আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মধ্যরাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী ও সরকারি  ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ-ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপে অন্তত ৫১ জন আহত অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ববির একটি বাসে ভাঙচুর করেছে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এরপর ববি শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজ এলাকায় গিয়ে কলেজের তিনটি বাস ভাঙচুর করে।

মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয়ে রাত আড়াইটায়ও হামলা এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিলো।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

ওসি বলেন, সোমবার রাতে বিএম কলেজ সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাফিকে মারধর করে ববি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বটতলা এলাকায় অবস্থানকালে দুইজন ববি শিক্ষার্থীকে মারধর করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। আহত দুই ববি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছি। দুই ববি শিক্ষার্থীর মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দুই সহপাঠীকে মারধর করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তিনটি বাসে চড়ে ববি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে নগরীর বটতলা এলাকার দিকে রওনা দেন। একটি বাস বটতলা এলাকায় পৌঁছানোর পথে শিক্ষার্থী বোঝাই বাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় ২৫ জন ববি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইটি বাস আসার পথে অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে আরও শিক্ষার্থী আহত হয়।

এদিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের সমন্বয়ককে মারধর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের উপর হামলা চালিয়ে  বিএম কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত করা হয়েছে। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তিনটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণবিরোধী বিল পেশ, দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে নারীদের ওপর অত্যাচার, অশালীন আচরণ ও ধর্ষণের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিল এনেছে মমতার সরকার। যার নাম দেওয়া হয়েছে, অপরাজিতা, নারী ও শিশু সুরক্ষা বিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) শাসক এবং বিরোধী দুই এর তরফে সম্মতি জানিয়ে বিল আনা হয়েছে।

এবার এই বিল যাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিয়ে সই করলে, তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি যদি বিলে সবুজ সংকেত দেয় তবেই সেই বিল আগামীতে আইনে পরিণত হবে। এটি একটি দীর্ঘ পদ্ধতি।

প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার যদি মৃত্যু হয়, নির্যাতিতা কোমা বা চিরকালের মতো শারীরিক-মানসিক অথর্ব হয়ে যায়, তাহলে দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় যে বা যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনা যদি গুরুতর হয় তাহলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং জরিমানা।

দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই বিলে। পুলিশের কাছে এফআইআর হওয়ার পর যত দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। 

জেলাস্তরে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন। এর নাম হবে অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স। যার নেতৃত্বে থাকবেন ডেপুটি পুলিশ সুপার। অপরাধের তদন্তে এই টাস্ক ফোর্সই দায়িত্বশীল থাকবে। 

স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ছাড়াও ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত ও তদন্ত দল গঠন করা হবে। রাজ্য সরকার প্রস্তাব রেখেছে, ৫২টি বিশেষ আদালত গঠনের।

অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনায়ও আমৃত্যু যাবজ্জীবন, ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে, প্রথম বলার অনুমতি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দু বক্তব্য, ভারতীয় আইনে ধর্ষণ ও শ্লীলতার ঘটনায় যথেষ্ট কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজাও রয়েছে। সেই আইনানুযায়ী, ২০১১ সালে ঘটে যাওয়া দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসি হয়েছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিল বিধানসভায় আনার চেষ্টা করছে তা স্রেফ আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা। তার বেশি কিছু নয়। 

জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এখন এই বিল রাজ্যপালের কাছে যাবে। উনি তাড়াতাড়ি সই করে দিলেই বিল কার্যকর হবে। রাজ্যপালের সইয়ের পর বিল কার্যকর না হলে দায়িত্ব আমাদের। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলেই তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে যাবে। তিনি সই করলেই এটা আইন হিসেবে কার্যকর করা হবে। তার দায়িত্ব আমাদের।

অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা। উনি দেশের নারীদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

মমতার অভিযোগ, এই ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতি হচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। মনে রাখবেন, বাংলাকে বদনাম করলে আপনার গায়েও তা লাগবে। আমার গায়েও লাগবে। আমাকে এবং বাংলাকে নিয়ে সবসময় কুৎসা চলছে। আমরা যদি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে বলি তাহলে কী করবেন?

গতকালই দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা. সন্দীপ ঘোষ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই। কিন্তু এখনও নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় একজন বাদে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে মঙ্গলবার দিনভর অন্দোলন চলছে চিকিৎসক থেকে নাগরিক সমাজের।


আরও খবর



এটিএমে টাকা নেই, কোথাও বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহক

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা নেই। এছাড়া অনেক ব্যাংকের এটিএম বুথ বন্ধ পাওয়া যায়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকেরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনও বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ব্যাংকের বুথেই টাকা নেই।

শনিবার (১০ আগস্ট) কয়েকটি ব্যাংকের বুথ ঘুরে জানা যায়, কোনো ব্যাংকের এটিএমেই টাকা নেই।

হাতিরপুলের ডাচবাংলা এটিএম বুথে টাকা তুলতে এসেছিলেন মিন্টু ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন বুথে ঘুরেও টাকা তুলতে পারিনি। হাতে টাকা না থাকায় বাজারও করতে পারছি না। এ অবস্থায় কী যে করবো বুঝতে পারছি না!

এলিফ্যান্ট রোডের সিটিব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড জানালেন, বুথে টাকাও নেই আবার ইন্টারনেট কানেকশনও নেই।

এদিকে, অনেক ব্যাংকের এটিএম বুথের সাঁটার নামানো দেখা যায়। ফলে অনেকেই এক বুথ থেকে আরেক বুথে টাকা তুলতে ছুটে বেড়াচ্ছেন কিন্তু টাকা তুলতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: এটিএম বুথ

আরও খবর
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীতে বন্যায় কৃষিতেই ক্ষতি ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফেনীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতে মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে হলুদ, আদা, আউশ, আমন ও শরৎকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ৩০ হাজার ৩৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মোট ফসলি জমির ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তারমধ্যে ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ২৬ হাজার হেক্টর আমন, ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর আউশ, আবাদকৃত ৫২৫ হেক্টর শরৎকালীন সবজির পুরো অংশ, ৬৯ হেক্টর ফলবাগান, ৭ হেক্টর আদা, ১৬ হেক্টর হলুদ এবং ১৬ হেক্টর আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরশুরামের কাউতলি গ্রামের কৃষক আলী আহম্মদ বলেন, বছরের প্রথম দফায় বন্যায় আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর আবার বীজ বপন করে আমন আবাদের কিছুদিন পর বন্যার পানিতে সব ভেসে যায়। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যায় সবগুলো ফসলি জমি এখন বালুর স্তূপ হয়ে আছে। কোনোভাবে আবাদ করে খাবো এমন পরিস্থিতি আর নেই।

সাইদুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক বলেন, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছি আমরা। জমির ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ঘরে থাকা ধান-চালও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে আবাদ করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। 

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন, বন্যায় কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জেলা কার্যালয়ও বুক পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তারপরেও আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং তাদের নানা পরামর্শের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের আমনের চারা দেওয়ার ব্যাপারে দাপ্তরিকভাবে আলোচনা উঠে এসেছে। এছাড়া এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আগাম জাতের কিছু ফসল আবাদের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের বন্যায় ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় আউশ আবাদ, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আমন বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন মরিচের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তিন উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমি। তখন কৃষিতে সবমিলিয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এতে ১ হাজার ৭১৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এইচএসসির বাকি পরীক্ষা বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলমান এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাসের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি মন্ত্রণালয়।

এদিন পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। পুনরায় পরীক্ষা শুরুর তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পেছাবে।

তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাসের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে, পরীক্ষা বাতিলের এক দফা দাবিতে বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা আমাদের দাবি একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই, দাবি মোদের একটাই-পরীক্ষা বাতিল চাই, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম, পরীক্ষা না বিকল্প, বিকল্প-বিকল্প, যুক্তি দিয়ে আন্দোলন-বন্ধ করা যাবে না, চলছে লড়াই-চলবে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সকাল থেকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হন পরীক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।

পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সচিবরা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার অধীনে থাকা ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বৈঠকে একটি কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুত হতে পারে।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।


আরও খবর