আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

‘মায়ের আত্মগোপনে জড়িয়ে আমাকে অপরাধী বানানো হচ্ছে’

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খুলনার নিখোঁজ গৃহবধূ রহিমা বেগম উদ্ধারের পর মায়ের আত্মগোপনে মেয়ে জড়িত বলে প্রচার হওয়ার কথা জানিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে মরিয়ম মান্নান বলেন, মাকে খোঁজার কারণেই আমাকে এখন অপরাধী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। মায়ের আত্মগোপনে আমি জড়িত বলে বলা হচ্ছে। মা আমার, খুঁজবো তো আমিই। আমার কী তাহলে চুপ করে থাকা উচিত ছিল?

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত ৪টা ৮ মিনিটের দিকে মরিয়ম মান্নান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, সন্তান তার মাকে খুঁজবে খুব স্বাভাবিক। আপনার মা হারিয়ে গেলে আপনিও খুঁজতেন। ফুলপুরের লাশ পর্যন্ত গিয়েছি মাকেই খুঁজতেই। ফুলপুর থানার ওসিকে আমি তাদের দেওয়া একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই কল দেই। ওখানে যাই, ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করি। আমার মাকে আমি খুঁজেছি, সব জায়গায় যেয়ে একটা কথাই বলেছি আমার মাকে চাই। মা যদি আত্মগোপন করেন তাকে এনে শাস্তি দিন, তাও আমার মাকে আমার চোখের সামনে এনে দিন দয়া করে। আজকে মাকে পাওয়া গেছে, আমি মায়ের উদ্দেশে যাচ্ছি। মায়ের সাথে এখনও দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। মায়ের কোনও ভিডিও অথবা অডিও পাইনি যেখানে মা বলেছেন তিনি আত্মগোপন করেছেন। সকলের কাছে গিয়েছি মাকে খুঁজে পেতে, যাদের কাছে গিয়েছি তারা জানেন কী চেয়েছি আমি। মাকে ছাড়া আর কিছু চাওয়া আমার ছিল না। এখনও নেই। দয়া করে মায়ের সাথে দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি মাকে খুঁজেছি, সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব তাকে খোঁজা। মা এই তিরিশ দিন কোথায় ছিল, কীভাবে ছিল সেটা আপনাদের মতো আমারও প্রশ্ন। আমার মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিন। আমার মায়ের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত আমাকে সহযোগিতা করুন।মা যদি আত্মগোপন করেও থাকেন তবুও তাকে খোঁজার দায়িত্ব আমার।

তিনি পোস্টে লিখেন, আমি মাকে খুঁজতেছি বলে আমাকে বলা হচ্ছে মায়ের আত্মগোপনে আমি জড়িত? তাহলে আমার কী করা উচিত ছিল? যখন শুনেছি আমার মা নিখোঁজ, তখন চুপ করে বসে থাকা উচিত ছিল? যারা প্রথম দিন থেকে বলছিলেন মা আত্মগোপন করেছেন তাদের কথা শুনে মাকে আর খুঁজতাম না? মাকে খুঁজেছি বলে আমাকে দোষী করা হবে? আপনারা আমাকে যে যাই দোষ দিন না কেন, প্রথম দিন থেকে আমি ছুটেছি মায়ের জন্য। আজকে পেয়েও গেছি। বারবার বলেছি মা আত্মগোপন করলে সামনে আনুন, শাস্তি দিন, আমার কলিজা জুড়াক। আমার কলিজা শান্ত হয়েছে। মায়ের চেহারাটা দেখেই আমার শান্তি। আপনারা যে যাই বলেন, এখন আমার মা আমার সামনে। মাকে খুঁজে পাওয়ার লড়াই ছিল আমার। আপনারা সহযোগিতা করেছেন। আপনাদের সহযোগিতায় আজকে আমার মাকে খুঁজে পেয়েছি। প্রথম দিনের মতোই আজকেও আমার একটাই চাওয়া মাকে ছাড়া কিছুই চাই না। মাকে নিয়ে এই খুলনা শহর ছেড়ে দিবো, মাকে নিয়ে দূরে চলে যাবো। মাকে চাওয়া ছাড়া কিছুই চাওয়ার নাই। যে জায়গা নিয়ে মামলা সেই জায়গাও চাই না। শুধু মাকে চাই। মাকে আমার কাছে না পাওয়া পর্যন্ত আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এবং আমি জানি একজন মাকে তার সন্তানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পৃথিবীর সকল মানুষ আমার পাশে থাকবেন। আমি খুশি, এক মুহূর্তের জন্যও বিচলিত নই। মাকে খুঁজতে যেয়ে যদি আমাকে দোষী হতে হয় আমি সেই দোষ মাথা পেতে নেওয়ার শক্তি এবং সাহস রাখি, ইনশাআল্লাহ।

নিউজ ট্যাগ: মরিয়ম মান্নান

আরও খবর



১৫০ উপজেলায় ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


আরও খবর



বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতার আইনজীবী জেলা আ.লীগের সা. সম্পাদক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হয়ে আদালতে লড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পান্না। 

সোমবার (১ এপ্রিল) জেলা দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলামের আদালতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান দুলালসহ ১৯ নেতা-কর্মী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এ সময় আসামিপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতাসহ আট আইনজীবী ছিলেন। বিস্ফোরক মামলার আসামিদের পক্ষে তারা কাজ করায় জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শ.ম হায়দার আলী জানান, ওই সময় তিনি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই তারা (কানাই লাল বিশ্বাস ও শহিদুল ইসলাম পান্না) কাজ করেছেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের মামলায় প্রধান আইনজীবী হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা অ্যাড. আবু কালাম আকন এবং তাদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পান্নাসহ আট আইনজীবী ছিলেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন মিজানুর রহমান দুলালসহ অন্য আসামিরা।

জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৯০ জনকে নামীয় এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

তার আগে ৭ নভেম্বর বিকেলে অভিযুক্তরা ওই এলাকার একটি পাকা রাস্তার ওপর বসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আট নেতা-কর্মীকে মারধরসহ তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর



ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা উধাও, ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাখা ব্যবস্থাপকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে ওই কার্যালয়েই মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক।

মামলার আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংক পিএলসির শাখা ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. খালেদ ইউনুছ (৩১), অফিসার মো. রাশেদুল হাসান (৩৪) ও বর্তমান ক্যাশ অফিসার শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯)। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ, সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান বর্তমানে এই ঘটনায় কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা জনতা ব্যাংক পিএলসির সিরাজগঞ্জের বেলকুচির তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করায় জনতা ব্যাংক পিএলসির সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম গত ২৫ মার্চ বেলকুচি থানা পুলিশের ওসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় (যার নম্বর- ১৩২০)।

উক্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় বেলকুচি থানার একটি স্মারকমূলে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাপ্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার একটি স্মারকমূলে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত-২) ও অভিযোগ যাচাইবাছাই কমিটির আহ্বায়ক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন প্রদান করা হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়- গত ২০ মার্চ জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখায় পরীক্ষামূলক পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষ। পরিদর্শনকালে টিম দেখতে পায় যে, ১নং আসামি মো. আল আমিন শেখ ব্যবস্থাপক হিসেবে জনতা ব্যাংক পিএলসি, তামাই শাখায় গত ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হতে অদ্যাবধি কর্মরত কিন্তু পরিদর্শনকালীন তাকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অফিসে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এ ছাড়া পরিদর্শনকালে ক্যাশ যাচাই/গণনা করে দেখা যায় যে, গত ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় তামাই শাখার ভল্টে রক্ষিত পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে পরিদর্শনকালে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী-এর মহাব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

পরবর্তীতে ২৪ মার্চ ১নং আসামি আল আমিন শেখ উক্ত ব্যাংকে যোগদান করলে উক্ত আত্মসাৎকৃত টাকার বিষয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করেন এবং সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। এ সময় আসামি আল আমিন শেখ ওই দিনই আত্মসাৎকৃত টাকার দায় স্বীকার করেন এবং দায় পরিশোধের নিমিত্তে সানড্রি ডিপোজিট হিসাবে ২০ লাখ টাকা স্বেচ্ছায় ব্যাংকে জমা করেন। তবে অবশিষ্ট টাকা জমা করতে ব্যর্থ হন।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, থানার অভিযোগের কপিটি আসার পর সেটি যাচাই-বাছাই করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে শাখা ব্যবস্থাপকসহ কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিত তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজ ট্যাগ: দুদক সিরাজগঞ্জ

আরও খবর



শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই এ মামলায় ড. ইউনূস মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন।

ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে বলেও জানান তিনি। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন বলেও জানান এ আইনজীবী।

গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আদালতে ওইদিন ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর