আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মাথা টিপার কথা বলে মাদ্রাসা ছাত্রকে নিপীড়ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মধ্যরাতে মাথা টিপার কথা বলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার তাহযীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইন্সটিটিউট মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (১৩) নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা শাহাদাৎ হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে ওই শিক্ষককে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মা। সকালে ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

মাদরাসা হিসাব রক্ষক রুবেল ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা জানান, জানুয়ারি মাসে ওই মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্র। গত এক মাস ধরে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে মাথা ও শরীর ম্যাসেজ করার কথা বলে ওই ছাত্রকে তার কক্ষ থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছে শিক্ষক শাহাদাত।

এ ঘটনা কাউকে যেন বলা না হয়; সে জন্য শপথও করানো হয় ওই ছাত্রকে। গত মঙ্গলবার বিকালে ওই ছাত্রকে মাদরাসার তিন তলার কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করে ওই শিক্ষক।

এরপর ওই ছাত্র বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে মাকে সব জানায়। ঘটনাটির বিচার দাবি জানিয়ে শুক্রবার বিকালে ছাত্রের মা মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেয়। এতে তাৎক্ষণিক মাদ্রারাসার অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পর মেরে বরখাস্ত করে ছাত্রের মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ নিয়ে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় রাতেই ওসির নির্দেশে থানার এসআই ঝন্টু দে ওই মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিউজ ট্যাগ: বলাৎকার

আরও খবর



১০ তলা ভবন নিলামে ৬০ হাজারে বিক্রি!

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ১০তলা এবকটি ভবন ভেঙে সরিয়ে নিতে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় (ভ্যাট, আইটি ব্যতীত) ভবনটি বিক্রয় করেছে ডিএনসিসি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর বছিলাস্থ রামচন্দ্রপুর খালের জায়গায় ভবনটি নির্মাণাধীন।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ভবনটির উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি'র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম।

নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ১৩ মার্চ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙার কাজ সমাপ্ত করে অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরদিন থেকে প্রতিদিন ভবন ভাঙার কাজ চলছে।

আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে মেয়রের উপস্থিতিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি ভাঙা হয়। ভবনের মালিক ম্যাপ ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে খালের সীমানায় ভবনের ৮০ শতাংশ পড়ার বিষয়টি মেনে নেয় এবং ভবনের মালিক ভবনটি ভেঙে নেওয়ার জন্য সাতদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তীতে ভবন মালিকের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হয়েছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম নিজে সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার অভিযানে ছিলেন। টানা কয়েকদিনের অভিযানে খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনসহ এ পযর্ন্ত ছয়টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বৈশ্বিক অস্ত্র ব্যবসায় শীর্ষে আমেরিকা, পিছিয়েছে রাশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব কেবল বিশ্ব অর্থনীতির ওপরই নয় বরং পরিবর্তন এনেছে বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যেও। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে ইউরোপে অস্ত্র আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আর বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় পিছিয়ে গেছে রাশিয়া, এগিয়ে গেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, অস্ত্র রপ্তানিতে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বিশ্ব বাজারে অস্ত্রের আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)। 

এতে দেখা গেছে, ২০১৪-১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-২৩ সালে সামগ্রিক বৈশ্বিক অস্ত্র স্থানান্তর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে ইউরোপে গত পাঁচ বছরে অস্ত্র আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৪ শতাংশ। দেশগুলোতে প্রায় ৫৫ শতাংশ অস্ত্র রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ২০১৪-১৮ সালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।

এসআইপিআরআই-এর তথ্যমতে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে লাভবান হয়েছে মার্কিন অস্ত্র নির্মাতারা। সংঘাত শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অস্ত্র রপ্তানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে। গত ৫ বছরে ১০৭টি দেশে অস্ত্র সরবরাহ করায় মোট বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ৪২ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঝুলিতে। 

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর অস্ত্র রপ্তানি ৪৭ শতাংশ বাড়িয়েছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, যুদ্ধের কারণে অস্ত্র রপ্তানি ৫৩ শতাংশ কমিয়েছে রাশিয়া। ২০১৯ সালে ৩১টি দেশে মস্কো অস্ত্র রফতানি করলেও, গত বছর তা নেমে আসে ১২ টি দেশে। ফলে প্রথমবারের মতো রাশিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ফ্রান্স। 

এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকায় ভারত, সৌদি আরব ও কাতারের পর চতুর্থ অবস্থান দখল করেছে ইউক্রেন। ২০১৯-২৩ সালে দেশটির অস্ত্র আমদানি ৬ হাজার ৬০০ শতাংশ বেড়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার (২৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে বিকাল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কন্ট্রোল রুম থেকে আরও জানানো হয়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

আগুনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০টি ঘর পুড়ে গেছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য আশপাশের কয়েকশ ঘর ভেঙে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



সৌদিতে ঈদে টানা ৬ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৮ এপ্রিল সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যেহেতু সৌদিতে শুক্র ও শনিবার এমনিতে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে, তাই ১২ ও ১৩ এপ্রিলও ছুটি। ফলে সবমিলিয়ে এবারের ঈদে দেশটির মানুষ টানা ছয়দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।

পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পর পালিত হয় ঈদুল ফিতর। ইংরেজি মাসগুলো ৩০ ও ৩১ দিনের হলেও আরবি মাসগুলো সাধারণত ২৯ ও ৩০ দিনের হয়। এ বছর সৌদিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে ১১ মার্চ থেকে। রমজান মাস ৩০ দিনের হলে সেখানে ১০ এপ্রিল ঈদ হবে। আর ২৯ দিনের হলে ঈদ হবে ৯ এপ্রিল।

রমজান মাসে বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম রোজা রাখেন। এই মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন তারা। রোজার মাসে ধর্মীয় কার্যকলাপে মনোযোগ দেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

রমজান মাস শেষে আসে খুশির ঈদ। এই দিনে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন সবাই একত্র হয় এবং দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করে। ঈদের দিন একে-অপরকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি উপহারও দিয়ে থাকেন। এছাড়া একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন অনেকে।

ঈদের দিন মুসল্লিরা একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ মসজিদ ছাড়াও খোলাস্থানে বা ঈদগাহে হয়ে থাকে। রমজান শেষ হয়ে ঈদ আসার আগেই ধনীরা গরীবদের যাকাত ও ফিতরা দিয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে ধনীদের পাশপাশি গরীবরাও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ পান।


আরও খবর



‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর