আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাশা আমিনির মৃত্যু: প্রতিবাদের ঢেউ কীভাবে সামলাবে ইরান?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কাব্যিক দৃশ্যও কখনো কখনো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ চলাকালে আগুনের সামনে স্কার্ফ খুলে হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করছেন এক তরুণী। একাকী এক বৃদ্ধা, তার সাদা চুল খুলে, খামেনির মৃত্যু! শব্দধ্বনি শুনতে শুনতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং তার শাসনের বিরুদ্ধে এই তীব্র প্রতিবাদ। ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এই বিধিগুলো তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশ।

এই পুলিশের একটি দল, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর মাশা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাশা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইরানের ডজনখানেকের বেশি শহরে। নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বব্যাপী। বহু বছর ধরে আয়াতুল্লাহ খামেনির স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী আন্দোলন হচ্ছে এবার। বিক্ষোভ চলাকালে ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে অন্তত ৮৩ জনের।

ব্যক্তিগত সাহস সম্মিলিতভাবে বিপ্লবের সূচনা করে। ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২, আলোচিত আরব বসন্তের কয়েক বছর কেটে গেছে। পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১০ সালে তিউনিসিয়ার সিদি বাওজিদ এলাকার ফুটপাতের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাওয়াজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা থেকে হয় জন্ম আরব বসন্তের। ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের আত্মাহুতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। আন্দোলনে ফেটে পড়ে পুরো দেশ। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বেন আলী। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বেন আলীর শাসনের সমাপ্তি ঘটে। তিউনিসিয়ার বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন থাকা শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে বাহরাইন, মিশর, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে। বেশ কিছু বছর ধরে কয়েকবার ইরানিরা তাদের দেশের শাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরিত হয়েছে। এবারও দমন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্ম হলো। তবে এখনকার আন্দোলনের সময়টা কি ভিন্ন হতে পারে?

এটা ভবিষ্যৎ বাণী করা প্রায় অসম্ভব। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার বিক্ষোভ বেশি ছড়িয়ে পড়েছে ইরানে। তরুণদের সঙ্গে বয়স্করাও অংশ নিয়েছেন আন্দোলনে। কুর্দিসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও অংশ নিচ্ছেন এতে। তবে এখন পর্যন্ত নারীরাই সবচেয়ে সাহসিকতা দেখিয়েছেন এবারের আন্দোলনে। তবে ইরানের পুরুষরা যদি সমান মাঠে নামে তাহলে একটি জঘন্য ব্যবস্থাকে অপসারণ করা, যদিও স্বল্পমেয়াদে এখনো অসম্ভব তবে অকল্পনীয় নয়। চলমান বিক্ষোভে নারীদের ভূমিকা নতুন। আরেকটি পার্থক্য হলো দাবির বিষয়গুলোও বাস্তবে কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সমসাময়িক তরুণরাও সামিল হচ্ছে আন্দোলনে। ২০১২ সাল থেকে মাথাপিছু আয় স্থবির হয়ে পড়েছে ইরানের। ফলে ৮৫ মিলিয়নের বেশি লোক কঠিন জীবনযাপন করছে দেশটিতে। ইরানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রাকৃতিক কারণে। নদীগুলোর পানি শুকিয়ে গেছে। চাষের জমি শুকিয়ে গেছে। অনেক ইরানির কাছে এখন একটি বিকল্প হতে পারে দেশ ছাড়া যাওয়া।

ইরানের শাসনব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। অভিযোগ আছে, ইরানের সমস্যা বিদেশিদের ওপর দোষ চাপানো। নিশ্চিতভাবেই, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলো অর্থনৈতিক দুরাবস্থাকে আরও গভীর করেছে, কিন্তু জনগণের দারিদ্র্যের জন্য প্রধান দায়ী দেশটির শাসন ব্যবস্থাই। অর্থনীতির কিছু অংশে সামরিক লোক এবং আয়াতুল্লাহদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নীতিগুলো একরোখা। ইরানের পার্লামেন্টে কট্টরপন্থিরা আধিপত্য বিস্তার করে, এবং তুলনামূলকভাবে সংস্কারমনা রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়। তা ছাড়া, কয়েক দশকের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির কারণে ইরান আইসোলেটেড হয়ে পড়েছে। দেশটি ইরাক ও লেবাননে মিলিশিয়া ও সিরিয়া, ইয়েমেনে নৃশংস নেতাদের সমর্থন করে। ইরান উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য হুমকি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি পারমাণবিক পরিকল্পনার সঙ্গে টিকে থাকে যা ইসরায়েলকে আতঙ্কিত করে এবং এই অঞ্চলকে বিচলিত করে এমনটাও বলা হচ্ছে। বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এতে মাথা ঘামানোর ঝুঁকি নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মনে করছেন অনেকে।

স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বিদ্রোহকে উত্সাহিত করার জন্য পশ্চিমারা খুব কমই আগ্রহী হতে পারে কারণ বিশ্বের অন্যত্র যুদ্ধ চলছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের শাসনকে দুর্বল করেছে, তবে পরিবর্তন আনতে স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছে। বলা হচ্ছে, তেল সমৃদ্ধ ইরান মানবাধিকার নিয়ে পরোয়া করে না, বিশেষ করে চীনের মতো। ইরানের সঙ্গে চীনের ভালো অর্থনৈতিক সখ্যতা রয়েছে। ইরানের সাহসীদের জন্য পশ্চিমা সরকারগুলো যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে পারে তা হলো তাদের সেন্সরশিপ এবং নজরদারি এড়াতে সহায়তা করা। দেশটির ইন্টারনেট সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের কঠোর শাসন থেকে মুক্তি পেতে তাদেরকেই লড়াই করতে হবে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হচ্ছে। কোনো সম্ভাব্য নেতার আবির্ভাব হয়নি। তবে সবশেষ বিদ্রোহও শেষ পর্যন্ত ম্লান হতে পারে, যেমনটি আগেরগুলো হয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: মাশা আমিনি

আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৩৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত অভিবাসীদের সবাই ইথিওপিয়ার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৩৩ ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে তাদের নৌকা ডুবে মারা গেছে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।

এদিকে জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে গিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যায় ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে।


আরও খবর



সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের পরও ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬০।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। বায়ুদূষণ সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



রমনার বটমূলে মানুষের ঢল, সুরের মূর্ছনায় বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ রোববার শুরু হলো ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে রাজধানীর রমনা বটমূলে। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে নিয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী, নির্ধন নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

উৎসবে যোগ দেওয়া অনেকে জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। সকাল সোয়া ছয়টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। সেখানে জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রমনা উদ্যানে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মানুষের ঢল নামে। বছরের প্রথম দিনে অনেকের পোশাকেই স্থান পেয়েছে লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। এছাড়া অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবার ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।

ছায়ানটের পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এবারের আয়োজনে ১১টি সম্মেলক গান, ১৫টি একক গান, পাশাপাশি পাঠ ও আবৃত্তি রয়েছে।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ডিএমপি, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয়ে আলাদা।


আরও খবর



সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধের কারণে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতি দেখা দিয়েছি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার বিকালের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় এখন ৫ হাজার জিবিপিএস। দুই সাবমেরিন ক্যাবলের বাইরে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) মাধ্যমে স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।


আরও খবর



সমালোচনার মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

গত ৮ই এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে। লুৎফুল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তার-ই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।

গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও এক আত্মীয়কে অপহরণ করেন লুৎফুল হাবিবের সমর্থকরা। গাড়িতে মারধরের পর ওইদিন দেলোয়ারকে তার বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবের। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মূল ঘটনা সামনে এলে গত শুক্রবার লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।


আরও খবর