আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মেক্সিকোতে বন্দুক হামলায় মেয়রসহ নিহত ১৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেক্সিকোর একটি শহরের সিটি হলে হামলা চালিয়ে শহরের মেয়রসহ ১০ জনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। নিহত ওই মেয়র দক্ষিণ-পশ্চিম মেক্সিকোর সান মিগুয়েল টোটোলাপান শহরের জনপ্রতিনিধি। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

পুলিশ বলছে, বন্দুকধারীরা স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২টার দিকে সান মিগুয়েল টোটোলাপান শহরের সিটি হলে হামলা চালায়। এরপরই সেখানে ওই মেয়র ছাড়াও আরও ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে তারা। অনলাইনে পোস্ট করা বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্দুকধারীদের হামলার কারণে ভবনটি বুলেটের ছিদ্রে পরিপূর্ণ। নিহত ওই মেয়রের নাম কনরাডো মেন্ডোজা আলমেদা। বুধবারের এই ঘটনার পর তার দল পিআরডি কনরাডোর এই কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে এবং বিচার দাবি করেছে। এছাড়া হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে লস টেকুইলেরোস নামক একটি অপরাধী গোষ্ঠীকে।

বিবিসি বলছে, বন্দুকধারীদের হাতে নিহতের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা এবং কাউন্সিল কর্মীরাও রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পর মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত মরদেহের গ্রাফিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বুধবার নিহত মেয়র মেন্ডোজা আলমেদার বাবা হুয়ান মেন্ডোজা অ্যাকোস্টাও ছিলেন সাবেক মেয়র এবং সিটি হলে হামলার আগে তাকেও তার বাড়িতে হত্যা করে বন্দুকধারীরা।

হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্টে পরিবর্তিত তথ্য উঠে আসছে এবং কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করেনি। হামলার পর মেক্সিকোর জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বন্দুকধারীদের খুঁজে বের করতে ওই এলাকায় সেনা ইউনিট মোতায়েন করছে। সান মিগুয়েল টোটোলাপান শহরটি গুয়েরেরো প্রদেশে অবস্থিত এবং প্রাদেশিক গভর্নর ইভলিন সালগাদো পিনেদা বুধবারের হামলায় প্রাণহানির জন্য তিনি গভীরভাবে অনুতপ্ত বলে টুইট করেছেন।

বিবিসি বলছে, হামলার কিছুক্ষণ আগে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস টেকুইলেরোসের কথিত সদস্যরা এই অঞ্চলে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটি ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গুয়েরেরোকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে।

নিউজ ট্যাগ: মেক্সিকো

আরও খবর



কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর ঘিরে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার যুদ্ধ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করছেন যাত্রীরা। গত ২৫ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই আজ কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

তবে প্রতিবছর ঈদ যাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এ বছর যাত্রীদের সেরকম অভিযোগ নেই। নির্ধারিত নিয়মে পেয়েছেন টিকিট আবার নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেনও। দুই একটি ট্রেন কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও সেটাও মানিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরে দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট স্কান করে যাত্রা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসছে সব ট্রেন। সবমিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় এখনো ট্রেন নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আব্দুল আউয়াল বলেন, ট্রেনের টিকিট আমার ছেলে অনলাইনে কেটে দিয়েছে। লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঈদে বাড়ি যাচ্ছি ঝামেলা ছাড়াই। ট্রেন ৫-১০ মিনিট লেট করে ছাড়লেও এটা বিষয় না। বাসেও এমন ১০ মিনিট লেট হয়। সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।

সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এছাড়া সকাল ১০টায় ছেড়ে যাবে জামালপুর এক্সপ্রেস, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে একতা এক্সপ্রেস, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস।

জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। কোনো ট্রেন আজ দেরিতেও ছাড়েনি। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত অবস্থা খুবই ভালো। আশা করছি যাত্রীরা এবারের ঈদ যাত্রা উপভোগ করবেন।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় তিন কোটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ। ফলে যানবাহনের চাপ দিগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫ গাড়ি চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা।

এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও বেশি গাড়ি পারাপার হয়েছে। আজকেও প্রচুর গাড়ি পার হচ্ছে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা, নিহত ১৯

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।

ইসরায়েল এর আগেও গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভূখণ্ডটির মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার নাগরিক যখন আল-কুয়েত গোলচত্বরের কাছে আটা ও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন সেখানে হামলা চালিয়ে ১৯ জন হত্যা এবং আরও ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে আহত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ট্যাংকগুলো মেশিনগান দিয়ে অভুক্ত লোকদের দিকে গুলি চালায় যারা আটা এবং সাহায্যের ব্যাগগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেটিও আবার এমন একটি জায়গায় যা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে পারত না

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারী গুলি চালানো হয়েছে এবং আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার কারণে অনেককে বাইরে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাহায্যপ্রার্থী জনতার ওপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি সাহায্য নিতে আসা এসব মানুষের ওপর গুলি চালানোর খবর ভুল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) একটি ত্রাণবাহী গাড়িবহরের কাছে থাকা বহু সংখ্যক গাজাবাসীকে আক্রমণ করেছে বলে যেসব প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তা ভুল।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্ধারণ করা হয়েছে, কনভয়ের বিরুদ্ধে কোনও বিমান হামলা চালানো হয়নি এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে তেমন ঘটনাও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর