আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মেয়রের সামনে জুতাপেটা করা সেই নারী কাউন্সিলর বরখাস্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

করপোরেশন সভায় অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত আসন-৫ (সাধারণ ওয়ার্ড নম্বর ১৩, ১৯ ও ২০) এর কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসন-৫ (সাধারণ ওয়ার্ড নম্বর ১৩, ১৯ ও ২০) এর কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীর করপোরেশন সভায় অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় সভার কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়া, প্রায়ই এ জাতীয় আচরণে লিপ্ত থাকা, তার এহেন অসদাচরণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, যেহেতু তাকে তার স্বীয় পদ থেকে অপসারণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ ধারা ১৩ এর উপধারা (৩) এর অধীন কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে, সেহেতু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসন-৫ (সাধারণ ওয়ার্ড নম্বর ১৩, ১৯ ও ২০) এর কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ ধারা ১২ এর উপধারা (১) অনুযায়ী তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে গত ২০ মে নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বোর্ড সভায় মেয়রের সামনে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠে সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলীর বিরুদ্ধে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর বিষয়টি নিশ্চিত করে ওইদিন জানিয়েছিলেন, ঘটনার পর কাউন্সিলর চামেলীকে মিটিং থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রধান নির্বাহীকে কাউন্সিলর চামেলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দেন।


আরও খবর



ধামরাইয়ে শাপলা বেঁচে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিলজুড়ে শুষ্ক মৌসুমে আবাদ হয় ধান ও নানা ধরনের সবজি। আর যেখানে পানি থাকে সেখানে মেলে মাছ। তবে মানুষগুলো বিপদে পড়েন বর্ষা মৌসুমে। পুরো বিল পানির নিচে থাকায় বেকার হয়ে পড়ে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। বর্ষার থৈ-থৈ পানিতে জন্মানো শাপলায় মনোহারী হয়ে ওঠে পুরো বিল। এই শাপলাই এখন হয়ে উঠেছে কর্মহীনদের জীবিকার অবলম্বন। বিলের শাপলা তুলে তা বিক্রি করে চলছে কয়েকটি পরিবার। স্থানীয় হাটের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে এ শাপলা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিতে তলিয়ে যাওয়া চক ও বিভিন্ন বিল ঘুরে দেখা যায়, কৃষি জমি,খাল-বিলগুলোয়ও শাপলা জন্মে থাকে। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা তুলতে প্রতিদিন ভোর থেকেই বিলে নেমে পড়েন কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও। ছোট ছোট ডিঙি ও কোষা নৌকায় বিলজুড়ে ছুটে বেড়ান তারা।বিভিন্ন গ্রামের চক ও বিলে ব্যস্ত থাকেন শাপলা তুলতে। দুপুর ও বিকেল বেলায় নৌকাভর্তি শাপলা নিয়ে ফেরেন তারা। এর পর বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। পাইকাররা সেখান থেকে কিনে ট্রাক ও পিকআপে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যান। সবজি হিসেবে শাপলার জুড়ি মেলা ভার। শুধু বর্ষায় মেলে বলে চাহিদাও থাকে বেশি। রঘুনাথপুর বিলের শাপলার কদর বেশি।

স্থানীয়রা জানান, কোনো পুঁজির প্রয়োজন না হওয়ায় বর্ষাকালে বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ এ কাজে যুক্ত হন। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা সংগ্রহকারীরা নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া জমিতে ও বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা তুলতে থাকেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অনেক শাপলা হয়ে থাকে। শাপলা বিক্রি করে একজন ব্যক্তি দিনে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতে পারে ।

কয়েকজন শাপলা সংগ্রহকারী জানান, এ সময়ে একেকজন কমপক্ষে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ মোঠা শাপলা সংগ্রহ করতে পারে। পাইকারেরা আবার এসব শাপলা সংগ্রহকারীর কাছ থেকে কিনে একত্র করেন। দিন শেষে একেক জন ব্যক্তি সংগৃহীত শাপলা বিক্রি করে সাতশো থেকে একহাজার টাকা আয় করে থাকেন।

উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিল থেকে শাপলা সংগ্রহকারী মোঃ জসিম বলেন, শুকনাকালে ইট বালুর ট্রাকে কাজ করে সংসার চালান আর বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে পানি থাকে। কোথাও কোনো কাজ থাকে না। বেকার বসে থাকেতে হয়। তাই এই সময় বসে না থেকে বিল থেকে আমি আর আমার ভাই দুই জন মিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাপলা তুলে মোঠা বেধে বাইপাইল বাজারে পাইকার বিক্রি করি, প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করি , গাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাদে আমরা দুজনেই ভাগ করে নেই, আর সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাই।

একই গ্রামের দিনমজুর মো. মিরাজ বলেন, বর্ষায় একদম বেকার হয়ে পড়েন। তবে শাপলা তুলে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিছু সঞ্চয়ও করতে পারছেন। প্রতিদিন তিনি ৭০০ থেকে হাজার টাকা রোজগার করেন।

পাইকার আয়নাল হক জানান, স্থানীয়দের কাছে শাপলা কিনে তিনি পিকআপে করে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন। প্রতি আঁটি শাপলা কেনেন খুচরা ১৪ থেকে ১৬ টাকায় আর ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন ২০ থেকে ২৫ টাকায় । 

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমে শাপলা উৎপাদন হয়ে থাকে। এসময় বেকার ও নিম্ন আয়ের মানুষ শাপলা বেচা কেনার সঙ্গে জড়িত। শাপলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, শাপলায় প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকে। এছাড়াও শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ পাওয়া যায় শাপলা থেকে। শাপলা তরকারি হিসাবেও খুবই মজাদার।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে নাসির শেখ (৪৮) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, জমি সংক্রন্ত বিরোধের জেরে নাসিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নাসির শেখ মালামত গ্রামের মৃত সামাদ শেখের ছেলে এবং পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী।

উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের মালামত গ্রামে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে মালামত জামে মসজিদের সামনে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুশফিকুর রহমান রাজিব তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নাসিরের ভাই সেলিম শেখ অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের গ্রামের নুরু শেখের দুই ছেলে বাবু (২৭) ও নয়ন (২২) মিলে আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।

ঘটনার সত্যত নিশ্চিত করে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, জমিসংক্রন্তা বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



পুলিশি নিরাপত্তায় সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় বিচারপতি মানিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

পুলিশি নিরাপত্তায় হেলিকপ্টারে করে একাধিক মামলার আসামি সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশের কেউ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সিলেট জেলা পুলিশের দুজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার, ডিএসবি, সিলেট স্বাক্ষরিত আদেশে (স্মারক নম্বর-৪২৯২) বিচারপতি মানিককে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় প্রেরণের নির্দেশনা দিয়ে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। ওই আদেশের অনুলিপি গণমাধ্যমের হাতে আছে।

তাতে কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অলক শর্মা ও এসএএফ পুলিশ লাইনস সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাইকে হেলিকপ্টারে বিচারপতি মানিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আদেশে আরও বলা হয়, পুলিশি এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক তদারকি করবেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রফিকুল ইসলাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এবিষয়ে জানতে চাইলে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। আর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ (এসপি) মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সিলেট আদালতের পরিদর্শক জমসেদ আলম বলেন, কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য মানিককে আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতার দেখানোর পর জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় আদালত তাঁকে এই মামলায় জামিন দিলেও অন্যান্য মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যাসহ গুরুতর অপরাধে সহযোগিতায় ঢাকার পাঁচটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঢাকার আদালতে হাজির করার জন্য তাঁকে আজকালের মধ্যে কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।

এর আগে আজ সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেটের আদালতে হাজির করা হয়। কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার মামলায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ একাধিক মামলার পাঁচটিতে মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে ঢাকার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েক যুবকের সহায়তায় তাঁকে আটক করে বিজিবি। পরদিন সকালে তাঁকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা হয়।

২৪ আগস্ট সিলেট আদালতে ঢোকার সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ জনতা শামসুদ্দিন মানিককে কিল-ঘুষি-লাথি মারেন। এ সময় তিনি অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত পান। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করে। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওসমানীতে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।

গত ১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মানিককে ছাড়পত্র দেয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ওই দিন দুপুরে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তা ও সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে তাঁকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং লিডার মিজান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় গত ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণে অভিযুক্ত ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. মিজানকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে চারটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামির হরিপুর ব্রাহ্মণপাড়া আবুল কালামের কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মিজান নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া আলী চেয়ারম্যান বাড়ির মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো.শরীফ-উল-আলম জানান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার হরিপুর ব্রাহ্মণপাড়া আবুল কালামের কলোনীর ভাড়া ঘরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বিক্রির জন্য মজুদ করেছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে চারটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। মিজানের বসতঘরের ভেতরে টয়লেটের উপরে বাঁশের তৈরি মাচার থেকে ১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ১টি টিপ চাকু উদ্ধার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেন গ্রেপ্তার মিজান।

তার অস্ত্রসহ মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তখন ভাইরাল হয়। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে হওয়া নগরের চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানার নাশকতার মামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা যায়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, অপহরণ ও ডাকাতিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের নব যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক পুলিশের গুলিতে নিহত দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন সিলেটের সাংবাদিকরা আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রমাণ করেছেন তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। তিনি বলেন বর্তমানে সম্ভাবনার যে দ্বার উন্মোচন হয়েছে তা ধারণ করে সরকার দেশ এগিয়ে নিতে কাজ করছে। সেই এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের চোখ ও কান হিসেবে সাংবাদ মাধ্যমকে মনে করি। তাই তিনি এতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এরআগে শুরুতে মরহুম সাংবাদিক এটিএম তুরাব স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জাবাব দেন জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট নিয়ে বলেন সারাদেশে প্রবাসী সেল থাকলেও সিলেটের জন্য তা আলাদাভাবে দেখা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দ্রুত সমাধান হবে। সিলেট-ঢাকা ছয় লেনের সড়কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শীঘ্রই এ ব্যাপারে দৃশ্যমান ভালো খবর পাওয়া যাবে। তিনি জনবান্ধব জেলা প্রশাসন গড়ে তুলতে চেষ্টা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন- সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ গোলজার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার, ইমজা'র সভাপতি সজল ছত্রী, ফটো জার্নালিস্ট এ্যসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর