নাটোরের বড়াইগ্রামে
পরকীয়ার জেরে স্ত্রী বিউটি খাতুনকে (৪০) স্বামী আব্দুর বারেক সরকার (৪৮) গলা কেটে
হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজ
ঘরে স্ত্রীকে ধারাল হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তিনি পালিয়ে যান। উপজেলার গোপালপুর
ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুলপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বামী
আব্দুল বারেক ওই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন
ভটভটিচালক। নিহত বিউটি ওই এলাকারই আলতাফ হোসেনের মেয়ে। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও একটি
ছেলে রয়েছে। ঘটনার রাতে ঘরে ১২ বছর বয়সী মেয়ে মাহি আক্তার উপস্থিত ছিল এবং মেয়ের
সামনেই পিতা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশী ও পুলিশ
জানায়, একই এলাকার জনৈক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রির সাথে স্ত্রী বিউটি খাতুনের পরকীয়া সম্পর্ক
রয়েছে সন্দেহে প্রায়ই দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হতো। রাতে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র
করে সৃষ্ট ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামী আব্দুল বারেক ধারাল হাসুয়া দিয়ে স্ত্রী বিউটির
গলা কেটে পালিয়ে যাযন। এসময় মেয়ে মাহির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দেখেন, বিউটি
বেগমের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মেয়ে মাহি জানায়,
তার বাবা তার মাকে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে মেরে ফেলেছে। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়
এই ব্যাপারে বাপের নাম যেনো না বলে তার জন্য মেয়েকে শাসিয়ে গেছে।
বড়াইগ্রাম
থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘাতক স্বামীকে আটক
করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা রুজু করার প্রস্তুতি
চলছে।