মধ্যরাতে মাথা
টিপার কথা বলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার তাহযীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইন্সটিটিউট মাদ্রাসার
এক ছাত্রকে (১৩) নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা শাহাদাৎ
হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে
ওই শিক্ষককে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মা। সকালে
ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাদরাসা হিসাব
রক্ষক রুবেল ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা জানান, জানুয়ারি মাসে ওই মাদরাসার হিফজ
বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্র। গত এক মাস ধরে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে মাথা ও শরীর ম্যাসেজ করার
কথা বলে ওই ছাত্রকে তার কক্ষ থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছে শিক্ষক শাহাদাত।
এ ঘটনা কাউকে
যেন বলা না হয়; সে জন্য শপথও করানো হয় ওই ছাত্রকে। গত মঙ্গলবার বিকালে ওই ছাত্রকে মাদরাসার
তিন তলার কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করে ওই শিক্ষক।
এরপর ওই ছাত্র
বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে মাকে সব জানায়। ঘটনাটির বিচার দাবি জানিয়ে শুক্রবার
বিকালে ছাত্রের মা মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেয়। এতে তাৎক্ষণিক মাদ্রারাসার
অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পর মেরে বরখাস্ত করে ছাত্রের মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
এ নিয়ে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় রাতেই
ওসির নির্দেশে থানার এসআই ঝন্টু দে ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ তিনজনকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।