আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেট্রোরেলকে চিনবে সবাই নওগাঁর নিশানের লোগোতে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে উদ্বোধন হলো বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন-অগ্রগতির আরেকটি মাইলফলক মেট্রোরেল। স্বপ্নের এই মেট্রোরেলের লোগো বানিয়েছেন নওগাঁর কৃতি সন্তান আলী আহসান নিশান। লোগো ছাড়াও মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে থাকা সাইনগুলোও তার করা।

নিশানের বাড়ি নওগাঁ পৌরসভার ধামকুড়ি এলাকায়। বাবার নাম মৃত আব্দুস কুদ্দুস। তিনি ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সৈয়দপুরে রেলের লোকোমোটিভ ওয়ার্কসপের (ইঞ্জিন হল কারখানা) তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন নিশানের বাবা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ থেকে পাস করেন আলী আহসান নিশান। নিজের বানানো লোগো সম্পর্কে তিনি বলেন, এই লোগের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। একটা লাল সূর্য উঠছে। নিচে বাংলার চিরচেনা সবুজের মাখামাখি। দুইয়ে মিলে বাংলাদেশ। মেট্রোর এম অক্ষরটাও এমনভাবে বসানো মনে হবে যেন প্লাটফর্ম।

তিনি বলেন, রেলটির দিকে কিছুক্ষণ তাকালেই মনে হবে, ওটা স্থির নয়, ছুটে চলেছে। উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে ইঙ্গিত করছে ছুটে চলা রেল।

লোগো তৈরির পেছনের গল্প জানতে চাইলে নিশান বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরিয়েছি। কোনো কাজ নেই। চলতি বছরের শুরুর দিকে একদিন বিভাগের এক শিক্ষকের কাছে যাই। তিনি আমাকে বললেন, মেট্রোরেলের লোগো নির্বাচনের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। তুমি প্রতিযোগিতায় অংশ নাও। স্যারের আহ্বানে আমি তিনটি লোগো বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে জমা দিলাম। আরও অনেকেই লোগো বানিয়ে জমা দেন।

নিশান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো তিনটি লোগোর মধ্যে আমার দুটো এবং অন্যজনের একটি পাঠানো হয়। এরপর জাতীয়ভাবে জমা হওয়া লোগোগুলোর মধ্যে থেকেও শর্টলিস্ট হয়। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার লোগোটি চূড়ান্ত করেন।

লোগোর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়নের গতি, সেটা লোগোর দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যাবে। সাধারণত লোগো স্থির প্রকৃতির হয়। এর রঙের ব্যবহারেও এক ধরনের ভারসাম্য রাখা হয় যেন চোখটা আটকে থাকে। কিন্তু এই লোগোতে সেটা ইচ্ছে করেই রাখা হয়নি। এতে এক ধরনের গতি আছে।

প্রতিযোগিতায় নিশানের বানানো লোগো নির্বাচিত হওয়ার পর তা নিয়ে আরও কয়েকবার কাজ করতে হয়েছে বলেও জানান নিশান। তিনি বলেন, এখন লোগোতে থাকা এম অক্ষরটি লিখে যে প্লাটফর্ম বোঝানো হয়েছে, প্রথমে তা ছিল না। বিশ্বের ৩৫টি দেশে মেট্রোরেলের লোগোতে এম রয়েছে। ওটাকে যুক্ত করার সময় একটু নতুনত্ব আনা হয়েছে। এ ছাড়া লোগো যখন বানানো শুরু করি, তখন মেট্রোরেল দেখতে কেমন সেটাও জানা ছিল না। তাই প্রথম যে রেলটা ব্যবহার করেছিলাম সেটি দেখতে বুলেট ট্রেনের মতো ছিল। পরে যখন মেট্রোরেলের ইঞ্জিন দেখলাম তখন কিছুটা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।

নিশান আরও বলেন, পুরো কাজ শেষ করতে ছয় মাসের মতো লেগেছে। চলতি বছরের মে মাসে যখন কাজটি শেষ হলো আমি ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম। অনেক প্রতিষ্ঠানে লোগো করেছি, কিন্তু এতটা ভালোলাগা কাজ করেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হওয়ার আনন্দ অবশ্যই অন্য রকম।

মেট্রোরেলের স্টেশনে যে সাইনগুলো থাকবে, সেগুলোও নিশানের করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাইনের কাজ করতে গিয়ে দেশের সব স্তরের মানুষ যেন চিহ্নগুলো দেখেই বুঝতে পারেন যে, কোনদিকে যেতে হবে, টয়লেট কোনদিকে, টিকিট কোথায় পাবেন, এসব ভাবতে হয়েছে।

মেট্রোরেলের লোগো ও স্টেশনের সাইন বানানোর অনুভূতি প্রকাশ করে নিশান বলেন, দেশের মানুষ যে জিনিসগুলো ব্যবহার করবেন সেখানে যদি আপনার সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে সেটার একটা অন্য রকম অনুভূতি হবেই।

নিশানের লক্ষ্য আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। ইতোমধ্যে নিশান বহু স্মৃতিফলকের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। চারুকারুর নান্দনিকতায় নিজেকে মেলে ধরেছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে। চাকরি নয়, নিজেই কিছু করার অদম্য স্পৃহা নিয়ে ছুটছেন এই তরুণ মেধাবী উদ্যোক্তা।

এ ব্যাপারে আলী আহসান নিশান বলেন, যুগ যুগ বেঁচে থাকার মতো কিছু করতে চাই। এখনও তেমন কিছু করতে পারিনি। পাশাপাশি যাপিত জীবনে নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান নিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।

নিশান নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি চারুকারু স্কুল। যেখানে শিশুরা এসে ছবি আঁকা শিখে। তাদের ছবি আঁকা নিশানকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। নিশান অক্সিজেন পান নিজ কর্মস্পৃহায়।

মেট্রোরেলের লোগো বানিয়ে ইতিহাসের অংশ হওয়া নিশানকে নিয়ে গর্বিত নওগাঁর মানুষ। নওগাঁ পৌরসভার ধামকুড়ি এলাকার বাসিন্দা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নওগাঁ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেলের লোগো বানিয়েছে আমাদের গ্রামের সন্তান নিশান। দোয়া করি, ইতিহাসের অংশ হওয়ার মতো নিশান যেন আরও ভালো কাজ করতে পারে।

নওগাঁর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডি এম আব্দুল বারী বলেন, নিশানের মধ্যে যে শিল্পী সত্ত্বা আছে, আশা করি ভবিষ্যতে তার আরও অনেক ভালো কাজ দেখতে পারব। তার দ্বারা দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।


আরও খবর



আমিরাতে পৌঁছাতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে এমভি আবদুল্লাহর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে গতকাল ভোরে মুক্তি পেয়ে এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছে।

এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ নৌ সীমানার মধ্যে থাকায় জাহাজটির জন্য সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল আছে। ইতালির নৌ-বাহিনীর একটি ফ্রিগেট জাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাহাজটি এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে, ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প, সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত আছে। এছাড়া, নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা ও ঢোকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। নাবিকরা এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত করে রাখতে পারেন। জাহাজটি বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছাতে জাহাজটির আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা পরিবহন করে জাহাজটি আমিরাত যাচ্ছিল। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর রবিবার ভোরে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



আজ পবিত্র শবে কদর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে দিনটি পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা রুখতে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং সন্ত্রাসী হামলা রুখতে কারও গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরও বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন। ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করব।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে রুমা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

গত মঙ্গলবার রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পরদিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর