আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
তো, দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি- মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে! তাই ভুতের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও তারা মেয়ের পরিবারের কে কোথায় থাকে। কে, কি করে এইসব হদিস'ই পেয়ে গিয়েছে। অবশ্য মেয়েটি তো মানুষ

আমিনুল ইসলাম

মেয়েটিকে নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। মেয়েটির বয়েস কম ছিল। কলেজে পড়ছিল। কতো হবে বয়েস?  ১৫-১৬? কিংবা সর্বোচ্চ ১৭? এর বেশি তো কোন ভাবেই নয়। এতটুকু মেয়ে ভুল করছিল না সঠিক কাজ করছিল; এই নিয়ে যারা লিখছেন; তাদের চিন্তার দৈন্যতা নিয়ে বরং আলোচনা হতে পারে।

দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে যা জানলাম, তাতে অবশ্য মনে হচ্ছে মেয়েটি মারা গিয়েছে কোন এক ভুতের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে! কেউ তাদের নাম বলছে না। পরিচয় প্রকাশ করছে না। এই হচ্ছে আমাদের নামকরা সংবাদ মাধ্যম গুলো দৌড়!

অবশ্য ভুতের বাবার যদি নিজের'ই দুই-চারটা পত্রিকার মালিকানা থাকে। দুই-চারটা টেলিভিশন চ্যানেল থাকে। বিরাট শপিং মল আর একটা আস্ত শহরের বিশাল অংশের জমির মালিকানা থাকে; তাহলে এমন দুই চারটা "মানুষ" মেরে ফেলা যায়। এতে কোন সমস্যা নেই।

তাছাড়া শুনেছি ভুত সমাজের নাকি মানুষ খেতে ভালো লাগে। মানুষের মাংসের স্বাদ নাকি একটু বেশি'ই!

তো, দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি- মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে! তাই ভুতের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও তারা মেয়ের পরিবারের কে কোথায় থাকে। কে, কি করে এইসব হদিস'ই পেয়ে গিয়েছে। অবশ্য মেয়েটি তো মানুষ! কেবল ভুতের পরিচয় পাওয়া যায়নি! অবশ্য মানুষ হয়ে ভুতের পরিচয় পাওয়া কি আর এতো সহজ নাকি!

শেষমেশ নাম না জানা সাধারণ অন-লাইন পত্রিকা গুলো পড়ে জানতে পারলাম- ভুত না; বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলের (সায়েম বোধকরি নাম) সাথে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল।

মেয়েটার বাড়ি কুমিল্লায়। সে কলেজে পড়তে ঢাকা এসছিল। মাস তিনেক হয় গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকতো। সেই ফ্ল্যাটের ভাড়া মাসে লাখ টাকারও বেশি। ওই ফ্ল্যাটে মেয়েটা একা'ই থাকতো। আর ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ওই মালিকের ছেলে। যে নিজেও বসুন্ধরা গ্রুপের একজন এমডি।  সে-ই ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া দিত।

মৃত্যুর আগের দিন ওই মেয়ে তার বোনকে বলেছিল- সে বিপদে পরেছে। এরপর তার বোন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে দেখে তার বোনের মৃত দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।

এখন নামকরা পত্রিকা গুলো লিখছে- এই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই মেয়ে যে আত্মহত্যা করেছে; আপনারা কি করে নিশ্চিত হলেন? অবশ্য ভুতের সাথে সম্পর্ক ছিল বলে কথা। ভুত সমাজ তো আবার চাইলে যে কাউকে উধাও করে দিতে পারে। ভুত ভলে কথা। একটা ফুঁ দিলেই উধাও!

এই পর্যন্ত লিখেই ভেবেছিলাম লেখাটা শেষ করবো।

আগেই বলেছি মেয়েটাকে নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। অতটুকু মেয়ে ভুল করছিল নাকি ভালো করছিল; সেটা বুঝার হয়ত বয়েস'ই তার হয়নি। এই বয়েসে সবার কাছেই সব কিছু রঙিন মনে হয়। অতি সাধারণ জিনিসকেও মনে হয় বিশাল কিছু। আমরা সবাই এই বয়েস পার করে এসছি। সুতরাং এই বিষয় গুলো আমাদের জানা।

তাহলে আমরা কেন ভুল পথে যাইনি?

কারণ আমাদের পরিবারের সদস্যরা সব সময় আমাদের সঠিক পথ'টা দেখিয়ে দিতেন। বাবা-মা; বড় ভাই-বোনদের দায়িত্ব হচ্ছে- ছোটরা যদি কোন ভুল করে থাকে; কিংবা ভুল পথে যায়; তাহলে তাদেরকে সঠিক পথটা দেখিয়ে দেয়া।  এই মেয়েটা ঢাকা শহরে গুলশানের মতো একটা জায়গায় এতো বিশাল ফ্ল্যাটে থাকতো। যার ভাড়া'ই হচ্ছে এক লাখ টাকার উপর। আমি মোটামুটি নিশ্চিত- এক জীবনে আমার নিজের অন্তত এই সামর্থ্য হবে না।

তো, এই মেয়েটা এমন একটা অভিজাত এলাকায় এতো দামী একটা ফ্ল্যাটে থাকছিল; তার বড় বোন এবং পরিবারের অন্য সবাই সেটা জানত। এর দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে। প্রথম ব্যাখ্যা হচ্ছে- পরিবারের সবাই জানত ওই ছেলের সাথে এই মেয়ের সম্পর্ক আছে। এবং হয়ত এই সম্পর্কটা পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছে। অন্য ব্যাখ্যা হতে পারে- কেউ কিছু জানত'ই না।

দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটা গ্রহণযোগ্য হবার কথা নয়। কারণ মেয়েটা ওই ফ্ল্যাটে তিন মাসের মতো থাকছিল এবং তার বড় বোন অন্তত ওই বাসাটা চিনত।

ভালোবাসা জাত মানে না। ভালোবাসা শ্রেণী মানে না। ভালোবাসা কোন কিছুই মানে না। তাদের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে থাকে; তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু তাদের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে না থাকে; তাহলে মেয়েটা ভুল করছিল। সেই ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব ছিল পরিবারের বড়'দের।  এমনকি ভালোও যদি বেসে থাকে; এরপরও পরিবারের দায়িত্ব ছিল মেয়েটাকে সতর্ক করা। কারণ মেয়েটা পরিণত বয়েসের ছিল না।

ভুতের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয় না।

ভুতের কাজ ভুত করেছে; মাঝখান থেকে মানুষটা হারিয়ে গিয়েছে। ভুতেদের বিচার হয় না। কারণ তারা অস্পৃশ্য। তাদের দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তারা ইচ্ছে হলে মানুষের মাংস খায়। মাঝখান থেকে দোষ হয় ওই মানুষটার- কেন সে ভুতের সামনে হাজির হলো। তাই নিজেদেরই সতর্ক হতে হবে। সেই শিক্ষা পরিবারকেই দিতে হবে।


আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার (৩০ মার্চ) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগ দিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) পদে যোগদান করেছেন প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। এর আগে তিনি প্রধান প্রকৌশলী (পুর) হিসেবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বাপাউবো রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন।

তিনি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিআইটি বর্তমানে (রুয়েট), রাজশাহী থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করেন।

পরবর্তী সময়ে তিনি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী পদে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তাকে জামিন দেন।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।

১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান বৃষ্টির পরও সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়ে গেছে। আজ রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে ঢাকার বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১০১, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

তবে সকাল ৯টার দিকে একিউআই ৮৬ নিয়ে ঢাকার বাতাস দীর্ঘদিন পর গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ঢাকার বায়ুমান দিনের পর দিন বিশ্বের দূষিততম শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করছে। এটা নাগরিকের নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।  রবিবার সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ১৮৫, ১৭৭ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে। একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ২১তম। ঢাকার অবস্থান সাধারণত ১ থেকে ৫-এর মধ্যে থাকে।

একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তাকে মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর