আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহাবিজয়ের মহানায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এ রকম সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। রেসকোর্স ময়দানের সেই সময়টা বাংলার আকাশের রং বদলে দিয়েছিল।

হাজার বছরেরও বেশি সময়ের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে সীমাহীন ত্যাগ আর ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেদিন অর্জিত হয়েছিল বাঙালির বিজয়। ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর পক্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর সেই আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন।

এই ছবিটা আজও বিজয়ের উজ্জ্বল সাক্ষী হয়ে আছে আমাদের ইতিহাসে। মুক্তিকামী প্রতিটি বাঙালির জন্য এটি ছিল শ্রেষ্ঠতম মুহূর্ত। আমরা সেদিন রক্তস্নাত একটি বিজয়ের পতাকা বাংলার আকাশে ওড়াতে সক্ষম হয়েছি। আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে এ বিজয়ের মহানায়ক একজন। তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন। তাকে হত্যা করার জন্য ইয়াহিয়া বিচারের নামে প্রহসন করেছে। কারাবন্দিদেরকে দিয়ে মিয়ানওয়ালী কারাগারে তাকে হত্যা করার চেষ্টাও হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সেই কঠিন সময়গুলোতে যখন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্য অনিশ্চিত তখন অন্নদাশঙ্কর রায় তার বিখ্যাত—‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা/ গৌরী মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার/ শেখ মুজিবুর রহমান।/ দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা/ রক্তগঙ্গা বহমান/ তবু নাই ভয় হবে হবে জয়/ জয় মুজিবর রহমান। কবিতাটি রচনা করেন। সেটি তিনি রচনা করেছিলেন ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে। তারও আগে একাত্তরের ৭ মার্চের সেই অগ্নিগর্ভ ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে ১৬ মার্চ কবি জসীমউদ্দীন বঙ্গবন্ধুকে তুলনা করেছিলেন ভিসুভিয়াসের সঙ্গে।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রের হুংকারে আমরা দেখি তার সেই অমর ভাষণের প্রতিধ্বনি। বিশ্বসভায় তিনি পরিণত হয়েছেন পোয়েট অব পলিটিক্স হিসেবে। এপ্রিল মাসে নিউজ উইক পত্রিকা তাকে আখ্যা দিয়েছিল রাজনীতির কবি নামে। বস্ত্তত পদ্মা-যমুনার জলস্রোত ও ভিসুভিয়াসের অগ্নি উদ্গীরণ আর একটি জাতির স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করার এই বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে। সে কারণেই বাঙালির ইতিহাসে বহু বিখ্যাত নেতার উপস্থিতি সত্ত্বেও শেখ মুজিব ছিলেন আলাদা ও স্বতন্ত্র। তিনি সত্যিকার অর্থেই বাঙালির চিরকালের প্রতীক মানুষ।

মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলো খুব সহজ ছিল না। একটি প্রশিক্ষিত শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতার আহ্বানে মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই উপমহাদেশেও আমরা এরকম উদাহরণ দেখি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সম্ভবত এক্ষেত্রে উজ্জ্বলতম ব্যতিক্রম। তিনি বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরই একজন হিসেবে। কিন্তু এই নেতৃত্ব শুধু অন্যদিকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই। আর এই দুই মিলে লড়াইটা পরিণত হয়েছিল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানবিক এক লড়াই।

মুক্তির যে অন্বেষা বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন লালন করেছেন তার মূলে ছিল বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং বক্তৃতায় সেই স্বপ্ন উঠে এসেছে বারবার। ৭ মার্চের ভাষণে যখন তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন তখন তার নির্দেশনার মধ্যেও ছিল গরিবের যাতে কষ্ট না হয়

এইভাবে তার স্বপ্ন ও সংগ্রাম ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কারণ শান্তি প্রতিষ্ঠায় এনে দিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত বিজয়। সেই দিনগুলোতে অনেকেই ভাবতে পারেননি যে, বাংলাদেশ খুব অল্প সময়ে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হবে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহযোগী জাতীয় চার নেতা এবং অন্যান্য ব্যক্তি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন ও চেতনাকে ধারণ করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরিচালনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। তাদের হৃদয়ে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

অন্যদিকে স্বজন হারানোর শোক। দুই. মিলেমিশে আনন্দ ও বেদনার এক মিশ্র অনুভূতি ছড়িয়ে ছিল সর্বত্র। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। সাধারণ মানুষের মনে হয়েছে এই বিজয় যেন অপূর্ণ। মুক্তির মহানায়ক ফিরে আসেননি তখনো। তারা অপেক্ষা করেছেন বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে। অনেকটা ট্রয়ের যুদ্ধের পরে ইথাকার রাজা অডিসিয়াসের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো। হোমারের ওডিসি মহাকাব্যের অন্যতম চরিত্র অডিসিয়াস বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ফিরে এসেছিলেন তার দেশে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশে সেদিন পূর্ণতা পেয়েছিল আমাদের বিজয়। সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা এবং সাধারণ মানুষেরা যেভাবে আনন্দ করেছে, সেটি অবিস্মরণীয়। এই প্রত্যাবর্তন ওডিসির মহাকাব্যিক ঘটনাকেও ছাড়িয়ে যায়।

এখন আমরা পালন করছি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এ বছর বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে জন্মশতবার্ষিকীর অনেক কাজ সমাপ্ত হয়নি বিধায় মুজিববর্ষের মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। যে জাতিকে দীর্ঘ অত্যাচার-নিপীড়নের নাগপাশ থেকে মুক্তির স্বপ্ন দিয়েছিলেন সে বিজয়েরও সুবর্ণজয়ন্তী। আজ এ যেন বাঙালির গৌরবের এক মিলিত মোহনা। একই সঙ্গে মুজিববর্ষ এবং যার অংশীদার আমরা সবাই।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু নিরন্তর পরিশ্রম করেছেন। তাদের স্মৃতিকথা থেকে আমরা জানতে পারি, তিনি কীভাবে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি দমে যাননি। স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। ঘাতকের বুলেটে তার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন অসমাপ্ত থেকে গেছে।

আজ বিজয়ের ৫০ বছরের প্রান্তে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকালে আরেকটি কঠিন ও দীর্ঘ লড়াইয়ের চিত্র আমাদের চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, এরকম কঠিন কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি সোনার বাংলা গড়ার যাত্রাকে তিনি আলাদা অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের এই ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্য শেখ হাসিনার হাতে আলাদা গতি পেয়েছে।

এখন সেইসঙ্গে বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ বিশ্বসভায় পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন মানবহিতকর কাজ মিলে এই ৫০ বছরে বিশ্বসভায় আমাদের অবস্থান এখন অনেক সুদৃঢ়। দীর্ঘ যাত্রার এই সময়ে বাঙালির মহাবিজয়কে উদযাপন ও মহানায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর একটা সুযোগ এসে গেছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে একদিন যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানোর এটি প্রকৃষ্ট সময়।

কিন্তু তার সংগ্রাম-আন্দোলন এবং ত্যাগের আলোকশিখা এখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে। এই আলো প্রতিদিন উজ্জ্বলতর হচ্ছে। বিজয়ের এই ৫০ বছরে আমরা নানা আয়োজনের মাধ্যমে যেমন উদযাপন করব বিজয়, সেই সঙ্গে মহাবিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিও জানাব আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।


আরও খবর



মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত হয়নি: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট আরোপের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট আরোপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা আলাপ করবেন।

চলতি বছরের জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসতে যাচ্ছে— বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে কারা মেট্রোরেলে ভাড়ায় ভ্যাট ১৫ শতাংশ বাড়বে জুলাই থেকে, এ ধরনের ঘোষণা দিল? এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। গণপরিবহণের একটি বিশেষ সেবাধর্মী পরিবহন মেট্রোরেল। মানুষ এর সুফল পাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, এখনো জুলাই মাস অনেক দূরে। আর আমরা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নিইনি। সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিল আমি জানি না। এই বিষয়টি সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল। তারা কিন্তু আসল জায়গায় যায়নি।’


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বরসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

অপরদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রবিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পরের দিন সোমবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক নেহাল আহমেদের অভোগকৃত অবসরউত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

মাউশিতে অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটি থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাউশির মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছ। রাজধানীবাসীদের মধ্যে অনেকে নানা কারণে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিনে ঢাকা ছাড়ছেন। কমলাপুর স্টেশনে সকাল থেকেই ছিলো যাত্রীর চাপ। সড়কের পাশাপাশি ভোর থেকেই রেলপথে যাত্রীর দেখা মেলে কমলাপুর স্টেশনে।

মূলত ঈদে যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানান যাত্রীরা। আবার টানা ছুটির কারনে যাত্রার জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন ঈদের পরদিনকে। ময়মনসিংহ,চট্টগ্রাম,সিলেটের ট্রেনগলো কমলাপুর থেকে যাত্রা করে যথাসময়েই। ঢাকায় ছাড়ার পথে যাত্রীর চাপ থাকলেই ঢাকামুখি মানুষের সংখ্যা ছিলো অনেকটাই কম।

নিউজ ট্যাগ: কমলাপুর স্টেশন

আরও খবর