আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মেঘনার চরে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ দুর্ধর্ষ ২ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | পত্রিকায় প্রকাশিত
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলার মেঘনা নদীর বঙ্গের চরে দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার বাহাদুর এবং তার সহযোগী ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বেশকিছুদিন ধরে ভোলা জেলার সদর থানাধীন বঙ্গের চরে একটি সক্রিয় ডাকাত দল বিভিন্ন জেলেদের জিম্মি করে তাদের ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বলে কোস্ট গার্ড অবগত হয়। ভুক্তভোগী জেলেরা কোস্ট গার্ডের নিকট সাহায্য চাইলে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীনও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল ৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন মেঘনা নদীর বঙ্গের চর এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে সক্রিয় ডাকাত দল বাহাদুর বাহিনীর আস্তানায় ঘণ্টাব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে বাহিনীর প্রধান আলী আজগর ওরুফে বাহাদুর (৪২) এবং তার সহযোগী ইকবাল হোসনকে (২৬) আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫ রাউন্ড গুলি, ছুরি-চাপাতিসহ ২০টি বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র এবং নগদ টাকা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।

কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা সুজন জানান, আটককৃত ডাকাত এবং জব্দকৃত দেশীয় অস্ত্রসহ সকল আলামত ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



কাপড়ের কনটেইনারে এলো মদ, খোঁজ রাখেনি কাস্টমস

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করা হয়েছে কনটেইনারভর্তি মদের চালান। মদভর্তি কনটেইনারটি ৯ মাসের বেশি সময় বন্দর অভ্যন্তরে পড়েছিল। চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এট্রিও সাবমিট করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের ফেব্রিক্স ঘোষণায় মদের এ চালান আমদানির মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে জানায় কাস্টমস।

অভিযোগ উঠেছে, ৯ মাস ধরে বন্দরের অভ্যন্তরে মদভর্তি কনটেইনার পড়ে থাকলেও দীর্ঘ সময়েও কেন কাস্টমস বিষয়টি শনাক্ত করতে পারেনি। কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত চার মাস আগেই চালানটির শুল্কায়ন হয়েছে। একই সঙ্গে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমেও ফেব্রিক্স ঘোষিত চালানটি খালাস দেখানো হয়েছে। কাস্টমসের ভাষায় এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকেও চালানটি এক্সিট দেখানো হয়েছে। তবে বন্দর থেকে বের না হওয়ায় বন্দরের সিটিএমএস (কনটেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) থেকে কনটেইনারটির অবস্থান শনাক্ত হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফাইজুর রহমান বলেন, পুরো মদের চালানটি আমদানি থেকে শুল্কায়ন পর্যন্ত একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে। আমাদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তারা বন্দর থেকে চালানটি খালাস নিতে পারেনি।

কাস্টমস কমিশনারের দাবি, চালানটি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে কাস্টমসের এক কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয়েছিল। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে শুল্কায়ন করা হলেও চালানটির অ্যাসেসমেন্ট ফি ও ভ্যাট হিসেবে সরকারি পাওনা কাস্টমসের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়েছে।

তবে ৯ মাস আগে চালানটি বন্দরে আসা এবং চার মাস আগে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলেও চালানটি চিহ্নিত ও আটকাতে এত সময় কেন লাগলো জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। চালানটি আমদানিতে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের সবাইকে আমরা জনসম্মুখে হাজির করবো।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আটক মদের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর। গার্মেন্টস ফেব্রিক্স হিসেবে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেডের নামে চালানটি আমদানি করা হয়। আমদানিকারকের পক্ষে চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর গোলবাগ এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।

২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ওই সিঅ্যান্ডএফের নামেই চালানটি ফেব্রিক্স ঘোষণা দিয়ে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। যাবতীয় শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে গত মে মাসের মাঝামাঝি চালানটি কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে খালাস দেখানো হয়।

এদিকে দীর্ঘ ৯ মাসেরও বেশি সময় পরে মদের চালানটি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে ফেব্রিক্স ঘোষণায় শুল্কায়ন হওয়া কনটেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করে। এরপর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে এআইআর টিম। বৃহস্পতিবার সকালে কায়িক পরীক্ষা শেষে ২০ ফুটের কনটেইনারটিতে ১ হাজার ১১৪ কার্টনে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হয়। এতে ১১ ব্রান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ পাওয়া যায়।

মদের চালান আটকের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার একেএম খাইরুল বাশার বলেন, গার্মেন্টস ফেব্রিক্সের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নারায়গঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড চালানটি আমদানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদের চালানটি আটক করা হয়। পরে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে এতে ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে।

কাস্টমস জানায়, চালানটির রপ্তানিকারক দেশ, ওয়েবসাইট, পণ্য তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার মদের চালান আমদানির বিষয়ে ধারণা করে এআইআর টিম। আটক মদের চালানটিতে জ্যাক ডেনিয়েলস, টিচার্স, স্মিরনফ, ব্যালেন্টাইনস, পাসপোর্ট স্কচ, সিভাস রিগাল, ফোর্ট স্ট্রিট, হান্ড্রেড পিপার্স, রেপেডস, অ্যাবসিলুউট ভদকা এবং ব্ল্যাক লেবেল ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়।

সূত্র জানায়, আটক মদের চালানের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এর বিপরীতে সরকারি প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় ওই ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়। চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সময় উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মুহাম্মদ মাহফুজ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত নন বলে জানান।

মূলত বন্দর কর্তৃপক্ষের সতর্কতার কারণে মদের চালানটি বের করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলেও আটক হওয়ার আগে চালানটি বন্দর থেকে ছাড়ানোর জন্য কেউ আসেনি। কাস্টমসের শুল্ককর পরিশোধের পরে বন্দরের কয়েকটি চার্জ ও ফি রয়েছে। এগুলো পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ওই চালানটির ক্ষেত্রে তাও পরিশোধ করা হয়নি।


আরও খবর



সব সরকারি চাকরিজীবীর সম্পদের হিসাব নেবে সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্পদের হিসাব দিতে হবে সব সরকারি চাকরিজীবীকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হতে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। এখন কী পদ্ধতিতে কিভাবে জমা দেবে সে বিষয়ে আমরা ফরম্যাট রেডি করে দেবো।

পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা। তবে চাকরির সেই আচরণবিধি আদতে মানছেন না তেমন কেউ। সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি চাকরিজীবীর তেমন হেলদোল নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে নেই গরজ। দুপক্ষের অনীহায় হিসাব দেওয়ার বিষয়টি অনেকটাই কাগুজে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি তাদের অধীন কর্মকর্তাদের দায়সারা হিসাব নেয় বটে, কিন্তু সেগুলো খতিয়ে দেখা হয় না। কারও অস্বাভাবিক সম্পদ বেড়ে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হলো।

সদ্য সাবেক সরকারের মন্ত্রী এমপি, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও এনবিআর থেকে বদলি হওয়া কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাবের বিষয়টি ফের সামনে এসেছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে দুর্নীতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। বার্লিনভিত্তিক এ সংস্থাটি গত বছর দুর্নীতির যে ধারণা সূচক প্রকাশ করে, সেখানে আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ নিচে নামে বাংলাদেশ। সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন দশম।

জানা গেছে, পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ১৯৭৯ সালে চালু হয়। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। তবে চার দশকের বেশি সময় ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। অতীতে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের অধীন কর্মচারীর কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়েও তেমন সাড়া পায়নি।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, নিয়ম অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর পর ডিসেম্বরে সরকারি কর্মচারী তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেবেন। আগে তা প্রতিবছর দেওয়ার নিয়ম ছিল। এখন পাঁচ বছরেও অনেকে তা দিতে চান না। তিনি বলেন, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন গড়ে তোলার স্বার্থে এ আচরণবিধি কঠোর ও কঠিনভাবে সরকারের প্রয়োগ করা উচিত। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী অন্য মন্ত্রণালয় নিশ্চুপ থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেহেতু আচরণবিধি জারি করেছে, তাই তাদের মুখ্য ভূমিকা নেওয়া উচিত। ফিরোজ মিয়া বলেন, আচরণবিধি না মানলে তা অসদাচরণ। তাই সম্পদের হিসাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা উচিত। এতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ভীত হবেন এবং দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

আচরণ বিধিমালা অনুসারে, নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার কথা। সরকারি চাকরিতে ক্যাডার রয়েছে ২৬টি। এসব ক্যাডার কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন। সম্পদের হিসাবও নিজ নিজ মন্ত্রণালয়েই দেওয়ার কথা। ক্যাডার কর্মকর্তার বাইরেও সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিপুলসংখ্যক নন-ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীর ওপর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো চাপই নেই। ফলে এ সম্পদের প্রশ্নে স্রোতে গা ভাসিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সম্পদের হিসাব জমা দিতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হলে সে সময় সব কর্মচারী তা দিয়েছিলেন। নানা দিকে আলোচনা উঠলে ২০১৫ সালে আরেক দফা সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দিতে সরকার থেকে বলা হয়। তখন গুটিকয়েক মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ন্ত্রিত কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিতে পারলেও বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে সরকারি চিকিৎসকদের সম্পদের হিসাব চাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তখন বেশ বিপাকে পড়ে। চিকিৎসকের মধ্য থেকে এর জোরালো প্রতিবাদও ওঠে।

জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীকে আচরণবিধি মানাতে না পেরে গত বছরের শেষের দিকে এ নিয়ম বদলে ফেলার উদ্যোগ নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা (ধারা-১২ ও ১৩) সংশোধনের বিষয়টি সমালোচনার মুখে পড়লে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়।

একইভাবে মন্ত্রী-এমপির সম্পদ বিবরণী জনসমক্ষে প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা দীর্ঘদিন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে প্রার্থী হিসেবে অনেকে যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনে জমা দেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে তা প্রকাশ করা হয় বটে। তবে সেখানে সম্পদের যে বিবরণ থাকে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে।

সরকারি কর্মচারী আইন (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ১২ ও ১৩ অনুসারে সরকারি কর্মচারীর স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রি ও সম্পদ বিবরণী জমার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাটসহ যে কোনো সম্পদ কিনতে বা বিক্রি করতেও সরকারের অনুমতি নিতে হয় তাদের। সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে টাকার উৎস সম্পর্কেও জানাতে হয়। আবার সম্পদ বিক্রি করা হলে দাম জানাতে হয়। কারণ, কমবেশি দামে সম্পদ বেচাকেনা হলো কিনা, তা যাচাই করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, একশ্রেণির সরকারি কর্মচারী তাদের আয়কর রিটার্ন বা এনবিআরে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে প্রকৃত সম্পদ দেখান না; বেনামে সম্পদ লুকিয়ে রাখেন। প্রতিটি আয়কর রিটার্ন ফরমের সঙ্গে আইটি ১০বি নামে একটি আলাদা ফরম থাকে। ওই ফরমেই সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হয়। সম্পদ বিবরণী জমার তিনটি শর্ত আছে। সে অনুযায়ী সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা পার হলে, গাড়ির মালিক হলে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় জমি-বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট থাকলে সম্পদ বিবরণী জমা বাধ্যতামূলক।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিতে ঢোকার সময় নবীন কর্মকর্তারা শুরুতেই তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দেন। প্রতি পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাবও তারা দেন। তবে অন্য ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়গুলো এ নিয়ে উদাসীন থাকায় তাদের কর্মকর্তারা সম্পদের হিসাব দেন না।

একাধিক সাবেক সচিব বলেন, আগে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া ছাড়াও নিজ নিজ দপ্তরে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিয়েছিল। সরকারের এবারের লক্ষ্য, তাদের নিজ নিজ দপ্তরে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া। যেসব সরকারি কর্মচারী আয়কর বিবরণী জমা দেবেন, তাদের নিজ নিজ দপ্তরে তথা সরকারের কাছে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া কতটা যৌক্তিক হবে, তা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। তারা জানান, সম্পদের হিসাব দাখিলের নিয়ম শিথিল করে আচরণ বিধিমালায় সংশোধনী আনা অযৌক্তিক। আয়কর অফিসে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া এবং সরকারি কর্মচারীর নিজ দপ্তরে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমার উদ্দেশ্য এক নয়। আয়কর অফিসের লক্ষ্য কর আদায় করা। দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা কোনো সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব না চাইলে আয়কর অফিসের রিটার্নদাতার সম্পদের উত্থানের বিষয়ে তেমন উদ্বেগ থাকে না।

এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর আয়কর রিটার্ন খতিয়ে দেখার মতো সক্ষমতা সরকারের কোথায়? তাই নিজ কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার দায় কোনোভাবেই এড়ানো যায় না। তিনি বলেন, কেউ বিবেকহীন হলে আসলে কোনো বিধিবিধান দিয়ে তাকে আটকানো যায় না। সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য সরকারি চাকুরের মধ্যে তদারকি ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার মতো কোনো বিধান না থাকলে সরকারি কর্মচারীর মধ্যে নির্ভয়ে দুর্নীতি ও এর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুযোগ বাড়বে। একই সঙ্গে প্রাপ্য সেবা পেতে সরকারি দপ্তরে জনগণের ভোগান্তি এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনও বাড়বে বহু গুণ। সর্বোপরি সুশাসিত সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিতের স্বপ্ন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।


আরও খবর



এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। যা এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওয়া টাকা। এবার ৩ মাস ২৮ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৯টি দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ। তিনি বলেন, টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।

এর আগে ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। যা পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ টাকা।

টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার ২৫৭ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৪০ জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১২ জন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অংশ নিয়েছেন।

মসজিদ কমিটি জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল করিম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল ৮টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে ২৮টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য। সারা দিনে এগুলো গণনা করে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। 

মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের প্রতি সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অন্যরকম আবেগ রয়েছে। এই এলাকার মানুষেরা চান এখানে একটা দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স হোক। ভবিষ্যতে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হবে।


আরও খবর



বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পরিচয় নিশ্চিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এক এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এরপর হারিছ চৌধুরী কোথায়, এ নিয়ে চলতে থাকে নানা আলোচনা।

বছর দুয়েক আগে গণমাধ্যমে খবর আসে, হারিছ চৌধুরী দেশেই আছেন। তবে রয়েছেন আত্মগোপনে। কিছুদিন পর গণমাধ্যমে আরেকটি খবর আসে, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন হারিছ চৌধুরী। তিনি পান্থপথের এক বাসায় নাম পাল্টিয়ে মাহমুদুল হাসান নামে বসবাস করতেন। সাভারের একটি মাদরাসার কবরস্থানে মাহমুদুল হাসান নামেই দাফন করা হয় তাকে।

বাবার মৃত্যুর ধোঁয়াশা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম। সব শুনে পরিচয় নিশ্চিতে মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সামিরার দাবি, বাবার মৃত্যুর পরও জীবিত দেখাতে উঠে-পড়ে লাগে একটি মহল। এসব কারণে সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় তার পরিবারকে। আইনজীবী বলছেন, হারিছ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সে কারণে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে দাফন করা উচিৎ।


আরও খবর



কৃষ্ণপদ রায়সহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। কৃষ্ণপদ রায়কে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ অধিদপ্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ অবিদুল মোমেন স্বাক্ষরিত পৃথক তিন প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়কে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো। পৃথক প্রজ্ঞাপনে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম একইভাবে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিন পুলিশ কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

২১ আগস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন এবং সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সদ্য সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।


আরও খবর