লিয়োনেল মেসি
মাঠে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তাঁর সবচেয়ে কম বয়সে ৩০
গোল করার রেকর্ড ভেঙে যেতে। যে নজির ভেঙে দিলেন সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে। এত কম বয়সে
(২২ বছর ৩৫২ দিন) যা আগে কেউ পারেনি। মজার ব্যাপার, বিশ্বজয়ী ফ্রান্সের তরুণ তারকা
ভাঙলেন সতীর্থ মেসির রেকর্ড। আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি ৩০ গোল করেছিলেন ২৩ বছর ১৩১ দিনে।
প্যারিস সাঁ জারমাঁ
নিজেদের মাঠে মঙ্গলবার ৪-১ হারাল ক্লাব ব্রাগেকে। এমবাপে ও লিয়োনেল মেসি, দু’জনই জোড়া গোল করলেন। সাত মিনিটের মধ্যে
দলকে ২-০ এগিয়ে দেন এমবাপে। প্রথম গোল আবার ৭২ সেকেন্ডে। মেসির দু’টি গোল দুই অর্ধে (৩৮, ৭৬ মিনিটে)। রেকর্ড
হাতছাড়া হলেও, মেসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৮টি ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করার ক্রিশ্চিয়ানো
রোনাল্ডোর নজির স্পর্শ করলেন।
পেনাল্টি থেকে
৪-১ করার সৌজন্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২৫টি গোলও তাঁর হয়ে গেল। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে
চলেছে য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। মঙ্গলবার তারা এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। শুধু
তাই নয়। ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে গ্রুপের সব ম্যাচ
জয়ের নজির গড়ল লিভারপুল। ছয় ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৮। মঙ্গলবার যথারীতি গোল
করলেন মহম্মদ সালাহ। ইটালিতে খেলেও এসি মিলানকে ২-১ হারিয়ে উঠে লিভারপুল ম্যানেজার
য়ুর্গেন ক্লপের যাবতীয় উচ্ছ্বাসে মাতেন সালাহকে নিয়ে। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ফিকায়ো তোমোরির
গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এসি মিলান। সাত মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা ফেরান সালাহ। জয়ের গোল
করেন দিভক ওরিগি।
অন্য নিয়মরক্ষার
ম্যাচে আরবি লাইপজ়িসের কাছে ১-২ গোলে হারে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। লাইপজ়িসের
হাঙ্গেরীয় মিডফিল্ডার সোবোস্লাই ডমিনিক প্রথম গোল করেন ২৪ মিনিটে। লাইপজ়িস দ্বিতীয়
গোল পায় ৭১ মিনিটে পর্তুগালের ফরোয়ার্ড আন্দ্রে সিলভার সৌজন্যে। ৭৬ মিনিটে সিটির হয়ে
গোল করেন রিয়াদ মাহরেজ়। তবে ৮২ মিনিটে প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন
সিটি তারকা
কাইল ওয়াকার।
উৎকণ্ঠার অবসান
ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় উঠল আতলেতিকো দে মাদ্রিদ। পাশাপাশি নিজেদের গ্রুপে
করিম বেঞ্জেমাকে ছাড়াই শেষ ম্যাচ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। তারা ২-০ হারিয়েছে ইন্টার মিলানকে।
আতলেতিকো এমন একটা ম্যাচে পোর্তোর বিরুদ্ধে ৩-১ জিতেছে, যেখানে তিন জন লাল কার্ড দেখেছেন।
একইসঙ্গে ঘরের মাঠে জিতে বা ড্র করে নক-আউটে খেলার সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে পর্তুগালের
ক্লাব।
আতলেতিকোকে জেতাতে
প্রধান ভূমিকা নিলেন আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান। নিজে একটি গোল করেন (৫৬ মিনিটে), সঙ্গে দলের
অন্য দু’টি গোলও হল তাঁর পাস থেকে। যা করলেন পরিবর্ত
হিসেবে নামা অ্যাঙ্খল কোরেয়া (৯০ মিনিট) ও খেলা শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে রদ্রিদো
দে পল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল করেন টোনি খোস (১৭ মিনিট) এবং মার্কো আসেননিয়ো (৭৯
মিনিট)।