আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মারা গেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতীয় কিংবদন্তি গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই। মৃত্যুর আগে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গায়কের মৃত্যুর খবর ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন তারই কন্যা নায়াব উদাস।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পঙ্কজ উদাস নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ভারতের গুজরাটে জন্ম নেওয়া পঙ্কজ উদাস মূলত গাজল গায়ক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৮০ সালে আহত শিরোনামের গজল অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। ৪০ বছরেরও বেশি সময় বলিউড মাতিয়েছেন পঙ্কজ। হিন্দি সিনেমার গানে ৮০র দশক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। নশা, পয়মানা, হসরত, হামসফরর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তার ঝুলিতে।

চান্দি জ্যায়সা রং, না কাজরে কি ধার, দিওয়ারো সে মিল কর রোনা, আহিস্তা, থোড়ি থোড়ি প্যার করো, নিকলো না বেনাকাব- পঙ্কজ উদাসের গাওয়া এসব গজল আজও ভুলতে পারেনি শ্রোতা-দর্শকরা।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রুশ হামলায় ইউক্রেনকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার সঙ্গে লড়তে নিজেদের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের পাইলটদের এই যুদ্ধ বিমান চালানোর প্রশিক্ষণও দেয় মার্কিন প্রশাসন।

তবে এক বছরের মাথায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি হারিয়েছে ইউক্রেন। শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় এই যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এবং পাইলট মারা গেছেন।

কিয়েভ দাবি করেছে, মারা যাওয়ার আগে সেই পাইলট রাশিয়ার তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি ড্রোন ধ্বংস করেন। দেশ রক্ষায় নিজের জীবন দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, তখন অনেক বিশ্লেষক এই নীতির বিরোধিতা করে বলেছিল; পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন রাশিয়ার সথে চলমান যুদ্ধ আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

কারণ এই মডেলের যুদ্ধবিমানকে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফাইটার জেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ এর দশকে এই বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারের মত এফ-১৬ তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম নগরে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান-জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও থানাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারী চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিম পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।

পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে পাহাড় কাটা অবস্থায় দুজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়।

 জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এসময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষন আইনের আওতায় অপরাধী দুজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

 সচেতনতামূলক বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোন ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোন পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।

যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



পলক ও তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ায় এ ব্যবস্থা নিয়েছে সংস্থাটি।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে একের পর এক প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করছে বিএফআইইউ। গতকাল সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, তার স্ত্রী ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান রুখমিলা জামান চৌধুরী, সন্তান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা ফ্রিজ করতে বলা হয়। অপর এক নির্দেশনার মাধ্যমে সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী শারমিন মুশতারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। গত রোববার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ পরিবারের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে সংস্থাটি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে তাও স্থগিত করতে হবে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের ফলে এখন থেকে তারা আর কোনো টাকা তুলতে পারবে না। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থগিত করা হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিলাদি যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ও সন্তান সাম্মাম জুনায়েদ ইফতির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ। তাদের নামে থাকা ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি, অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেন বিবরণীসহ যাবতীয় তথ্য আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বারের নতুন প্রশাসক আনোয়ার পাশা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আনোয়ার পাশা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম চেম্বারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রশাসক হিসেবে যুক্ত হলেন সরকারি কর্মকর্তা।

একই আদেশে আগামী ১২০ দিনের মধ্যে চেম্বারের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন ও দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

আদেশপত্রে উল্লেখ করা হয়, 'বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ওমর হাজ্জাজসহ ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালক মিলিয়ে ২৪ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করে বিদায়ী কমিটি। বাণিজ্য সংগঠন আইন- ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক সরকারের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।'

এর আগে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শতবর্ষী এ সংগঠনে সাবেক এমপি এমএ লতিফপুত্র ওমর হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন চেম্বার পরিচালনা বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ ২৪ জন পরিচালক। এরপর চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ পদত্যাগ করেন।


আরও খবর



অজ্ঞাত স্থান থেকে ব্যারিস্টার সুমনের ভিডিও বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিতে শুরু করে। এ দিকে সামাজিকমাধ্যম থেকে সর্বত্র কৌতূহল শুরু হয়, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন কোথায় আছেন।

এবার অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। যেখানে তিনি দাবি করেন, শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিজের অবস্থান যথাযথভাবে বোঝাতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

ভিডিওতে সুমন বলেন, আমি শুরু থেকে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম এবং এই আন্দোলনে যারা আহত-নিহত হয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পক্ষেও আমি ছিলাম। কিন্তু আমার ব্যর্থতা হলো, আমি আপনাদের বোঝাতে পারিনি। আমি এই ব্যর্থতার জন্য আমার যারা ফলোয়ার আছেন, আমার কাছে যারা প্রত্যাশা করেছেন সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।

গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের মধ্যে নিজেকে অন্যতম বলে দাবি করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা এখন যে কাঠামোগত সংস্কার চাচ্ছেন, অথচ এই সংস্কারের জন্য দীর্ঘ বছর আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি আমি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, গত ১৫ বছরে যে দুই-তিনজন মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, তাদের মধ্যে হয়তো আমাকে একজন পাবেন। আমি এস আলমের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে টাকা পাচারের জন্য মামলা করেছি।

আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যিনি প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আমেরিকাতে তার নয়টি বাড়ি থাকা নিয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি। পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে দুদকে মামলা করেছি। জাতীয় সংসদে তার বিরুদ্ধে আমি বক্তব্য দিয়েছি। কর কমিশনার মতিউরের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে মামলা করেছি, ফুটবলের দুর্নীতি নিয়ে কাজী সালাউদ্দিন সম্পর্কে কথা বলেছি। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে আমি নিজে মামলা করেছি, পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার ৮ বছরের সাজা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমার জীবনের কত ঝুঁকি ছিল। কোটা আন্দোলন শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে বাধ্য হয়েছি, জিডি করেছি যে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। সুতরাং এই যুদ্ধে সবসময় আমি চেষ্টা করেছি। এখন আপনারা যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে যুদ্ধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, এই যুদ্ধে সবসময় আমি দোয়া করি। এই যুদ্ধে সবসময় আমার জায়গা থেকে শরিক থাকার চেষ্টা করব।

কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন সরকার পতনের এক দফায় রুপ নিল, তখন শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিরোধিতাও করেন তিনি।

এর আগে ব্যারিস্টার সুমন বলেছিলেন, যারা ফেসবুকে প্রোফাইল লাল করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল যতটুকু দাবি যৌক্তিক পর্যায়ে ছিল, কোটা সংস্কারের জন্য ছিল, আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল ছিলাম। কিন্তু যখন আমার নেত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাচ্ছেন এবং ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন, তখন আমি আপনাদের পক্ষে নেই। কেননা আপনাদের যেমন আমার নেত্রীর বিরোধিতা করার অধিকার আছে, আমারও আমার নেত্রীর পক্ষে দাঁড়ানোর অধিকার আছে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় নানা সামাজিক ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে কথা বলে আলোচনায় উঠে আসেন ব্যারিস্টার সুমন।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে নির্বাচিত হন তিনি।


আরও খবর