আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মাসিকের সময় পরিচ্ছন্ন থাকার টিপস

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাসিক বা ঋতুচক্র নিয়মিত স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এটি শারীরিক গঠন বা প্রক্রিয়ার অংশ। যদিও এখনো আমাদের অনেকের কাছেই এটি ট্যাবুর মতো। অনেকেই এটিকে গোপন বা লজ্জাজনক বিষয় মনে করেন। তাই এ সময় পরিচ্ছন্নতার থেকে বেশি নজর দেয় গোপনীয়তার দিকে। কেউ যদি বুঝে যায় তার মাসিক হয়েছে এই ভয়ে, অনেকেই ন্যাপকিন বদলাতেও চান না। এমনও হয় সারাদিন একই ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন। অথচ এ ন্যাপকিন বদলানোর নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে গ্রাম ও ছোট শহরগুলোতে মেয়েরা এখনো তাদের মাসিকের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড়ের টুকরা বারবার ব্যবহার করে থাকে। মাসিক হওয়াকে এখনো অশুচি বা অপরিষ্কার হিসেবে মানা হয়। অথচ এ সময় নারীদের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। মাসিকের সময় স্বাস্থ্যকর থাকার কিছু পরামর্শ বা টিপস জেনে নিই।

আগে মাসিকের সময় নারীরা সাধারণত কাপড় ব্যবহার করলেও বর্তমানে নানা ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন- স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পনস ও মেন্সস্ট্রুয়াল কাপ। তবে এর মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো স্যানিটারি ন্যাপকিন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে মাসিকের প্রবাহমাত্রার উপর নির্ভর করে পদ্ধতি নির্বাচন জরুরি। ট্যাম্পন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এটার সর্বনিম্ন শোষণ ক্ষমতা কত এবং তা আপনার প্রবাহমাত্রা বা প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত কি না। দ্রুত ব্র্যান্ড পরিবর্তন করা অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কারণ প্রত্যেকটা ব্র্যান্ড আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং আপনার সেটা পছন্দ নাও হতে পারে।

একেক জনের মাসিকের স্থায়িত্ব একেক রকম হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে মাসিকের শেষের দিকে যখন কম রক্তস্রাব হয় তখন শরীরের মাধ্যমে আক্রমণ হতে পারে। যদি ব্যবহৃত ন্যাপকিনটি স্যাঁতস্যাঁতে হয় তাহলে যোনির মধ্যে থাকা অণুজীবগুলো ঘামের মাধ্যমে যৌনাঙ্গে যেতে পারে। যখন অণুজীবগুলো উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশ পায় তখন এরা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে, যার ফলে ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন ও স্কিন র‍্যাশ হতে পারে।

প্যাড বা ন্যাপকিন পরিবর্তন করার সঠিক সময় ৬ ঘণ্টা পর পর। কিন্তু ট্যাম্পন বদলাতে হয় দুই ঘণ্টা পর পর। এটি পরিবর্তনের সময় আপনার প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনো নারীর রক্তপ্রবাহ বেশি হলে দ্রুতই পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, আবার কারো জন্য সেটা পরিমাণে অল্প হয়। আবার অনেক সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন যদি পুরোপুরি না ভেজে বা ব্যবহৃত নাও হয় তবু নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপনাকে অবশ্যই এটি পরিবর্তন করতে হবে। ট্যাম্পন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভ্যাজাইনার ভেতর ঢুকানো থাকে যা দীর্ঘ সময় থাকলে টক্সিক শক সিন্ড্রোম বা টিএসএস-এর মতো অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে শরীরের ভেতর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে মারাত্মক সংক্রমণের সৃষ্টি করতে পারে।কখনো কখনো মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্ত ভ্যাজাইনা ও আশেপাশের ত্বকে লেগে থাকে যা অবশ্যই নিয়মিত ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে ভ্যাজাইনার আশেপাশে দুর্গন্ধ থাকেনা। সুতরাং এটি খুব জরুরি যে যখন প্যাড বা ন্যাপকিন পরিবর্তন করা হয় তখন অবশ্যই ভ্যাজাইনা ও ল্যাবিয়া ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যদি ধোয়া না হয় তাহলে ভেজা রুমাল বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে।

ভ্যাজাইনা পরিষ্কার রাখার নিজস্ব কৌশল রয়েছে, যা এত ভালো কাজ করে যে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোর ভারসাম্য নিজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সাবানের ব্যবহার ভ্যাজাইনার ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলে এবং সংক্রমণের দিকে যাবার রাস্তা তৈরি করে। সুতরাং যোনি ও এর আশেপাশে নিয়মিত পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে একটু উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু সাবান ব্যবহার করা যাবে না।

ধোয়ার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ভ্যাজাইনা থেকে মলদ্বার পর্যন্ত হয়। কখনোই বিপরীত অভিমুখে পরিষ্কার করা যাবে না। কারণ এতে মলদ্বারের ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজাইনা ও মূত্রনালির পথে গিয়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এক্ষেত্রে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

এক সময়ে কেবলমাত্র একটি পদ্ধতি বা মাধ্যম ব্যবহার করা জরুরি। যাদের মাসিকের রক্তপ্রবাহ অনেক বেশি থাকে তারা অনেকেই এ সময় কয়েকটা পদ্ধতিতে প্যাড বা ট্যাম্পন ব্যবহার করে থাকেন- দুইটা স্যানিটারি প্যাড, একটা ট্যাম্পন ও স্যানিটারি প্যাড, একটা স্যানিটারি প্যাড সঙ্গে একটা কাপড়ের টুকরা। এটি একেবারেই ভালো নয়। এতে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রত্যেক নারীর মাসিকের জন্য আলাদা প্রস্তুতি থাকা জরুরি। এ সময় অতিরিক্ত স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পন একটা পরিষ্কার থলি বা পেপারের ব্যাগে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া একটা নরম তোয়ালে, কিছু পেপার টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ছোট বিন ব্যাগ, কিছু স্বাস্থ্যকর নাস্তা, এক বোতল পানি, একটি অ্যান্টিসেপটিক টিউব, ব্যথার ওষুধ (ডাক্তারের পরামর্শ মতো) সঙ্গে রাখতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঋতুচক্র মাসিক

আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়বেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এফডিসি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

নির্বাচনে লড়ছেন যারা

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




হজ প্যাকেজের খরচ কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব কথা বলেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হজের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজযাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর
আরও কমলো স্বর্ণের দাম

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



কলকাতায় ঈদে একমাত্র ‘মির্জা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতায় ঈদ নিয়ে খুব একটা মাতামাতি নেই। সিনেমা মুক্তিতেও অনীহা প্রযোজক-পরিচালকদের। তাই টালিগঞ্জের দর্শকদের জন্য ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে একমাত্র সিনেমা মির্জা। সুমিত সাহিলের পরিচালনায় এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা-ঐন্দ্রিলা সেন।

অ্যাকশন ধাঁচের গল্পে নির্মিত মির্জা ১০ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল। তবে ঈদ ১১ এপ্রিল হওয়ায় এক দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, অনেক যত্নে নির্মাণ করা হয়েছে মির্জা। এতে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও রয়েছি। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। সেই আশা থেকেই এক দিন পিছিয়ে ঈদের দিন মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন ফেস্টিভ্যাল থাকায় আশা করছি দর্শকদের ভালো রেসপন্স পাব। তবে অঙ্কুশের মির্জাকে যুদ্ধ করতে বলিউড দুই সিনেমার সঙ্গে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউডের সিনেমা বড়ে মিয়া ছোটে মিয়াময়দান। যার কারণে কলকাতাও সেভাবে হল পাচ্ছে না মির্জা

সিনেমায় অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, কৌশিক গাঙ্গুলি, শোয়েব কাবির, জিমি ব্যানার্জি, প্রিয়া মণ্ডল ও শঙ্কর দেবনাথ।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪