আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

মধ্যরাত থেকে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন ছাড়বে না এবং ঢাকায় কোনও ট্রেন আসবে না। তবে লকডাউনের আওতায় থাকা জেলাগুলো বাদে দেশের অন্যান্য এলাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে

আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করা হচ্ছে। করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় চলমান লকডাউনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আমরা আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করেছি। ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ থাকছে না। ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন ছাড়বে না এবং ঢাকায় কোনও ট্রেন আসবে না। তবে লকডাউনের আওতায় থাকা জেলাগুলো বাদে দেশের অন্যান্য এলাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন- চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট- এগুলো চলবে। শুধু ঢাকার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ থাকবে না। আজ (মঙ্গলবার) রাত ১২টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এর আগে গতকাল সোমবার (২১ জুন) করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে তার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। জেলাগুলো হচ্ছে- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে।


আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক অটল মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার চিফ রিপোর্টার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ অটল মারা গেছেন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে তার লাইফ সাপের্ট খুলে দেওয়া হয়। সৈয়দ আহমদ অটলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে তার ছেলে রাফসান জানি জিসান জানিয়েছেন, আজ বাদ জুমা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ধরে সৈয়দ আহমদ অটল বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

সৈয়দ আহমদ অটলের জন্ম বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ। তিনি ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

বগুড়ার চকযাদু প্রাইমারি স্কুল, বাংলা স্কুল, সরকারি আযিযুল হক কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।


আরও খবর



৩৫ বছর আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

৩৫ বছর আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ধার্য রয়েছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার দিন পেছানো হয়।

তিন দশক আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সগিরা মোর্শেদকে। ২০ ফেব্রুয়ারির আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে তারিখ পেছানো হয়।

এ রায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিরা খালাস পাবেন, সেই প্রত্যাশা তাদের।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল।

মামলার অভিযোগপত্রে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে বেশি পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন ডা. হাসান আলী চৌধুরী।

এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন  শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে সগিরা মোর্শেদ সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন। স্কুলের সামনে পৌঁছালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।


আরও খবর



একাত্তরের এইদিনে শাপলাকে জাতীয় ফুল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে যতই দিন যেতে থাকে, বাঙালির অসহযোগ আন্দোলন ততই তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভাঙার অদম্য নেশায় দুর্বার হয়ে ওঠে।

১৯৭১ সালের ১২ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, পূর্ববাংলায় পাকিস্তানি শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়ে। ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া বাংলাদেশের সব কিছুই পরিচালিত হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সরকারি, আধাসরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট চালিয়ে যান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসগৃহ এমনকি যানবাহনে কালো পতাকা ওড়ানো হয়।

ছাত্র-জনতার সঙ্গে পেশাজীবীরাও রাজপথে নেমে এসে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, বিদ্রোহ, বিক্ষোভ তথা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। শিল্পী কামরুল হাসানের আহ্বানে ১২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে আয়োজিত শিল্পীদের এক সভায় বাংলার চিরচেনা শাপলাকে জাতীয় ফুল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি এদিন শিল্পী মুর্তজা বশীর ও কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে এ দিন চারুশিল্প সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শকরা বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে অনির্দিষ্টকাল প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে এক সরকারি ঘোষণায়, ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসের নির্ধারিত সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ, খেতাব বিতরণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

বগুড়া জেলখানা ভেঙে এদিন ২৭ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। কারারক্ষীদের গুলিতে ১ কয়েদি নিহত ও ১৫ জন আহত হন। অব্যাহত আন্দোলনে সরকারি-আধাসরকারি অফিসের কর্মচারীরা কর্মস্থল বর্জন করেন।

দৈনিক পাকিস্তান (বর্তমান দৈনিক বাংলা) এদিন এক খবরে জানায়, বাঙালি সিএসপি কর্মকর্তারা চলমান আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করেছেন। আওয়ামী লীগের তহবিলে এক দিনের বেতন অনুদান দিয়েছেন তারা।

ময়মনসিংহে এক জনসভায় আবদুল হামিদ খান ভাসানী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমি জানি শেখ মুজিবুর রহমান কখনোই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন না। আপনারা শেখ মুজিবের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখুন।

এদিন লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে গণঐক্য আন্দোলনের প্রধান এয়ার মার্শাল (অব.) আসগর খান বলেন, পূর্বাঞ্চলের জনসাধারণ সমান অধিকার নিয়ে থাকতে চায়, পশ্চিমাঞ্চলের দাস হিসেবে নয়। পাকিস্তানকে রক্ষা করার একটিমাত্র পথ খোলা। আর তা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।

নিউজ ট্যাগ: অগ্নিঝরা মার্চ

আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪

আজ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস

বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪




দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই: টিআইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’—শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির দাবি, বাসকর্মী-শ্রমিকেরা মনে করেন১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স-টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।

যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। মূলত বাসের যাত্রী, মালিক, বাসকর্মী ও শ্রমিকদের ওপর চালানো এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপন করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭,৯০২ জন।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমধ্যসাগরে রাবারের তৈরি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া নৌকাটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে তারা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী সংস্থা এসওএস মেডিটিরিয়ানি জানিয়েছে, একদিন আগে ইতালিয়ান কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে তারা ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। খাবার ও পানিশূন্যতায় তাদের শরীর ভয়াবহ রকমের দুর্বল ছিল বলেও জানান তারা। এ সময় দু’জনকে অচেতন অবস্থায় উড়োজাহাজে করে সিসিলি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে তাদের মৃত্যু হয়।

এসওএস মেডিটেরিয়ানি এক্স বার্তায় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাতদিন আগে লিবিয়া ছেড়েছিলেন। এর তিনদিন পর তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পানি ও খাবার ছাড়াই কয়েকদিন সমুদ্রে ভাসতে থাকেন তারা।

জীবিতরা জানিয়েছেন, এ যাত্রায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন যার মধ্যে মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে। তারা সবাই ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় মারা গেছেন। কেউ ডুবে মারা যাননি। অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও জানান তারা। উদ্ধারকৃতরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা সবাই সেনেগাল, মালি এবং গাম্বিয়ার অধিবাসী।

এদিকে ইতালীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজ ভাইকিংস জানিয়েছে, তারা নৌকাটিতে অন্তত ২৫ জনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। অন্য ২৫ জনের অবস্থা গুরুত্বর।

অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইওএম) বলেছে, তারা এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সামুদ্রিক টহল শক্তিশালী করতে এবং বিপর্যয় রোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও এক্স বার্তায় জানায় সংস্থাটি।


আরও খবর