আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেসির জোড়া গোলে স্বস্তির জয় পেল আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শুরুর একাদশ নিয়ে পরীক্ষা চালালেন লিওনেল স্ক্যালোনি, থাকলেন না লিওনেল মেসিও। আর্জেন্টিনাও তাই ছন্দ হারালো কিছুটা।

প্রথমার্ধে হুলিয়ান আলভারেজের গোল ছাড়া ঘটল না কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দ্বিতীয়ার্ধে ডি পল-মেসিদের ফেরানো হলো, খেলায় ফিরলো ছন্দ। আরও একবার জাদুকরি গোল এলো মেসির পা থেকে। দুই মিনিটের ব্যবধানে তিনি করলেন জোড়া গোল।

বুধবার ভোরে রেড বুল অ্যারেনায় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জ্যামাইকাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে হুলিয়ান আলভারেজের গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন মেসি। এ নিয়ে টানা ৩৫ ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল স্ক্যালোনি শিষ্যরা।

ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেতে অবশ্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়নি আর্জেন্টিনার। ১৩তম মিনিটে গোল করে তাদের এগিয়ে দেন আলভারেজ। তাতে অবদান আছে লাউতারো মার্টিনেজের। 

এই স্ট্রাইকারকে মার্ক করা ফুটবলারকে কাটিয়ে তিনি কাটব্যাক করেন আলভারেজের উদ্দেশ্যে। পেনাল্টি বক্সে ফাঁকায় থাকা ম্যানচেস্টার সিটি তারকা সেটি আর মিস করেননি। এর পাঁচ মিনিট পর আলভারেজ বল দিয়েছিলেন লো সেলসোকে। সময় পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। 

প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। বল পজিশন ধরে রাখা নির্ভর ফুটবল এদিনও খেলেছে তারা। তবে খাবি খেতে হয়েছে জ্যামাইকার প্রেসিংয়ের কাছে। 

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন স্ক্যালোনি। ৫৬ মিনিটে মার্টিনেজকে তুলে নামানো হয় লিওনেল মেসিকে। এরপরই যেন ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে আর্জেন্টিনার খেলা। আসল জাদুর দেখা মেলে ৮৬তম মিনিটে এসে। 

র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা জ্যামাইকার বিপক্ষে এক গোলের জয় নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও অস্বস্তির হতো আর্জেন্টিনার জন্য। সেটি হতে দেননি মেসি। একদম হুট করেই গোলটি করে বসেন তিনি। বক্সের বাইরে বল পেয়ে কিছুটা সময় নেন, কয়েকবার বল স্পর্শের পর বাইরে থেকেই নেন শট। গোলও হয় অবলীলায়। 

দুই মিনিট পরই ব্যবধানে আরও বাড়ান মেসি। বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তার নিচু শট ফাঁকা জায়গা দিয়ে জালে জড়ায়। এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯০তম গোল পূর্ণ হলো মেসির। তাতে স্বস্তির জয় পেল আলবিসেলেস্তেরাও।


আরও খবর



পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ ৪টি পা উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড চরলাঠিমারা এলাকা থেকে হরিণের পা ও মাংস উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তখন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এসময় ৪টি হরিণের পা সহ ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরে হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি কোস্টগার্ড।


আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা শুক্রবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কতৃপক্ষ।

শুক্রবার (১০ মে)  সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু অংশগ্রহণ করবে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২১ হাজার আসনের বিপরীতে তিন ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৬টি। সে হিসেবে আসনপ্রতি লড়ছেন ১৫ জন।

এবার ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সি ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর আগে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান শাখার ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি এবং মানবিক শাখার বি ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি আবেদন পড়ে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়।

গত ২৭ এপ্রিল ইউনিট (বিজ্ঞান) এবং ৩ মে বি ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত হলেও বাকি দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক যেন না আসে। কারণ এ গরমে অভিভাবকদেরই কষ্ট করতে হবে বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বসার ব্যবস্থার পাশাপাশি সুপেয় পানিসহ জরুরি বিভিন্ন সেবার ব্যবস্থা করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি পোষ্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেবাশীষ মন্ডল আশিষ নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে দেবাশীষ মন্ডল দৈনিক কালাবেলা পত্রিকার নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেবাশীষকে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে দেবাশীষকে স্বরূপকাঠি পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার দেবাশীষ শনিবার তার (দেবাশীষ মন্ডল-দৈনিক কালবেলা) নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি দিয়ে একটি স্টাটাস পোষ্ট দেয়। মুহুর্তের মধ্যে ওই পোস্টের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় ব্যপক নিন্দা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এলাকার আলেম সমাজ ওই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জাতীয় ইমাম সমিতি নেছারাবাদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ফাউন্ডেশন নেছারাবাদ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গকরে ফেসবুকে এমন কটুক্তি ও উসকানি মূলক স্টাটাসের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আইনের মাধ্যমে দোষীর শাস্তি দাবী করছি।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার দেবাশীষকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।


আরও খবর



সীমান্তে আবারও বিএসএফের গুলি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা। প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এতে আমজেদ আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান। এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ট্রিগার হ্যাপি’ নামে এক প্রতিবেদনে সীমান্তে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষার প্রয়োজনে প্রথমে সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হবে। যদি এতে হামলাকারী নিবৃত না হয় এবং জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে গুলি ছোড়া যাবে, তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই হাঁটুর নিচের অংশে। কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কাই যেন নেই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ফেলানী হত্যার দৃশ্যই কি মনে করিয়ে দেয় না, বিএসএফ গুলি ছোড়ে স্রেফ হত্যার উদ্দেশ্যেই। বিএসএফ কোনো ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেনি যে, হতাহতের শিকার মানুষগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার একশ্রেণির মানুষ কৃষি ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এই হত্যার শিকার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান কর্মের সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ বিএসএফের। কিন্তু দুই দেশের আইন অনুযায়ী, কেউ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে, কাঁটাতার কাটলে বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে ওই দেশের আইনানুযায়ী বিচার করতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোড়া বা নির্যাতন করা যাবে না।


আরও খবর



জেরুজালেমে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে তুরস্কের নাগরিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলিদের দখলকৃত জেরুজালেমে একজনের ছুরিকাঘাতে দেশটির এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশটির ওল্ড সিটিতে হয় এ ঘটনা। হামলাকারী ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক বলে জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। খবর রয়টার্সের।

বিবৃতিতে বলা হয়, জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছিলেন বর্ডার পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এ সময়, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে দুর্বৃত্ত।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত আরেক কর্মকর্তা গুলি চালায় হামলাকারীকে লক্ষ্য করে। মৃত্যু হয় ৩৪ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিকের।

ফিলিস্তিনিদের পবিত্র ভূমি হিসেবে বিবেচিত জেরুজালেমে মাঝে মাঝেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ফিলিস্তিনিদের। হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে। এর পর ইসরাইল গাজায় সংঘাত শুরু করে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর