ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল
আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলায় দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন
আসামি তানভীর ভূঁইয়া (৩০)।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরপর ফের তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে সোমবার (৩ জুন) একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দেন আসামি শিলাস্তি রহমান।
অপর আসামি হলেন শিমুল ভূঁইয়া ওরফে ওরফে
আমানুল্যাহ আমান (৫৬)। তিন আসামির ২৪ মে আট দিনের এবং ৩১ মে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
করেন আদালত।
এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশের অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
সোমবার আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ও পলাতক ১০ আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের
কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন
পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে।
পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ
আনোয়ারুল আজিম।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে, গত ১৮
মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও
খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন
এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার
খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে গ্রেফতার
সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাহাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও
শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশের
আদালত। আর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড
দিয়েছেন ভারতের বারাসাতের আদালত।
অন্যদিকে, আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন
মো. সিয়াম নেপালে আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নেপাল পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। সোমবার (৩ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
মাহবুবুল হক তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আমানের সহযোগী সাইফুল মেম্বারকেও রিমান্ডে
নিয়েছে পুলিশ।