আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মে মাসে নির্যাতনের শিকার ৩১০ নারী ও কন্যাশিশু: মহিলা পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের মে মাসে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩০১ জন নারী ও কন্যাশিশু। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯ শিশুসহ ৬৫ জন।

গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানা যায়, মে মাসে ৮ শিশুসহ ১৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয় শিশুসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১৭ কন্যাশিশুসহ ২৫ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১৫ কন্যাশিশুসহ ১৬ জন। দুই নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে একজন। অগ্নিদগ্ধের কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে যৌতুকের কারণে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ শিশুসহ ১৬ জন। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পাঁচজন। বিভিন্ন কারণে চার কন্যাশিশুসহ ৪৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ছাড়া একজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৯ কন্যাশিশুসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ কন্যাশিশুসহ ২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে চারজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। ১২ কন্যাশিশুসহ ১৬ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। পাঁচ কন্যাশিশুসহ সাতজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে চারজন।

পুলিশি নির্যাতনের ঘটনার শিকার হয়েছে একজন। চার কন্যাশিশুসহ ৬ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে চারটি। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে তিনটি। এ ছাড়া তিন কন্যাশিশুসহ সাতজন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সাবেক প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে দল থেকে বাদ অ্যান্তনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দল থেকে বাদ পড়েছেন উইঙ্গার অ্যান্তনি। এর আগে, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) অ্যান্তনির সাবেক প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি সংবাদ প্রকাশ করে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএল। মূলত সেখানেই সেলেসাওদের এই স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর তা আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সাও পাওলো এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৩ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। 

আরও পড়ুন>> মেসি গোল পাননি, জেতেনি ইন্টার মায়ামিও

অ্যান্তনির ভাষ্য, আমি শান্তভাবে বলতে চাই, অভিযোগগুলো মিথ্যা। প্রমাণগুলো এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং আরও কিছু প্রমাণ তৈরি করা হচ্ছে, যা দেখাবে যে আমি নির্দোষ। আমার বিশ্বাস, চলমান পুলিশি তদন্ত আমার নির্দোষ হওয়ার সত্যতাকে সামনে আনবে।এ নিয়ে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) বলছে, সোমবার যেসব অভিযোগ সামনে এসেছে, সেগুলোর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই জাতীয় দল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বলিভিয়া এবং পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আর্সেনাল স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে দলে ডাকা হয়েছে।

অ্যান্তনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাবেক বান্ধবী গ্যাব্রিয়েলা কাভালিনকে গত ১৫ জানুয়ারি ম্যানচেস্টারে এক হোটেলের রুমে নির্যাতন করেছেন অ্যান্তনি। সে সময় গ্যাব্রিয়েলাকে আঘাতও করেন সেলেসাওদের এই উইঙ্গার। যে কারণে গ্যাব্রিয়েলার মাথা কেটে যায় এবং পরে চিকিৎসাও নিতে হয়।

গ্যাব্রিয়েলা এও অভিযোগ করেছেন, তার বুকে আঘাত করেছেন অ্যান্তনি। এতে তার কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা স্তনের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তাকে আবার অস্ত্রোপচার করতে হয়। 

আরও পড়ুন>> অনলাইনে এশিয়া কাপের ম্যাচ দেখবেন যেভাবে

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে অশান্ত সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অ্যান্তনি। তবে তার দাবি, তিনি কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেননি। এরও আগে, গত জুনে এক বিবৃতিতে অ্যান্তনি দাবি করেন, সাবেক প্রেমিকা তার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতার মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।

এদিকে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের (জিএমপি) দাবি, অভিযোগগুলো বিষয়ে তারা সচেতন এবং সত্যতা উদঘাটনে তদন্ত চলমান। অন্যদিকে বিবিসির পক্ষ থেকে অ্যান্তনির ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ক্লাবটি।


আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




‘নাইট শিফট’ এর চাকরিজীবীরা যে বিপদ ডেকে আনছেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যারা শিফটভিত্তিক চাকরি করেন, তারা ঘুম ও বিপাকক্রিয়াজনিত সমস্যায় ভোগেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আর এ সমস্যা দীর্ঘায়িত হতে থাকলে ব্যক্তি বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছেন বলে সতর্ক করেছেন তারা। পালাবদলের চাকরি করে ঘুমের সমস্যায় ভুগতে ভুগতে একসময় হৃদরোগীতে পরিণত হতে হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তৌরো ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক পালাবদল করে চাকরি করা ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা করে এমন ফলই পেয়েছে। দ্য জার্নাল অব দি আমেরিকান অস্টিওপ্যাথিক অ্যাসোসিয়েশনে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

তারা জানিয়েছেন, নাইট শিফটের চাকরি একজন মানুষকে ক্রমেই হৃদরোগ, স্ট্রোকটাইপ-টু ডায়াবেটিসয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

গবেষণার প্রধান তৌরো ইউনিভার্সিটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত শামা কুলকার্নি বলেন, পালাবদলের চাকরি আর রাতের ঘুমকে ত্যাগ করে যারা কোম্পানির জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে ওঠেন, তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। 

তিনি বলেন, এসব চাকরিজীবীকে নিয়ে আমাদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের শিফট-এ কাজ করেন এমন নার্সদের ৯  শতাংশ বিপাকক্রিয়াজনিত বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হন। আর দিনের শিফটের নার্সরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় মাত্র ১.৮ শতাংশ। যেসব নার্স যত বেশি শিফটভিত্তিক কাজ করে, তার হৃদরোগে আক্রান্তের ঝুঁকির মাত্রা ততই বাড়ে।

এর ব্যাখ্যায় গবেষক শামা কুলকার্নি বলেন, রাতের শিফটে কাজ করার কারণে শরীরের স্বাভাবিক চক্রতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে সার্কাডিয়ান রিদম বলে। এই চক্রটি স্নায়ু ও হরমোনজনিত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।  ঘুম ও জেগে থাকার সময় নির্ধারিত না থাকলে চক্রটি তাল হারিয়ে ফেলে। যে কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে কর্টিসল, ঘ্রেলিনইনসুলিন বেড়ে যায়। আর কমে যায় সেরোটনিন ও অন্যান্য হরমোন। আর হরমোনের এই ভারসাম্যহীনতাই বিপাকক্রিয়াজনিত সমস্যা তৈরি করে এবং ব্যক্তিকে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

এমন সমস্যার সমাধানও দেয়া হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। যেখানে বলা হয়েছে, এমন শিফটভিত্তিক চাকরিজীবীতের উচিত প্রতিদিন একই সময়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর আর রাতে না পারলেও সময়টা সন্ধ্যা অর্থাৎ রাতের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করা। এতে সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত কম ঘটবে।

নিউজ ট্যাগ: নাইট শিফট

আরও খবর
আজকের রাশিফল: বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাউফলে দৈনিক আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে দৈনিক আজকের দর্পণ এর ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ১০ম বছরে পদর্পণ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় বাউফল প্রেসক্লাব বীর উত্তম সামসুল আলম তালুকদার মিলনায়তনে কেককাটা ও আলোচনা মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।

বাউফল প্রেসক্লাব সভাপতি মো: কামারুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন সাধারন সম্পাদক আরেফিন সহিদ, সাবেক সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ কর্মকার, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিরন, সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান প্রতিনিধি কহিনুর বেগম, দৈনিক গনদাবী প্রতিনিধি  ফারুক হোসেন, ভয়েজ অফ এশিয়া প্রতিনিধি মো: জলিলুর রহমান, দৈনিক কীর্তন খোলা প্রতিনিধি মো: মাঈনউদ্দিন জিপু, দৈনিক জনতার প্রতিনিধি মো: জহিরুল হক ভুইয়া, মানবকন্ঠ প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম,সময়ের আলো প্রতিনিধি পিয়াল হাসান, দৈনিক দখিনের খবর প্রতিনিধি মো: তৌহিদ হোসেন উজ্জল, আজকের দর্পণের বাউফল প্রতিনিধি দূর্জয় দাস, আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বাউফল কর্মরত সংবাদকর্মী অংশগ্রহন করেন।

 

দূর্জয় দাস

বাউফল প্রতিনিধি


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বর্ণিল আয়োজনে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আজকের দর্পণের ১০তম বর্ষে পদার্পণ উদযাপিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ছিল আজকের দর্পণের ৯ম জন্মদিন। এদিন রাজধানীর তোপখানা রোড় আজকের দর্পণের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

এ দিন দুপুর ১২টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আজকের দর্পণের জন্মদিন উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা।

কেক কাটেন আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পাদ মন্ত্রী শ রেজাউল করিম এমপি, মন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্মসচিব) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো, ইফতেখার হোসেন, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. জুয়েল আহমেদ, সাবেক ছাত্র নেতা ও দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বায়জিদ আহমেদ খান এবং আজকের দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক এস.এম. নূরে আলম সিদ্দিকী।

এ সময় উপস্থিত রাজনীতিক, সাংবাদিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আজকের দর্পণ পরিবারের সদস্যরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। আজকের দর্পণ সে দর্পণ হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার স্থির করেছে, সেক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে আজকের দর্পণ।

তিনি আরো বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকায় তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পত্রিকার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল মানুষের কাছে সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে দেশের সুশাসন, ন্যায়বিচার, ন্যায়প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের এই অগ্রযাত্রা। এই পত্রিকার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা প্রত্যেকে নিজ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবেন। তাহলে পত্রিকার মান ভালো হবে। পত্রিকা মানুষের কাছে জনপ্রিয় হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আজকের দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন।

তিনি বলেন, গত ৯ বছরে আজকের দর্পণ একই সম্পাদকীয় নীতিতে চলছে। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা ও উন্নয়নের চেতনাকে ধারণ করে আজকের দর্পণ এগিয়ে চলছে। আজকের দর্পণ সাফল্যের সঙ্গে ৯ বছর পেরিয়ে ১০ বছরে পদার্পণ করেছে। এ আনন্দঘন মুহূর্তে আজকের দর্পণের সাংবাদিকসহ সব সহকর্মীকে জানাই শুভেচ্ছা।

এছাড়া এ দিন সারা দেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।


আরও খবর
সংগ্রাম-সাফল্যের দশ বছরে আজকের দর্পণ

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




‘ইন্ডিয়া’ বাদ দিয়ে নাম কি শুধুই ভারত ?

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ ভারত, যার ইংরেজি নাম ইন্ডিয়া। দেশটির সংবিধানে ইন্ডিয়া ও ভারত দুটি নামই উল্লেখ আছে। তবে, দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ইন্ডিয়া নামটি বাদ দিতে চাওয়ার গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। দলটির নেতারা চান, শুধু ভারতই হবে দেশটির নাম। তবে, জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে দেশটির নাম শুধু ভারত হিসেবে উল্লেখ করায় বিষয়টি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। খবর দ্য ইকোনোমিকস টাইমসের।

আজ বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম টাইস নাওয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি রেজুলেশন আনতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ওই রেজুলেশনে দেশটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু ভারত করা হতে পারে।

সংবাদমাধ্যম টাইস নাও জানায়, আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশ্ব নেতাদের নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে আয়োজক দেশটির কর্মকর্তারা। ওই নিমন্ত্রণপত্রে প্রেসিডেন্ট অব ভারতের পক্ষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের নিমন্ত্রণপত্রে আগে প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া লেখা হতো।

এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রামেশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তনের খবরটি সত্যি হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের নৈশভোজে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়, যেখানে প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়ার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট অব ভারত লেখা হয়েছে। সংবিধানের এক নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী, ইন্ডিয়া, যা হলো ভারত, রাজ্যগুলোর একটি ইউনিয়ন। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা ইউনিয়ন অব স্টেটসকে অসম্মানিত করছে। 

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে এক বছরে ক্লাস্টার বোমায় হতাহত ৯১২

এদিকে, দেশটির আনুষ্ঠানিক নাম পরিবর্তনের পক্ষে সরব হচ্ছেন ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশের নাম শুধু ভারত করার পক্ষে যুক্ত তুলে ধরেন। এক্সে এক পোস্টে তিনি লেখেন, রিপাবলিক অব ভারত, আমাদের লোকেরা সাহসিকতার সঙ্গে অমৃতকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জেনে আমি খুশি ও গর্বিত।

কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী রাজীবচন্দ্র শেখর বলেন, আমাদের দেশের নাম ভারত, এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। কংগ্রেস সবকিছুতেই সমস্যা দেখে।

ভারতের প্রধান হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের প্রধান রাজীব শেখর আরও বলেন, যুগ যুগ থেকেই এই দেশের নাম ভারত। আমাদের সে দিকেই যেতে হবে। ভাষা যাই হোক না কেন, নাম একই থাকে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে কথা বলেছিলেন বিজেপির আইনপ্রণেতা নারেশ বানসাল। অধিবেশনে নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবটি তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন, ইন্ডিয়া নামটি ঔপনেবেশিক দাসত্বের প্রতীক। সংবিধান থেকে নামটি মুছে ফেলা উচিত।

রাজ্যসভায় এই আইনপ্রণেতার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ব্রিটিশরা ভারতের নাম পরিবর্তন করে ইন্ডিয়া রেখেছিল। সংবিধানের এক নম্বর আর্টিকেল অনুযায়ী, ভারতই হলো ইন্ডিয়া। শতাধিক বছর থেকে আমাদের দেশকে মানুষ ভারত নামে জানে। এটি এই দেশের প্রাচীনতম নাম, যা প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে পাওয়া যায়। ইন্ডিয়া নামটি দিয়েছিল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশরা। এটি দাসত্বের একটি উদাহরণ। সংবিধান থেকে ইন্ডিয়া নামটি মুছে ফেলা উচিত।

সম্প্রতি ভারতের বিরোধী দলগুলোর নতুন জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) আত্মপ্রকাশ করেছে। নতুন বিরোধী জোটকে দুর্বল করতে ক্ষমতাসীনরা তড়িঘড়ি করে এ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন>> ইইউভুক্ত দেশে ৬ মাসে আশ্রয় চেয়েছেন ২১ হাজার বাংলাদেশি

বিজেপি সরকারের দেশের নাম পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রস্তাবনার বিরোধিতা করছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরিবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যদি ইন্ডিয়া জোট নিজেদের নাম পরিবর্তন করে, তাহলে কি বিজেপি ভারতের নাম আবারও পরিবর্তন করবে? কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জোটের কারণে কি দেশের নাম পরিবর্তন হবে? এটি ১৪০ কোটি মানুষের দেশ, কোনো রাজনৈতিক দলের না। বিজেপির ভয় ইন্ডিয়া জোট নামের কারণে তাদের কিছু ভোট কমে যাবে।


আরও খবর