আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মহাকাশ স্টেশন ধ্বংস করতে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সবকিছুর শুরু যেমন আছে, তেমনি শেষও আছে। মহাকাশে সভ্যতার ইতিহাস গড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আয়ুও প্রায় শেষের দিকে। ২০৩১ সাল নাগাদ এটিকে ছুঁড়ে ফেলা হবে প্রশান্ত মহাসাগরের দুর্গম নিমো পয়েন্ট এলাকায়। স্টেশনটি ধ্বংস করতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সাথে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তিও করে ফেলেছে নাসা।

প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের সবচেয়ে বড় সাফল্য- এই স্টেশন তৈরি হয়েছে ৪ দেশ ও একটি সংস্থার উদ্যোগে। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া স্টেশনটির নেতৃত্বে থাকলেও ইউরোপ, কানাডা এবং জাপান রয়েছে সহযোগীর ভূমিকায়।

পৃথিবীর বাইরে মানুষের একমাত্র স্থায়ী আবাসস্থল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, আইএসএস। নির্মাণ কাজ শুরু ১৯৯৮ সালে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু ২০০০-এ।ভাসমান এই গবেষণাগারে প্রথম পা রাখেন দুই রুশ নভোচারী সের্গেই ক্রিকালেভ ও ইউরি গিডজেনকো, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী উইলিয়াম শেফার্ড।

এ পর্যন্ত ২০ দেশের ২শ'র বেশি নভোচারীর পা পড়েছে এই মহাকাশ কেন্দ্রে। বলা হয়, যাত্রা শুরুর পর থেকে এটি কখনো মানবশূন্য থাকেনি। ছয় রুমের এই স্টেশনে রয়েছে মাইক্রো গ্রাভিটি নিয়ে গবেষণাগার। এছাড়া পানি বিরুদ্ধ করা এবং ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা হয় সেখানে। এ পর্যন্ত এখানে প্রায় ৩ হাজার ৩শ গবেষণা চালিয়েছে বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবছর এটি পরিচালনায় নাসার খরচ ৪শ কোটি ডলার। ২৪ বছরের দীর্ঘ সফরে মহাকাশে পর্যটন ভ্রমণ, সিনেমার শুটিংয়ের মতো অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র।

তবে এখন বয়সের ভারে প্রায় ন্যুব্জ আইএসএস। যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত নানা সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন নভোচারীরা। গেল জুনে ৮ দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে আটকে গেছেন নাসার দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মহাকাশ কেন্দ্রেই থাকতে হবে দু'জনকে।

তাই মহাকাশ বিজ্ঞানের এই অনন্য কীর্তি ২০৩০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকবে পৃথিবীর কক্ষপথে। এরপর মহাকাশযানের কবরস্থান নামে খ্যাত নিমো পয়েন্টে ডুবিয়ে ফেলা হবে আইএসএস'কে।

ফুটবল মাঠের আয়তনের সমান এই স্টেশনকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে নামিয়ে আনা সহজ হবে না বিজ্ঞানীদের জন্য। এরই মধ্যে এটিকে ধ্বংস করতে স্পেসএক্সের সাথে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা।

এটিকে কক্ষপথ থেকে টেনে নামাতে ডি-অরবিট ভেহিকল নামের বিশেষ একটি যান তৈরি করবে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



নসরুল হামিদের ভবনে রাতভর অভিযান, একাধিক ভল্ট জব্দ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর রাজধানীর বনানীর প্রিয় প্রাঙ্গণ ভবনে রাতভর অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে ভবনটিতে অভিযান শুরু করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

রাতভর চলমান অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি ভল্ট জব্দ করা হয়েছে।

এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে বিপুলসংখ্যক অর্থায়ন এই ভবনটি থেকেই যায় বলে অভিযোগ করেন নুর।

এ ঘটনার তথ্য ও প্রমাণ জোগাড় করতেই অভিযান চালানো হয় ভবনের ফ্লোরগুলোতে। তবে অভিযানের খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কালক্ষেপণের অভিযোগ তাদের।

এদিকে মঙ্গলবার নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা মহানগর পুলিশের আলোচিত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।


আরও খবর



মুশফিকের সেঞ্চুরিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না কেউই। সাদমান ইসলাম তো খুব কাছে গিয়ে ৭ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন। চতুর্থ দিনে এসে বাংলাদেশ দলের শতকের আক্ষেপ ঘোচালেন মুশফিকুর রহিম। দিনের প্রথম সেশনে শতক পূর্ণ করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের পক্ষেই গিয়েছে। এই সেশনে ২৫ ওভার ব্যাটিং করে ৬৭ রান করেছে টাইগাররা। উইকেট হারিয়েছে একটি। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্নবিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৮৯ রান।           

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের চেয়ে এখনও ৫৯ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল শান মাসুদের দল।

চতুর্থ দিনের শুরুটা দেখেশুনেই করেছেন বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক এবং লিটন দাস। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে। আগের দিন অর্ধশতক পেরোনো লিটন এদিন ৪ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে নাসিম শাহর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।

মুশফিকও আউট হতে পারতেন আগেভাগেই। তবে আম্পায়ারের দেয়া এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বেঁচে যান তিনি। আর মধ্যাহ্নবিরতির ঠিক আগে আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের একাদশ টেস্ট সেঞ্চুরিও। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এটি এই ক্রিকেটারের ২০তম সেঞ্চুরি। 

২০৮ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিক। উইকেটের অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি অপরাজিত আছেন ১৭ রানে।


আরও খবর



গাজায় আরও ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় হামাসের হাতে আটক ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা ইসরায়েল। সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় হাজারো মানুষের ঢল। যুদ্ধবিরতির দাবিতে সোমবার সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান এবং বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন।

রোববার রাতে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বিক্ষোভকারী তেল আবিবে রাস্তা ব্লক করেছে এবং পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। গাজার রাফাহ অঞ্চলে অভিযান পরিচালনার সময় রোববার একটি টানেল থেকে ৬ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলের সেনারা।

খবরটি জানাজানির পর থেকেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে গোটা ইসরায়েলজুড়ে। তেল আবিব  জেরুজালেমসহ দেশটির সবকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিক্ষোভে নেমেছে হাজারো মানুষ। জিম্মিদের মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন তারা। 

এদিকে সোমবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন হিসটাদ্রুত। বিমানবন্দর, ব্যাংকিং  ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে।

সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডেকেছে জিম্মিদের পরিবারও। এই অবস্থায় হামাসের কাছে বন্দি নাগরিকদের মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তীব্র বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু বলছেন, যুদ্ধ বিরতির চুক্তি চায় না হামাস। তবে হামাসের দাবি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীই এই চুক্তি আটকে রেখেছেন।

এদিকে গাজায় ২৪ ঘণ্টায় শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ষষ্ঠ দিনের মতো ইসরায়েলি অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলার মধ্যেই প্রথম দিন ৭২ হাজার ৬১১ জন শিশুকে পোলিও টিকা দিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহর পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় জনতা এ আলটিমেটাম দেয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ওয়াসা এমডির কক্ষে বিক্ষোভ করে পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকারীরা এমডিকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলেও তিনি পদত্যাগে রাজি হননি। পরে আন্দোলনকারীরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ওয়াসা ভবন ত্যাগ করেন।

এর আগে, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহর পদত্যাগসহ ১৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিকে আন্দোলনকারীদের ১৭ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহর আয়কর বিবরণী ২০০৯-২০২৪ এবং সম্পদ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ করা, স্বৈরাচারী সরকারের পোষ্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ড বাতিল করা, ৪ আগস্ট হাসিনার পক্ষ নিয়ে তাণ্ডবে অংশ নেওয়া ওয়াসার কর্মচারীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা, ফজলুল্লাহর সময়ে বহিষ্কৃত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীতে পুনর্বহাল করা অন্যতম।

এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আন্দোলনকারীরা ১৭টি দাবি দিয়েছেন সবগুলো দাবি যৌক্তিক। দাবিগুলোর প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি (এ কে এম ফজলুল্লাহ) ওয়াসার এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করে ওয়াসাকে গঠনমূলক সংস্কার প্রয়োজন। ক্যাবের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন রয়েছ।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোন চাপে পদত্যাগ করবো না। সরকার চাইলে আমি পদত্যাগ করবো। ওয়াসায় ১৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালনকালে আমি কোনও অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি। একটি প্রকল্পেও অর্থ আত্মসাৎ করেছি এ ধরনের প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১২ কোটি লিটার পানি। বর্তমানে ৫৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদনে সক্ষম করেছি। চট্টগ্রাম শহরের ৯৫ শতাংশ মানুষ ওয়াসার পানি পাচ্ছে। মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ পানি পাচ্ছেন না। বঞ্চিতদের জন্যও প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ আছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৬ জুলাই প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। পরে আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়। তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ। গত ১৫ বছর ধরে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



শিক্ষার্থী-সেনাদের ওপর হামলায় আটক ৩৫০ আনসার, হচ্ছে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয়ে ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারী ৩৫০ আনসার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় জড়িত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার রাত পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ আনসার সদস্যকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে, রোববার রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর পর তোপের মুখে সচিবালয় ছেড়ে পালিয়ে যান অধিকাংশ আনসার সদস্য। তবে ৩৫০ সাধারণ আনসার সদস্য রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন সাধারণ আনসার সদস্যরা। পরে সমন্বয়কারীদের আহ্বানে সচিবালয়ে তাদের উদ্ধারে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের দুই ও তিন নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার সদস্যরা হামলা করেন।

পরে সচিবালয় এলাকার চারদিক থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঘিরে ফেলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় অধিকাংশ আনসার সদস্যকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। তবে পালানোর সময় বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও মারধরের শিকার হন আনসার সদস্যরা।

পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় তিন শতাধিক আনসার সদস্যকে। তাদের শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও মতিঝিলসহ আশপাশের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত সচিবালয় গেট থেকে আটক আনসার সদস্যদের পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে বিভিন্ন থানায় নেওয়া হয়।

এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বিক্ষুব্ধ আনসার সদস্যরা। এ সময় ছয় সেনাসদস্য আহত হন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।


আরও খবর