আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুরের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে দাখিল হয়েছিল। সেগুলোকে পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে মেয়রের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে এবং তা যদি তদন্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয় তাহলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে কারণে মেয়র জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী, জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আছে। বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। সেসব যেহেতু তদন্ত হবে তখন আপনারা জানতে পারবেন। অভিযোগ যেমন কোথাও অবৈধভাবে জায়গা দখল করা, জনগণের স্বার্থপরিপন্থি কাজ করা। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, সেখানে অনেক অবকাঠামো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, জোর-জবরদস্তি করা, এ ধরনের কিছু অভিযোগ এসেছে।

স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির কোনো অভিযোগ এসেছে কি না জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক সে যেই হোক না কেন, কথা বলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। এটাকে একজন নাগরিক হিসেবে আমি ঘৃণা করি। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যিনি বাংলাদেশকে স্বীকার করেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা না করার কোনো কারণ নেই। যারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবেন না, সে তো বাংলাদেশকেই স্বীকার করে না। সেই কারণে আমরা সবাই জানি, আপনারাও জানেন, সেই অভিযোগটা দলের কাছে দিয়েছে এবং দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

‘আইন অনুযায়ী আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আছে। সেই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি দায়িত্বপালনে যদি গর্হিত কাজ করে সেসব ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতাই আমরা প্রয়োগ করছি। আইনে আমাদের যেসব অপশন দেওয়া আছে সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

গাজীপুরে তিন সদস্যের মেয়র প্যানেল গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, যিনি জ্যেষ্ঠতার বিচারে এক নম্বরে আছেন, তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। তাকেই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।’

তদন্ত শেষ হবে কবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমলে নিয়েছি। এখন তদন্ত শুরু হবে অনতিবিলম্বে। তদন্ত করতে মাঠপর্যায়ে কতদিন লাগবে সেটা এখনই বলা যাবে না। হয়তো বেশি সময় লাগতে পারে। আরও নতুন বিষয়ও যোগ হতে পারে।’

জাহাঙ্গীর আলম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে চার্জগুলো গঠন করা হবে, আমরা তদন্ত করে যেগুলো পাবো, সেসব বিষয়ে তাকে শোকজ করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের আত্মপক্ষ সমর্থনের সাংবিধানিকভাবে অধিকার আছে। সেই অধিকার তিনিও ভোগ করতে পারবেন।’

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অপসারণ করা হবে।’

‘আজ আমরা বহিষ্কারাদেশ জারি করছি। পত্রপ্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে নতুন ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে’ বলেন তাজুল ইসলাম।

সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি

পরে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতি বছর হাট বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগটির বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মতামত জানতে চাওয়া হলে অদ্যাবধি কোনো মতামত প্রদান করা হয়নি।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই অভিযোগসমূহ- ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের শামিল যা করপোরেশন আইনের ধারা ১৩ (১) (ঘ) অনুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ। এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে ২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইনের ধারা ১৩ ধারা মতে অপসারণের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে। তাই সিটি করপোরেশন আইনের ধারা ১২ (১) অনুযায়ী, সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’

সিটি করপোরেশন আইনের ধারা ১২ (২) অনুযায়ী এই আদেশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ক্রমানুসারে মেয়র প্যানেলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিন সদস্যের মেয়র প্যানেল

অপর আদেশে তিন সদস্যের মেয়র প্যানেল গঠন করে অফিস আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯’ এর ধারা ২০ (২) এর বিধান অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলরের সমন্বয়ে এই প্যানেল গঠন করা হয়।

মেয়র প্যানেলে মনোনীত হয়েছেন- ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরন, ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল আলীম মোল্লা ও ১০ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোসা. আয়েশা আক্তার।


আরও খবর



ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের (আনারস প্রতীক) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে মারধরের ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গুলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশেই কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। দোকানগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন আনারস প্রতীকের সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ তাদেরকে দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরও বলেন, সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

হামলার শিকার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা বলেন, তারা অযথাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে শুধু দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেছিলেন তিনি। তবে তারা কার সমর্থক তা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিরুল ইসলামের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু বলেন, এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এত কী কাজ? সাংবাদিকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সাংবাদিকদের সেন্টারে বেশিক্ষণ থাকার দরকার নেই। তিনি সব সাংবাদিককে কেন্দ্র চলে যেতেও বলেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গজারিয়ার উপজেলায় মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।


আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো শপথ নেবেন পুতিন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ভ্লাদিমির পুতিন। এদিন ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পুতিনের ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হবে। গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এই নেতা। খবর আনাদোলু এজেন্সির

অভিষেক অনুষ্ঠানের পর রাশিয়ার বর্তমান সরকার পদত্যাগ করবে এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে।

শপথের পর সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজনকে বাছাই করে অনুমোদনের জন্য রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমায় উপস্থাপন করবেন পুতিন।

যদিও পার্লামেন্টের প্রার্থীকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা রয়েছে, তবে আইনপ্রণেতারা তিনবার প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করলে পুতিন সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন ছাড়াই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পুতিনের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের অধিকারও থাকবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে একজন সফল সরকারপ্রধান হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হওয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনকে আবারও নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।


আরও খবর



বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির ৭৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এসব নেতাদের নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।


আরও খবর



অপহরণে জড়িত থাকলে আমার স্বজনরাও ছাড় পাবে না: পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাটোর সিংড়া উপজেলার অপহৃত ও নির্যাতনের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

অপহৃত ও নির্যাতনে জড়িতদের প্রসঙ্গে পলক বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। এখানে মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন বলে কেউ ছাড় পাবে না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রামেক হাসপাতালে দেখতে যান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে হামলায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের অনুসারীরা। পরে সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেনের ভাই এমদাদুল হক বলেন, আমার ভাইয়ের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, কথা বলতে পারছে। তবে তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। চোখ মেলতে পারছে না। চোখে ঝাপসা দেখছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মন্ত্রী আমার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক মন্ত্রী কি করেন?


আরও খবর