কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে এটি ছিল আর্জেন্টিনার তৃতীয় প্রীতি ম্যাচ। আগের দুই প্রতিপক্ষ পানামা এবং কিরাসাও
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ছিল লড়াইয়ের সম্ভাবনা।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে আসা কষ্টার্জিত সেই জয়ের স্মৃতি তো আছেই।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
তাও লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দ্রুততম গোলে।
এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে কিছুটা লড়াই
করে অস্ট্রেলিয়া। তবে বিরতির পর আর পারলো না। উল্টো আরেকটা গোল হজম করতে হল তাদের।
চীনের বেইজিং ওয়ারকার্স স্পোর্টস কমপ্লেক্সে
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে
দলকে মেসি এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলটি করেন হেরমান পেসেলা।
মাঠে নেমে এগিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয় মিনিটে লেকি স্টামবলস বক্সের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বল পেয়ে মেসিকে
খুঁজে নেন এনসো ফের্নান্দেস। বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করতে কোনোরকম ভুল করেননি সাতবারের
ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। তিন মিনিট পর মেসির সুন্দর পাস কাজে
লাগতে পারেননি মাক আলিস্তার। উড়িয়ে মারেন গোলপোস্টের ওপর দিয়ে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন না মেসি
সমতায় ফিরতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া বেশ কয়েকটি
পাল্টা-আক্রমণ চালায়। ২৮তম মিনিটে বক্স থেকে বল উড়িয়ে সতীর্থদের দিকে ক্রস দেন মিচেল
ডুকে। তবে জর্ডান বসের নেওয়া ভলি ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। যদিও হাত থেকে বল ছুটে বারে
গিয়ে আঘাত লাগে। পরবর্তীতে আবার বল হাতে নিয়ে নেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
৩৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতেন মেসি।
ডি পলের দেওয়া পাস টেনে নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
বিরতির পর খেলতে নেমে আক্রমণের ধারা অব্যাহত
রাখে আর্জেন্টিনা। ৪৯তম মিনিটে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ক্রস বাড়ান
মেসি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক।
দি মারিয়ার ফিরতি শট অবশ্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় মেসি থাকবেন কোথায়?
৫৩তম মিনিটে ডান দিক থেকে দি মারিয়ার দেওয়া
শট হেড নেন মেসি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়া গোলরক্ষক। ৬৮তম মিনিটে দ্বিতীয়
গোলের দেখা পায় আলবিসেলেস্তেরা। মেসির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ক্রস বাড়ান দে
পল। দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন পেসেলা।
৭১তম মিনিটে বল টেনে নিয়ে দে পলের সঙ্গে
দেওয়া নেওয়া করে বক্সে হুলিয়ান আলভারেসকে পাস দেন মেসি। ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ডের
নেওয়া বুলেট গতির শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। শেষদিকে আরও কয়েকটি আক্রমণ
চালায় আর্জেন্টিনা। তবে আর গোলে পরিণত করতে পারেনি।