মেট্রোরেলে
নতুন করে ১২ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মোট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে তিনি
এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। এই ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুতগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক
ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মেট্রোরেলের কল্যাণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আমরা দেখেছি ডিএমটিসিএলের আওতায় ১২ হাজার প্রকৌশলী ও মাঠ-প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে।’
শেখ হাসিনা
বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের অহংকারের মুকুটে আরেকটি
পালক যুক্ত হলো। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন জনগণ। এজন্য
সবাইকে শুভেচ্ছা। এর মধ্য দিয়ে আজ আবার প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের
উন্নয়ন হয়।
তিনি বলেন,
প্রতি মেট্রো ট্রেনে নারীদের জন্য আলাদা বগি থাকবে, আলাদা টয়লেট থাকবে। বাচ্চাদের পরিচর্যা
করার সুযোগ থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুরোপুরি ফ্রি চলাচল করবেন। এই রেল চালুর ফলে
জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হবে। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা হবে এই মেট্রোরেল।
আর আগে বেলা
১১টার দিকে উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা।
তার সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রতিরূপ উন্মোচনের পর মোনাজাত করা হয়।
পবিত্র কোরআন
তিলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ
নুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে, বাংলাদেশ
নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
প্রধানমন্ত্রী
স্মারক ডাকটিকিট এবং মেট্রোরেলের প্রথম দিনের কাভার উন্মোচন করেন। সেই সঙ্গে উন্মোচন
করেন ৫০ টাকার স্মারক নোট। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠেন।
এ সময় দুই শতাধিক ব্যক্তি তার সঙ্গী হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল
কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা,
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।