আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মেট্রোরেল: বাঙালির আরেক স্বপ্ন পূরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উড়ছে। দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে প্রথম তলদেশ সুরঙ্গ বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ ইত্যাদি। এবার উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে স্বপ্নের ঢাকা মেট্রোরেল। এর মাধ্যমে বাঙালির আরেকটি স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখ, বুধবার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশের সমগ্র জাতি এই শুভদিনের শুভক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা যেমন জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে জানেন, তেমনই তিনি জানেন কীভাবে স্বপ্নকে সকল বাধা অতিক্রম করে বাস্তবায়ন করতে হয়। মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে রাজধানীর গণপরিবহনে নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। যানজটের নগরী ঢাকায় যানজট নিরসনে যে বিরাট ভূমিকা রাখবে স্বপ্নের মেট্রোরেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর মাধ্যমে নগরবাসীর অর্থ, সময় যেমন সাশ্রয় হবে তেমন যাতায়াতের দুর্ভোগও অনেকটা কমে আসবে। দেশবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে আনবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

রাজধানী ঢাকায় নির্মাণাধীন শহরভিত্তিক রেল ব্যবস্থা হচ্ছে ঢাকা মেট্রো যা আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে এমআরটি নামে পরিচিত। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে প্রণীত সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রোরেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে শুরু হয় ঢাকা মেট্রোর নির্মাণকাজের শুভ সূচনা। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এমআরটি-৬ নামক ২০.১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথকে নির্ধারণ করা হয়। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা অর্থায়ন করে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দেয় ৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে দু'দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে মানুষের আশা আকাঙক্ষার প্রতীক মেট্রোরেলে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কিলোমিটার ৫ টাকা আর সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। এমআরটি-৬ রুটে ১৬টি স্টেশন থাকবে। সেগুলো হলো- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। দুটি স্টেশনের মধ্যে গড় দূরত্ব হবে ১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার। বেশি স্টেশন রাখার ফলে বিপুলসংখ্যক যাত্রী এর সুফল ভোগ করবে। ওপরে এবং নিচ থেকে লিফট বা চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে যাত্রীদের ওপরে যাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। ট্রেন চালানোর জন্য ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। এর জন্য বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

মেট্রোরেল চলাচলে আশপাশে যে তীব্র কম্পনের সৃষ্টি হয় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেট্রোরেলের লাইনের নিচে এমএসএস (ম্যাস স্প্রিং সিস্টেম) রয়েছে। ম্যাস স্প্রিং সিস্টেমে বিশেষ ধরণের বিয়ারিং থাকে, যার কাজ হলো রেললাইনে যে কম্পন তৈরি হয় তা শোষণ করা। এর ফলে ট্রেন চলাচলের সময় আশপাশে তেমন একটা কম্পন অনুভূত হবে না। মেট্রোরেল বিদ্যুৎচালিত। ভিভিভিএফ (ভেরিয়েবল ভোল্টেজ ভেরিয়েবল ফ্রিকোয়েন্সি) ইনভার্টার সিস্টেমে চালিত ট্রেন চলার সময় অনেক কম শব্দ তৈরি করে, যা শব্দদূষণের পর্যায়েও পড়ে না। আবার মেট্রোরেল প্রকল্পটি চালু হলে ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাস ব্যবহারকারী অনেক যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করবে। এর ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কমবে। অন্যদিকে মেট্রোরেল যেহেতু বিদ্যুৎচালিত তাই বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ নেই বললেই চলে। তাই মেট্রোরেল পরিবহন ব্যবস্থার চাইতে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব।জানা গেছে, মেট্রোরেলের চালকের পদটির নাম ট্রেন অপারেটর। এই পদে ২৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্টেশন থেকে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন স্টেশন কন্ট্রোলার। এই পদে ৩৪ জন নিয়োগ পেয়েছেন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।

মেট্রোরেলে যাত্রী সাধারণের চলাচলে যে ১৪টি বিধি নিষেধ রয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ধূপপান না করা, পান না খাওয়া, কোনো ধরণের পণ্য ফেরী না করা, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ও থুথু ফেলা, পোষা প্রাণী বহন না করা, একাধিক আসন দখল করে না বসা, মহিলাদের কোচে পুরুষ যাত্রী না ওঠা, বয়স্ক ও বিশেষচাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সিটে অন্য যাত্রীদের না বসা, ভিক্ষাবৃত্তি না করা, মাঝখানের চলাচলের পথে দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা  উল্লেখযোগ্য। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে এই বিধি নিষেধগুলো আমাদের সকলেরই মেনে চলা উচিত।   

এছাড়াও ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর এমআরটি-১ এবং এমআরটি-৫ নামক লাইন দু'টির নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। এমআরটি-১ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই মেট্রোরেলের ১২টি স্টেশন থাকবে মাটির নিচে এবং ৭টি থাকবে উড়াল সেতুর ওপর। এমআরটি-৫ নির্মাণ প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা দেবে জাপান আর বাকি ১২ হাজার ১২১ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের মোট ২০ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে আর বাকি সাড়ে ৬ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে। এ রুটে মোট ১৪টি স্টেশন হবে, যার মধ্যে ৯টি হবে পাতাল আর ৫টি হবে উড়ালপথে।

পরিশেষে বলবো বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বের বুকে উন্নত দেশে পরিণত হত। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যার পরে বাঙালি জাতির সব চাইতে দুঃসময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন মানবতার নেত্রী বাঙালি জাতির কান্ডারি ঘোর অমানিশার মাঝে আলোর দিশারী জননেত্রী শেখ হাসিনা। নিজের অসীম শোককে শক্তিকে পরিণত করে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজের জীবন উৎসর্র্গ করেন। তিনি কখনো রাজপথে, কখনো সংসদে, কখনো সরকারে থেকে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম, জনগণ ও দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ^ দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। একের পর এক বিস্ময়কার সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই রয়েছে বড় বড় অর্জন। আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ পথ হারাবে না। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার কোনো বিকল্প নাই। আগামী দিনেও যাতে এই ধারা অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যে এখন থেকেই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।  মেট্রোরেলের যাত্রা শুভ হোক। সকল মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতায়ু লাভ করুন এবং তাঁর নেতৃত্ব ও সু দক্ষ পরিচালনায় এগিয়ে যাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।     

লেখক: কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও চেয়ারম্যান, বক্ষব্যধি বিভাগ।


আরও খবর



তীব্র গরমে বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ, গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।


আরও খবর



১১ মের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, মূল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও একই সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। আমরা ১১ মের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচির প্রয়োজন।

এদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১২ মার্চ এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই হিসাবে ১২ মের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পরীক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও দেওয়া হয়েছে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য। তারা মূল্যায়ন শেষে বোর্ডে পাঠাবেন। তার পর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। সেটা ১১ মের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এর পর ১৩-২০ মার্চের মধ্যে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।


আরও খবর



জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ নান্দনিক উদ্যানে পরিণত হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাইয়ের আগে রাজধানীর পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।

মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের এ মেয়র বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব স্থানে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভিতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।’

পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




এক রাতে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

একে একে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এসব ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া প্রশাসন এসব এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একের পর এক আঘাত হানা এসব ভূমিকম্পের কয়েকটি আবার রাজধানী তাইপেইর ভবনগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করে।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ওই এলাকায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। অবশ্য আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর