্ধার করা হয়।

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই ভবনের ছাদ থেকে একটি কাটা আঙুল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা ও দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয়রা দাবি জানাচ্ছেন।

কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. জুবায়ের বলেন, নিহত সাব্বিরের ভাই থানায় মামলা করেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মরক্কোতে ভয়াবহ বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। সেইসঙ্গে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ জন। রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রশিদ খলফি বলেছেন, মরক্কোর ১৭টি এলাকা এবং প্রদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার আঘাতে প্রাথমিকভাবে ১১ জনের প্রাণহানির কথা জানা গেছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের টাটা প্রদেশে সাতজন এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় মারাকেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পূর্বে এররাচিডিয়ায় দুজন মারা গেছেন।

তিনি বিস্তারিত উল্লেখ না করে বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

খালফি বলেন, এই অঞ্চলে সাধারণত সারা বছর ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে দুই দিনে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তার প্রায় সমান ছিল।

তিনি আরও বলেন, সেখানে বন্যার কারণে ৪০টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং ৯৩টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগে বিদ্যুত, খাবার পানি এবং টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম ওয়াসার অনিয়ম তদন্তে শনিবার আসছেন এলজিডি মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রাম ওয়াসার অনিয়ম তদন্তে আসছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান। আগামী শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত ও পরিদর্শন করবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব গাজী গোলাম মোস্তাফা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওয়াতাভূক্ত চট্টগ্রাম ওয়াসা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) তদন্ত ও পরিদর্শন করবেন মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, আগামী শনিবার এলজিডি মহাপরিচালক স্যার আসবেন চট্টগ্রাম ওয়াসায়। অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে পরিদর্শনে আসবেন তিনি।

এর আগে চলতি মাসের শুরু থেকে টানা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ সচেতন নাগরিকসহ শ্রমিক কর্মচারী দল। তিনি জানান, তবে ওয়াসা এমডি সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া পদত্যাগ করবেন না বলে ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীতে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় তৃতীয় দফা বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ দুটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে উপজেলা দুটির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, রয়েছে চরম দুর্ভোগে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জেলায় ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, পরশুরামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দুটি ডিঙি দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি ও উজানের অতিরিক্ত প্রবাহের কারণে ২ আগস্ট মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি অংশে ভাঙনের ফলে লোকালয় প্লাবিত হয়েছিল। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানি আবার বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। এতে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়িসংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগরে বাঁধের দুটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়িসংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়ার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগরের সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।

সূত্র আরও জানান, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে এবং লোকালয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জুলাইয়ের বন্যায় আমন ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে বড় লোকসান হয়েছিল কৃষষের। এরপর ক্ষতি কাটিয়ে আবারও বীজ বুনেছে তারা। এখন সে চারা তুলে রোপণের সময়। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে তৃতীয়বার বন্যার কবলে পড়ে সে বীজ এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। দুয়েক দিনে যদি পানি না নামে তাহলে এবারের চারাও আর কাজে লাগাতে পারবে না কৃষক।

পরশুরামের বীরচন্দ্র নগরের বাসিন্দা মো. রহিম জানান, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে ঘরবাড়ি তিনবার পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার সব মানুষ কষ্টে আছে। বাড়িঘর সব ডুবে গেছে।

ফুলগাজী উপজেলার নীলক্ষী এলাকার কৃষক আকবর হোসেন বলেন, বন্যায় ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করে রোপণের কয়েক দিন পর আবারও পানিতে ডুবে যায়। গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে এখন নতুন করে সব জমি পানিতে তলিয়ে আছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, গত বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। সেগুলো মেরামত করার আগেই গত দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে ভাঙন অংশ দিয়ে আবারও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় পরশুরাম উপজেলার পরশুরাম পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দুটি ডিঙি দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের কাছে আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, বন্যার পানিতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এখনও প্রবল স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলায় ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৮ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, বন্যা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কমপক্ষে ৮১৯ জন নিহত: এইচআরএসএস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় কমপক্ষে ৮১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। এর মধ্যে ৬৩০ জনের নাম জানা গেলেও ১৮৯ জনের নাম জানতে পারেনি তারা।

সংস্থাটির মানবাধিকার পর্যবেক্ষণবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএসএস জানায়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ও যুবক। তাদের সংখ্যা ২৪০ জন। আর শিশু নিহত হয়েছে ৮৩ জন। এ ছাড়া সারাদেশে আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এ সময় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনসহ বিচার প্রক্রিয়া সংস্কার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহবান জানায় এইচআরএসএস।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম, হাসপাতাল, প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

গত জুলাইয়ের শুরুতে শুধু ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন হলেও ১৬ তারিখ থেকে তা ছড়িয়ে পরে সারাদেশে। ওই দিন সহিংসতায় নিহত হন ৬ জন।

দিন যত বাড়তে থাকে, তত বাড়তে থাকে সহিংসতা, বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি জানায়, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সরকার পতনের দিন। ওই দিন নিহত হয়েছেন ২০৫ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী রয়েছেন ৬৯ শতাংশ।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির গবেষণা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।

এ ছাড়া সহিংসতায় যেসব নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোথা থেকে দেশে এসেছে, সেটিও খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।


আরও খবর